বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
বাজার দর

ঝাঁজ কমেছে পেঁয়াজে, অস্বস্তি সবজিতে

সপ্তাহের ব্যবধানে দেশি পেঁয়াজ কেজিতে ৪০ টাকা কমে এখন বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকায়। তবে আমদানি করা পেঁয়াজ আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে
যাযাদি রিপোর্ট
  ১৮ জানুয়ারি ২০২০, ০০:০০

সপ্তাহের ব্যবধানে রাজধানীর বাজারগুলোতে কমেছে সবজির দাম। বাজারে সবজিভেদে কেজিতে পাঁচ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। সবজির দাম কমলেও অপরিবর্তিত আছে শাকের বাজার। একইভাবে আগের দামে মাছ বিক্রি হলেও কমেছে পেঁয়াজের দর। সপ্তাহের ব্যবধানে দেশি পেঁয়াজ কেজিতে ৪০ টাকা পর্যন্ত কমেছে।

অন্যদিকে আগের বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে ভোজ্যতেল, ডিম, চাল। অপরিবর্তিত আছে গরু-খাসি, মুরগি ও চাল-ডালের বাজার।

শুক্রবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার (খুচরা বাজার), মালিবাগ, মালিবাগ রেলগেট, খিলগাঁও, মতিঝিল টিঅ্যান্ডটি বাজার, ফকিরাপুল কাঁচাবাজার ও কমলাপুর ঘুরে এসব চিত্র উঠে এসেছে।

সপ্তাহের ব্যবধানে এসব বাজারে কেজিপ্রতি পাঁচ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত কমে প্রতি কেজি গাজর বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা, টমেটো ৪০ থেকে ৫০, টমেটো (আধাকাঁচা) ৩০ থেকে ৪০, শসা ৪০ থেকে ৫০, ক্ষিরা ৩০ থেকে ৪০, শিম (কালো) ৩০ থেকে ৪০, শিম (সাদা) ৩০, বেগুন ৩০ থেকে ৮০, নতুন আলু ৩০ থেকে ৩৫, পুরানো আলু ৩৫, পটল ৩০ থেকে ৫০, ঝিঙা ৪০ থেকে ৫০, করলা ৪০ থেকে ৫০ এবং পেঁপে ১৫ থেকে ২৫ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।

এছাড়া আকারভেদে প্রতিপিস বাঁধাকপি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা, ফুলকপি ২০ থেকে ৩০ টাকা এবং লাউ ৩৫ থেকে ৫০ টাকায়। প্রতি আটি (মোড়া) কচুশাক পাঁচ থেকে সাত টাকা, লালশাক আট টাকা, মুলা ১০ টাকা, পালংশাক ১০ থেকে ১৫ টাকা, লাউশাক ২৫ থেকে ৩০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।

এদিকে, দাম কমেছে পেঁয়াজের। সপ্তাহের ব্যবধানে দেশি পেঁয়াজ কেজিতে ৪০ টাকা কমে এখন তা বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকা কেজিদরে। তবে আমদানি করা পেঁয়াজ আগের দামে বিক্রি হচ্ছে। এসব বাজারে মিসরের পেঁয়াজ ৮৫ টাকা, চায়না পেঁয়াজ ৬৫ টাকা কেজিদরে বিক্রি করতে দেখা গেছে।

তবে দাম বেড়েছে কাঁচামরিচের। কাঁচামরিচের কেজি ৬০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে। গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছিল ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজিদরে।

ইব্রাহিম নামে কারওয়ান বাজারে এক ক্রেতা বলেন, বাজারে সবধরনের সবজির দাম কম। তবে আরও কম হওয়া উচিত। বর্তমানে কোনো সবজির ঘাটতি না থাকলেও দাম সে তুলনায় কমছে না।

সাইফুল ইসলাম নামে এ বাজারের এক সবজি বিক্রেতা বলেন, কাঁচামালের সঠিক দাম কেউ বলতে পারবে না। যে কোনো মালের ঘাটতি দেখা দিলে দাম বেড়ে যাবে। কাঁচামাল সরবরাহের ওপর নির্ভর করে।

এদিকে অপরিবর্তিত আছে মাছের বাজার। প্রতি কেজি কাঁচকি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা, মলা ৩২০ থেকে ৩৫০, ছোট পুঁটি (তাজা) ৪০০ থেকে ৫০০, শিং ৩০০ থেকে ৬৫০, পাবদা ৪০০ থেকে ৫০০, চিংড়ি (গলদা) ৫০০ থেকে ৬০০, বাগদা ৫৫০ থেকে ৯০০, দেশি চিংড়ি ৩৫০ থেকে ৫০০, রুই (আকারভেদে) ২৮০ থেকে ৩৫০, মৃগেল ২৫০ থেকে ৩০০, পাঙ্গাশ ১২০ থেকে ১৮০, তেলাপিয়া ১৩০ থেকে ১৮০, কৈ ১৮০ থেকে ২০০ এবং কাতল ২৫০ থেকে ২৮০ টাকা কেজিদরে বিক্রি করতে দেখা গেছে।

এসব বাজারে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১২০ থেকে ১২৫ টাকা, লেয়ার ১৮০ থেকে ২০০, সাদা লেয়ার ১৭০ থেকে ১৯০, সোনালি ২৬০ থেকে ২৬০ টাকা কেজিদরে বিক্রি হচ্ছে। গরুর মাংস ৫৫০ টাকা, খাসি ৭৮০ ও বকরি ৭২০ টাকা কেজিদরে বিক্রি হচ্ছে।

আগের বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে ভোজ্যতেল। খোলা সয়াবিন (লাল) বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৯৫ টাকা লিটার, খোলা সাদা সয়াবিন বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকা লিটার।

এছাড়া অপরিবর্তিত আছে ডিম, চাল, ডাল, আদা, রসুন, সরিষার তেল, এলাচ, দারচিনি ও বিভিন্ন মসলার দাম।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<84863 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1