আবরার হত্যা : অভিযোগপত্র গ্রহণের শুনানি ২১ জানুয়ারি

প্রকাশ | ১৬ জানুয়ারি ২০২০, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
আবরার ফাহাদ
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যার ঘটনায় করা মামলার অভিযোগপত্র আমলে নেয়ার বিষয়ে শুনানির জন্য ২১ জানুয়ারি দিন ঠিক করেছে আদালত। দুইদিন আগে এই মামলার নথি পাওয়ার পর বুধবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক কেএম ইমরুল কায়েশ শুনানির দিন ঠিক করে দেন। ওই আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী তাপস কুমার পাল বলেন, ওইদিন আসামিদের উপস্থিতিতে অভিযোগপত্র গ্রহণ ও মামলা আমলে নেয়ার জন্য শুনানি হবে। ১২ জানুয়ারি ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম মো. কায়সারুল ইসলাম মামলাটি বিচারের জন্য মহানগর দায়রা জজ আদালতে বদলির আদেশ দেন। ওইদিনই প্রয়োজনীয় আনুষ্ঠানিকতা শেষে মামলাটি স্থানান্তর হয়। পাঁচ সপ্তাহের তদন্ত শেষে গোয়েন্দা পরিদর্শক ওয়াহিদুজ্জামান গত ১৩ নভেম্বর আবরার হত্যায় ২৫ জনকে অভিযুক্ত করে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। পরে ১৮ নভেম্বর অভিযোগপত্র গ্রহণ করে পলাতক চার আসামিকে গ্রেপ্তারে পরোয়ানা জারি করে ৫ জানুয়ারির মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলে আদালত। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আসামিরা গ্রেপ্তার না হওয়ায় তাদের সম্পত্তি জব্দের নির্দেশ দেয়া হয়। এরপর ৫ জানুয়ারি পলাতক আসামিদের হাজির হতে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের আদেশ দিয়ে এ বিষয়ে প্রতিবেদন জমা দেয়ার জন্য সোমবার দিন রেখেছিল আদালত। এর আগেই রোববার পলাতকদের অন্যতম মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৭তম ব্যাচের মোর্শেদ অমর্ত্য ইসলাম আত্মসমর্পণ করলে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। পলাতক বাকি আসামিরা হলেন ইলেকট্রিক অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স বিভাগের ১৬তম ব্যাচের ছাত্র মাহমুদুল জিসান, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৭তম ব্যাচের এহতেশামুল রাব্বি ওরফে তানিম ও কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারং বিভাগের ১৬তম ব্যাচের মুজতবা রাফিদ। কারাগারে থাকা বাকি ২১ আসামি হলেন বুয়েট ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেল, বহিষ্কৃত সহ-সভাপতি মুহতাসিম ফুয়াদ, বহিষ্কৃত সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান রবিন, বহিষ্কৃত তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অনিক সরকার, বহিষ্কৃত ক্রীড়া সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন, বহিষ্কৃত উপ-সমাজসেবা সম্পাদক ইফতি মোশাররফ সকাল, বহিষ্কৃত সদস্য মুনতাসির আল জেমি, মোজাহিদুর রহমান, খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম তানভির, ইসতিয়াক হাসান মুন্না, মিজানুর রহমান, শামসুল আরেফিন রাফাত, মনিরুজ্জামান মনির ও আকাশ হোসেন, বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত উপ-আইন সম্পাদক অমিত সাহা, হোসেন মোহাম্মদ তোহা, মাজেদুর রহমান, শামীম বিলস্নাহ ও মোয়াজ আবু হোরায়রা, এএসএম নাজমুস সাদাত, এসএম মাহমুদ সেতু, এজাহারের বাইরের ছয় আসামি হলেন বুয়েট ছাত্রলীগের গ্রন্থণা ও প্রকাশনা সম্পাদক ইসতিয়াক আহমেদ মুন্না, আইন-বিষয়ক উপ-সম্পাদক অমিত সাহা, মিজানুর রহমান, শামসুল আরেফিন রাফাত, উপ-দপ্তর সম্পাদক মুজতবা রাফিদ ও মাহামুদ সেতু। পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পরও পলাতকরা হাজির না হলে তাদের অনুপস্থিতিতেই বিচার শুরু হবে বলে জানান রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী। গত ৬ অক্টোবর রাতে বুয়েটের শেরেবাংলা হলে ছাত্রলীগের কিছু উচ্ছৃঙ্খল কর্মীর হাতে নির্দয় পিটুনির শিকার হয়ে মারা যান আবরার ফাহাদ। এ ঘটনায় পরদিন নিহতের বাবা বরকত উলস্নাহ বাদী হয়ে ১৯ জনকে আসামি করে চকবাজার থানায় একটি মামলা করেন।