স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা দুর্নীতি সহায়ক: টিআইবি

প্রকাশ | ১৫ জানুয়ারি ২০২০, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
যাযাদি রিপোর্ট সরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান থেকে তথ্য সংগ্রহে অনুমতির বাধ্যবাধকতা সংক্রান্ত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সাম্প্রতিক নির্দেশনাকে দুর্নীতি সহায়ক বলে অভিহিত করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। এছাড়াও এই নির্দেশনা প্রত্যাহারের দাবিও জানিয়েছেন সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান। মঙ্গলবার প্রকাশিত এক বিবৃতিতে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, 'নির্দেশনা অনুযায়ী এখন থেকে সব সরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে গবেষণা, জরিপ ও অন্য কোনো উদ্দেশ্যে তথ্য বা সংবাদ সংগ্রহে অনুমতি গ্রহণের বাধ্যবাধকতা চাপিয়ে দেয়া হয়েছে। যা বর্তমান সময়ে অচিন্তনীয় এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃপক্ষের ঔপনিবেশিক ও নিবর্তনবাদী মানসিকতার মাধ্যমে অবাধ তথ্য প্রবাহ নিশ্চিতে সরকার ঘোষিত ও আইনগতভাবে প্রতিষ্ঠিত নাগরিক অধিকার নিশ্চিতের অপ্রতিরোধ্য অন্তরায় সৃষ্টি করবে। শুধু তাই নয়, হাসপাতালের তথ্যের 'বস্তুনিষ্ঠতা' বিষয়ে কর্তৃপক্ষের সম্মতি গ্রহণের যে বাধ্যবাধকতা আরোপ করা হয়েছে, তা যেমন স্বাস্থ্য খাতে সকল প্রকার গবেষণা ও তথ্য প্রকাশের দ্বার রুদ্ধ করবে, তেমনি এ খাতে সকল প্রকার অনিয়ম, দুর্নীতি, রাষ্ট্রীয় সম্পদের আত্মসাৎ ও অপচয়ের সুরক্ষা দেবে। আপাতদৃষ্টিতে এটাকে তথ্য যাচাই করার মতো হাস্যকর যুক্তি হিসেবে উলিস্নখিত হলেও প্রকৃত অর্থে তা সংঘটিত বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতিকে ধামাচাপা দেয়ার জন্যই এ নির্দেশনা জারি করা হয়েছে বলে মনে করা অমূলক নয়।' 'সরকারি হাসপাতালের দর্শনার্থী ব্যবস্থাপনা' শিরোনামের নির্দেশনার কথা উলেস্নখ করে তিনি বলেন, 'রোগীর নিরাপত্তা, গোপনীয়তা ও হাসপাতালের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার মতো অপরিহার্য বিষয়গুলো যথানিয়মে পালিত হবে, এটা আমাদের সবার কাম্য। কিন্তু তা করতে গিয়ে হাসপাতালের সেবার মান সংক্রান্ত বিষয়ে গবেষণার জরিপ বা অন্য উদ্দেশে তথ্য সংগ্রহের ওপর বাধা-নিষেধ আরোপ এবং অনুমতি ছাড়া হাসপাতালের ভেতরে রোগী বা স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রমের স্থিরচিত্র বা ভিডিও ধারণের নিষেধাজ্ঞার মতো নির্দেশনা অবিবেচনা প্রসূত।'