মুদ্রাপাচার মামলায় রিমান্ডে এনামুল ও রূপন দুই ভাই
প্রকাশ | ১৫ জানুয়ারি ২০২০, ০০:০০
অনলাইন ডেস্ক
যাযাদি রিপোর্ট
ক্যাসিনোকান্ডে গ্রেপ্তার গেন্ডারিয়া আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা এনামুল হক এনু ও তার ভাই রূপন ভূঁইয়াকে মুদ্রাপাচারের মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চার দিন করে রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ।
তাদের সঙ্গে গ্রেপ্তার তাদের সহযোগী শেখ মোস্তফাকেও তিন দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছে আদালত।
পুলিশের করা রিমান্ড আবেদনের শুনানি করে ঢাকার মহানগর হাকিম রাজেশ চৌধুরী মঙ্গলবার এই আদেশ দেন।
সোমবার ভোরে কেরানীগঞ্জের শুভাঢ্যায় একটি দশতলা বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ৪০ লাখ টাকাসহ ওই তিনজনকে গ্রেপ্তার করে সিআইডি পুলিশ।
ঢাকা ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের পরিচালক এনু ছিলেন গেন্ডারিয়া থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি। আর তার ভাই রুপন ছিলেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। গত বছর ১৮ সেপ্টেম্বর ঢাকার কয়েকটি ক্লাবের সঙ্গে ওয়ান্ডারার্সে অভিযান চালিয়ে জুয়ার সরঞ্জাম, কয়েক লাখ টাকা ও মদ উদ্ধার করের্ যাব।
এর ধারাবাহিকতায় গত ২৪ সেপ্টেম্বর গেন্ডারিয়ায় প্রথমে এনু ও রুপনের বাড়িতে এবং পরে তাদের এক কর্মচারী এবং তাদের এক বন্ধুর বাসায় অভিযান চালিয়ে পাঁচটি সিন্দুকভর্তি প্রায় ৫ কোটি টাকা, আট কেজি সোনা এবং ছয়টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
তখনর্ যাবের পক্ষ থেকে বলা হয়, সিন্দুকে পাওয়া ওই টাকার উৎস ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের ক্যাসিনো। টাকা রাখতে জায়গা বেশি লাগে বলে কিছু অংশ দিয়ে সোনা কিনে রাখতেন এনামুল।
ওই ঘটনার পর মোট সাতটি মামলার করা হয়, যার মধ্যে অবৈধ ক্যাসিনো ও জুয়া পরিচালনা ও অর্থ-পাচারের অভিযোগে চারটি মামলার তদন্ত করছে সিআইডি।
মঙ্গলবার তিনজনকে আদালতে হাজির করে দশ দিন করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি চাওয়া হয় পুলিশের পক্ষ থেকে।
এর মধ্যে এনু ও মোস্তফাকে গেন্ডারিয়া থানার মুদ্রাপাচার মামলায় এবং রুপনকে সূত্রাপুর থানার মুদ্রাপাচার মামলায় রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করা হয়।
শুনানি শেষে বিচারক এনু ও রুপনের জন্য চার দিন এবং মোস্তফার জন্য তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
সোমবার ওই তিনজনকে গ্রেপ্তারের পর সিআইডি পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, ওয়ান্ডারার্স ক্লাবে ক্যাসিনো কারবারের 'হোতা' ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা এনু ও রুপন। ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় তাদের নামে ২২টি বাড়ি ও জমি এবং পাঁচটি যানবাহনের সন্ধান পেয়েছেন তদন্তকারীরা।
বাড়িতের্ যাবের অভিযানের পর কক্সবাজারে চলে গিয়েছিলেন এনু ও রুপন। সেখান থেকে তারা নৌপথে মালয়েশিয়া যাওয়ার চেষ্টায় ছিলেন।
কিন্তু ওই পথে যেতে না পেরে তারা কেরানীগঞ্জে এসে আশ্রয় নেন এবং ভুয়া পাসপোর্ট তৈরি করান। ওই পাসপোর্ট নিয়ে ভারত হয়ে তারা নেপালে যাওয়ার পরিকল্পনায় ছিলেন বলে পুলিশ কর্মকর্তাদের ভাষ্য।