প্রাথমিকে দুই জেলায় শিক্ষক নিয়োগ কার্যক্রম স্থগিত

প্রকাশ | ১৬ জানুয়ারি ২০২০, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় দুই জেলার ঘোষিত চূড়ান্ত ফল ৬ মাসের জন্য স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। নীলফামারী ও বরগুনা জেলার ২১ জনের করা রিট আবেদনের শুনানির জন্য বুধবার বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. মাহমুদ হাসান তালুকদারের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মো. রেজাউল করিম। তিনি বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা ২০১৩-এর ৭ ধারায় বলা হয়েছে, এই বিধিমালার অধীন সরাসরি নিয়োগযোগ্য পদগুলোর ৬০ শতাংশ নারী প্রার্থীদের দ্বারা, ২০ শতাংশ পৌষ্য প্রার্থীদের দ্বারা এবং বাকি ২০ শতাংশ পুরুষ প্রার্থীদের দ্বারা পূরণ করা হইবে। কিন্তু ২৪ ডিসেম্বরের ঘোষিত ফলের ক্ষেত্রে সেটা অনুসরণ করা হয়নি। তাই নীলফামারীর পিংকি রানী রায়সহ ২০ জন ও বরগুনা জেলার এক প্রার্থী হাইকোর্টে রিট করেন। রেজাউল করিম আরও বলেন, বুধবার আদালত ২ জেলার ফলের ওপর ৬ মাসের স্থগিতাদেশ দিয়ে রুল জারি করেছেন। এর আগে গত মঙ্গলবার ১৬ নিয়োগ প্রার্থীর করা আরেক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ একটি রুল জারি করেছিলেন। ওই রিটের আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. কামাল হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার। পরে ওই দিন কামাল হোসেন বলেন, রুলে প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা ২০১৩ লঙ্ঘন করে ২৪ ডিসেম্বর ঘোষিত ফল কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না এবং একই সঙ্গে ঘোষিত ফল বাতিল করে প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা ২০১৩ অনুসরণ করে নতুন ফল কেন ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। ১০ দিনের মধ্যে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। কামাল হোসেন আরও বলেন, এর মধ্যে ওই ফল অনুসারে যদি তারা নিয়োগের উদ্যোগ নেয় তাহলে তা স্থগিতে আমরা ফের আদালতের দ্বারস্থ হব। আর আদালতের জারি করা রুল বিশেষ বার্তাবাহকের মাধ্যমে পাঠাতে বলা হয়েছে। গত ২৪ ডিসেম্বর রাতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় মৌখিক পরীক্ষায় ১৮ হাজার ১৪৭ জন প্রার্থীকে নির্বাচন করে।