সাগরে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে নৌবাহিনীর মহড়ার সমাপ্তি

প্রকাশ | ১৬ জানুয়ারি ২০২০, ০০:০০

বিডি নিউজ
বুধবার বঙ্গোপসাগরে সফলভাবে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর বার্ষিক সমুদ্র মহড়া 'এক্সারসাইজ সেফ গার্ড-২০১৯' শেষ হয়েছে -আইএসপিআর
বঙ্গোপসাগরে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর বার্ষিক সমুদ্র মহড়া 'এক্সারসাইজ সেফ গার্ড-২০১৯' শেষ হয়েছে। ১৮ দিনব্যাপী এ মহড়ায় বাংলাদেশ নৌবাহিনীর বিভিন্ন ফ্রিগেট, করভেট, মাইনসুইপার, পেট্রোলক্রাফট, মিসাইলবোট ও হেলিকপ্টার প্রত্যক্ষভাবে অংশ নেয়। মহড়ার শেষদিন বুধবার দূরপালস্নার সারফেস টু সারফেস মিসাইল, শোল্ডার লঞ্চড সারফেস টু এয়ার মিসাইল এবং সাবমেরিন বিধ্বংসী রকেট ডেপথ চার্জ ব্যবহার করা হয়। এছাড়া শত্রম্ন বিমান ঘায়েল করার মহড়া হিসেবে এন্টি এয়ারর্ যাপিড ওপেন ফায়ার এবং সোয়াডের নৌ কমান্ডো দল অংশ নেয় এবারের মহড়ায়। আয়োজন করা হয়েছিল নৌবাহিনীর সব যুদ্ধ জাহাজ ও নেভাল এভিয়েশন উইংয়ের সমন্বয়ে ফ্লিট রিভিউ। মহড়া শেষে ফ্লিট কমান্ডার রিয়ার এডমিরাল এম নাজমুল হাসান জানান, মহড়ায় নৌবাহিনীর বিভিন্ন ধরনের ৭০টি জাহাজ অংশ নিয়েছে। আগামীতে মহড়ায় সাবমেরিনও যুক্ত করা হবে। পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান প্রধান অতিথি হিসেবে বানৌজা বঙ্গবন্ধু থেকে সমাপনী মহড়া প্রত্যক্ষ করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন নৌবাহিনীর প্রধান এডমিরাল আওরঙ্গজেব, বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল আবু এশরার, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল মাহফুজুর রহমানসহ সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তারা। অনুষ্ঠান শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, 'বস্নু ইকোনমির অন্যতম বঙ্গোপসাগর। এ সাগরে প্রচুর সম্ভাবনা আছে। এ সমুদ্রের মাধ্যমে বিশ্বের সঙ্গে আমাদের ৯০ ভাগ আমদানি, রপ্তানি বাণিজ্য হয়ে থাকে। এ সমুদ্র রক্ষায় তাদের অবদান আমি স্বীকার করি।' তিনি বলেন, বস্নু ইকোনমির প্রথম কাজ সার্ভে। সাগরে প্রচুর সম্পদ আছে। তবে কী পরিমাণ ও কোন কোন সম্পদ আছে তা জানতে হবে। এ জন্য প্রচুর গবেষণা করতে হবে। যার জন্য প্রচুর যন্ত্রপাতি, জাহাজ জোগাড় করতে হবে এবং তা পরিচালনার জন্য নাবিকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা দরকার।