সেই জুনায়েদের বিরুদ্ধে ফের অভিযোগপত্র

প্রকাশ | ১৯ জানুয়ারি ২০২০, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
জুনায়েদ আল ইমদাদ
মেয়ে বন্ধুকে নিয়ে নুরুলস্নাহ নামের এক কিশোরকে মারধরকারী সেই বখাটে জুনায়েদ আল ইমদাদ ও তার কথিত বড় ভাই রিজভীর নামে সম্পূরক অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে। দন্ডবিধি ও তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের পৃথক দুটি মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা ও ধানমন্ডি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আশফাক রাজিব হাসান সম্প্রতি এই অভিযোগপত্র দাখিল করেন। আজ এই সম্পূরক অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করার কথা রয়েছে। ওই ঘটনায় দন্ডবিধি আইনে এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের পৃথক দুটি মামলায় জুনায়েদ ও রিজভীর বিরুদ্ধে এই অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মৃদুল নামে একজনকে অব্যাহতির আবেদন করা হয়েছে। মামলা দুটির তদন্ত কর্মকর্তা ধানমন্ডি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আশফাক রাজিব হাসান বলেন, সম্পূরক অভিযোগপত্র কয়েকদিন আগেই দাখিল করা হয়েছে। তবে কার বিরুদ্ধে কি অভিযোগ আনা হয়েছে, সেটা নথি না দেখে বলতে পারছি না। সিএমএম কোর্টে ধানমন্ডি থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা ও পুলিশের উপ-পরিদর্শক আশ্রাফ আলী বলেন, সম্পূরক অভিযোগপত্র এসেছে। নির্ধারিত তারিখে তা আদালতে উপস্থাপন করা হবে। সামাজিক মাধ্যমে আলোচিত এই ঘটনায় ২০১৭ সালের জানুয়ারি মাসে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের একটি এবং মারধরের অভিযোগে দন্ডবিধি আইনে অপর চার্জশিটটি দাখিল করা হয়েছিল। ওই বছরের ২৪ জানুয়ারি ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট স্নিগ্ধা রানির আদালতে চার্জশিট দুটি উপস্থাপন করা হয়। কিন্তু চার্জশিটে ত্রম্নটি থাকায় তা সংশোধনের জন্য ফেরত পাঠানোর আদেশ দেয়া হয়। এরপর \হত্রম্নটি সংশোধন করে সম্পূরক অভিযোগপত্র দাখিল করা হলো। মামলার ঘটনায় জানা যায়, ২০১৬ সালের ১৩ মার্চ ধানমন্ডি লেকের পাড়ে একটি মারধরের ঘটনা ঘটে, যা ভিডিও করা হয়। ১০ মিনিটের ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, এক কিশোরীকে কেন্দ্র করে নুরুলস্নাহ নামে এক কিশোরকে মারধর করছে জুনায়েদ। জুনায়েদের অভিযোগ, নুরুলস্নাহ তার বান্ধবীকে নিয়ে কটূক্তি করেছে। কিন্তু বারবার অভিযোগ অস্বীকার করেছে নুরুলস্নাহ। এরপরও থামছে না জুনায়েদ। সে বারবার দম্ভ করে বলছে 'আমাকে চিনিস, আমি জুনায়েদ'। এ ঘটনায় সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়। মারধরের ঘটনায় ২০১৬ সালের ১৪ মার্চ রাতে ধানমন্ডি থানায় মামলা করে নুরুলস্নাহ। প্রথমে পলাতক থাকলেও ওই বছরের ২০ মার্চ আইনজীবীর মাধ্যমে বাংলাদেশ সাইবার ক্রাইম ট্রাইবু্যনালে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন জুনায়েদ। একই বছরের ৫ এপ্রিল আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন তিনি। অপরদিকে তার কথিত বড় ভাই রিজভীকে ওই বছরের এপ্রিলে গ্রেপ্তার করে ধানমন্ডি থানা পুলিশ। পরে দুইজনই জামিনে মুক্তি পান বলে আদালত সূত্রে জানা গেছে।