গণধর্ষণের শিকার পোশাককর্মী

প্রকাশ | ২১ জানুয়ারি ২০২০, ০০:০০

চকরিয়া (কক্সবাজার) সংবাদদাতা
সম্প্রতি মারা যাওয়া বড় ভাইয়ের চেহেলাম অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে ফের কর্মস্থলে ফেরার সময় গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন ১৭ বছর বয়সি এক পোশাককর্মী। রোববার বিকাল ৪টায় লোকসমাগমে ভরপুর ডুলাহাজারা থেকে টমটমে তাকে তুলে নিয়ে যায় প্রতারক প্রেমিকসহ চার বখাটে। পরে নিকটস্থ বালুচরের স্থানীয় চেয়ারম্যানের খামার বাড়িতে নিয়ে তিন ঘণ্টা আটক রেখে পোশাককর্মীকে গণধর্ষণ করে তারা। এ সময় অপহরণ ও ধর্ষণে সহায়তা করে টমটম চালক। কক্সবাজারের চকরিয়ায় চাঞ্চল্যকর এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে বেলাল উদ্দিন নামের একজনকে আটক করেছে পুলিশ। গণধর্ষণের শিকার তরুণীকে রোববার সন্ধ্যা ৭টায় উদ্ধার করলেও সোমবার দুপুরে উপজেলা জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দিতে আনা হয়। ওই সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক ধর্ষণের প্রাথমিক লক্ষণ পেলে তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের ওসিসিতে রেফার করেন। কিন্তু তরুণীকে সোমবার বিকাল পর্যন্ত তার অভিভাবকরা কক্সবাজার হাসপাতালে নেননি। তরুণীর বড় বোন মুঠোফোনে এ প্রতিবেদককে বলেন, চট্টগ্রামের একটি গার্মেন্টে চাকরি করা ছোট বোন ১৬ দিন আগে মারা যাওয়া বড় ভাইয়ের চেহলাম উপলক্ষে বাড়িতে আসে। রোববার বিকালে ডুলাহাজারা স্টেশন থেকে চট্টগ্রামে যেতে বাসে ওঠার জন্য অপেক্ষায় ছিল সে। ওই সময় মোটরসাইকেল করে এসে দুই তরুণ তাকে জোরপূর্বক ইজিবাইকে তুলে নেয়। আগে থেকেই ওই ইজিবাইকে চালকসহ আরও তিন বখাটে ছিল। তারা তরুণীকে বালুচর এলাকায় আমিন চেয়ারম্যানের খামার বাড়িতে জিম্মি করে গণধর্ষণ করে। ধর্ষণকারী চারজনের মধ্যে ওই তরুণীর এক প্রতারক প্রেমিক বেলাল ও স্থানীয় চেয়ারম্যানের ছেলে তারেকুর রহমান টিটুও জড়িত বলে পুলিশসহ স্থানীয় লোকজন জানায়। ডুলাহাজারা ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল আমিন বলেন, তার ছেলে তারেক ইতঃপূর্বে ইয়াবা ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ে। তাকে সুপথে আনতে পুলিশে সোপর্দও করা হয়েছিল। কারাভোগ করে বের হয়ে আবারও নানা অপকর্মে জড়িয়ে পড়ে সে। তিনি ছেলের উপযুক্ত শাস্তি চান। ছেলের শাস্তির জন্য ওসিকেও জানিয়েছেন বলে জানান তিনি। চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. হাবিবুর রহমান বলেন, ধর্ষিতা পরিবারের পক্ষ থেকে সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত লিখিত কোনো অভিযোগ দেওয়া হয়নি। মৌখিকভাবে শুনেই পুলিশের একাধিক টিম মাঠে নামিয়ে গণধর্ষণে জড়িত অভিযোগে বেলাল উদ্দিনকে আটক করা হয়েছে। অন্যদের আটক করতে অভিযানে অব্যাহত রয়েছে।