যাযাদি রিপোর্ট
ট্যাপেন্টাডল ও মিথাইলফেনিডেট হাইড্রোক্লোরাইড নামক দুটি ওষুধের অপব্যবহার রোধে বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ দুটি ওষুধে ইয়াবার উপাদান রয়েছে, সম্প্রতি একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালে এমন প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর এ নির্দেশনা প্রদান করে।
নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মাঠপর্যায়ে হতে ট্যাপেন্টাডল ও মিথাইলফেনিডেট হাইড্রোক্লোরাইড নামে ওষুধ দুটি অপব্যবহার-সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করে। তথ্য-সংগ্রহের পর এগুলোর অপব্যবহার রোধকল্পে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং অন্য স্টেকহোল্ডারদের প্রতিনিধির সঙ্গে গত ১২ জানুয়ারি একটি মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান।
মঙ্গলবার ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। মতবিনিময় সভায় নিম্নলিখিত সিদ্ধান্তগুলো গ্রহণ করা হয়-
১. বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক যেমন- অনকোলজিস্ট, রিউমাটলজিস্ট (বাতরোগ বিশেষজ্ঞ), অর্থোপেডিক সার্জন, নিউরোলজিস্ট, মেডিসিন ও সার্জারি বিশেষজ্ঞের ব্যবস্থাপত্র ছাড়া ট্যাপেন্টাডল বিক্রয় বা সেবন করা যাবে না।
২. লাইসেন্সপ্রাপ্ত হাসপাতাল বা ক্লিনিক এবং সরকারি ক্রয়ের ক্ষেত্রে ট্যাপেন্টাডল নামক ওষুধ সরবরাহ করা যাবে। এ ছাড়া অন্য কোথাও তা সরবরাহ করা যাবে না।
৩. বাজারে সরবরাহকৃত ট্যাপেন্টাডল সব পাইকারি ও খুচরা ফার্মেসি থেকে আগামী ৩১ জানুয়ারির মধ্যে প্রত্যাহার করতে হবে।
ট্যাপেন্টাডলের উৎপাদন ও বিতরণ-সংক্রান্ত প্রতিবেদন উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো প্রতি মাসে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরে প্রেরণ করবে।
৪. সাইকিয়াট্রিক, পেডিয়াট্রিক সাইকোলজিস্ট এবং নিউরো মেডিসিন বিশেষজ্ঞদের ব্যবস্থাপত্র মোতাবেক মিথাইলফেনিডেট হাইড্রোক্লোরাইড- ৬৫ বিক্রয় করা যাবে। অর্থাৎ প্রেসক্রিপশন ছাড়া কোনোভাবে ওষুধটি বিক্রয় বা সেবন করা যাবে না।