মেয়ে হত্যার বিচার চাইলেন মা

প্রকাশ | ২১ জানুয়ারি ২০২০, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
যাযাদি রিপোর্ট সাত বছরের মেয়ে সামিয়া আফরিন সায়মাকে ধর্ষণের পর হত্যার বিচার চাইলেন মা সানজিদা আক্তার। আদালতে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, 'আমার মেয়ে সামিয়া আফরিন সায়মাকে (৭) ধর্ষণের পর হত্যা করে হারুন। আমি হারুনের সর্বোচ্চ শাস্তি চাই।' রাজধানীর ওয়ারীতে সিলভারডেল স্কুলের নার্সারির ছাত্রী সামিয়া আফরিন সায়মাকে (৭) ধর্ষণের পর হত্যা করার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় সোমবার সাক্ষ্য দিয়েছেন মা সানজিদা আক্তার। সাক্ষী দেয়ার সময় তিনি এসব কথা বলেন। মা সানজিদা আক্তার ছাড়াও আদালতে সোমবার সাক্ষ্য দেন আসামি হারুনের জবানবন্দি রেকর্ডকারী ম্যাজিস্ট্রেট সরাফুজ্জামান আনছারী ও পাশের ফ্ল্যাটের মনির হোসেন। পরে আদালত পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য ২৭ জানুয়ারি দিন ধার্য করেন। চলতি বছরের ২ জানুয়ারি ঢাকার ১নং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবু্যনালের বিচারক কাজী আব্দুল হান্নান আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। ট্রাইবু্যনালের পেশকার তৌয়ব আলী এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে ৫ নভেম্বর ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে ধর্ষক হারুন আর রশিদকে আসামি করে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) ওয়ারী জোনাল টিম মো. আরজুন। মামলার একমাত্র আসামি হারুন আর রশিদকে গত ৭ জুলাই তার বাড়ি কুমিলস্নার তিতাস থানার ডাবরডাঙ্গা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ। পরের দিন হাকিম সরাফুজ্জামান আনসারীর আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধি ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন হারুন। জবানবন্দি রেকর্ড শেষে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত। বর্তমানে তিনি কারাগারে আছেন। উলেস্নখ্য, গত বছরের ৫ জুলাই সন্ধ্যার পর থেকে শিশু সায়মার খোঁজ পাচ্ছিল না তার পরিবার। আনুমানিক সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে নবনির্মিত একটি ভবনের নবম তলার খালি ফ্ল্যাটের ভেতর সায়মাকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান পরিবারের সদস্যরা। পরে খবর পেয়ে রাত ৮টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে। ঘটনার পরের দিন সায়মার বাবা আব্দুস সালাম বাদী হয়ে ওয়ারী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেন।