শীতজনিত রোগে মৃতু্য ৫৭ জনের

প্রকাশ | ২৩ জানুয়ারি ২০২০, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
যাযাদি রিপোর্ট চলতি শীত মৌসুমে এ পর্যন্ত সারাদেশে ৬৬ হাজার ১৮৭ জন শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন। ডায়রিয়ায় এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৬০ হাজার ৪৮৩ জন ও শীতজনিত অন্য রোগে ১ লাখ ৯০ হাজার ৩২৯ জন আক্রান্ত হয়ে হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন। আর এসব রোগে এ পর্যন্ত মারা গেছেন মোট ৫৭ জন। বুধবার বিষয়টি জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন্স সেন্টার ও কন্ট্রোলরুমের সহকারী পরিচালক ডা. আয়শা আক্তার। তিনি জানান, ২০১৯ সালের ১ নভেম্বর থেকে ২০২০ সালের ২২ জানুয়ারি পর্যন্ত সারাদেশে ৬৬ হাজার ১৮৭ জন শ্বাসতন্ত্রের সমস্যাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন এবং মারা গেছেন ২২ জন। এছাড়া ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন ১ লাখ ৬০ হাজার ৪৮৩ জন ও মারা গেছেন ৫ জন এবং শীতজনিত অন্য অসুস্থতায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতাল থেকে ১ লাখ ৯০ হাজার ৩২৯ জন চিকিৎসা নিয়েছেন ও মারা গেছেন ৩০ জন। অর্থাৎ, মোট মৃতু্যর সংখ্যা ৫৭। অন্য অসুস্থতার মধ্যে রয়েছে জন্ডিস, আমাশয়, চোখের প্রদাহ, চর্মরোগ, জ্বর ইত্যাদি। আর এসব শীতকালীন রোগে সর্বোচ্চ আক্রান্ত ও সর্বোচ্চ মারা গেছেন ঢাকা শহরসহ ঢাকা বিভাগের বিভিন্ন এলাকায়। অন্য বিভাগগুলো এ হার থেকে অনেক দূরে রয়েছে। তাছাড়া, সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় (মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) সারাদেশে ৯৭১ জন শ্বাসতন্ত্রজনিত রোগে আক্রান্ত হয়েছেন, ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৯৮৪ জন এবং শীতজনিত অন্য রোগে ৩ হাজার ৫৫ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এ সময় এ রোগে আক্রান্ত হয়ে কোনো মৃতু্যর ঘটনা ঘটেনি। আবার এসব রোগে শিশুদের আক্রান্তের হারই বেশি বলেও জানা যায়। এদিকে শীতেও দূর হয়নি ডেঙ্গুর প্রকোপ। যা বাংলাদেশে এর আগে দেখা যায়নি। এ বিষয়ে ডা. আয়শা আক্তার আরও জানান, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসের ২২ দিনে সারাদেশে ১৬৮ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে ছাড়পত্র পেয়েছেন ১৫৪ জন। তাছাড়া ঢাকার ৪১টি সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে মোট ভর্তি রোগী ১৪ জন ও অন্য বিভাগে কোনো ভর্তি রোগী নেই। তাছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় রাজধানীতে নতুন ২ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এ সময়ে ডেঙ্গুজনিত কারণে কোনো মৃতু্যর খবর পাওয়া যায়নি। বিদায় নিচ্ছে মৌসুমের শেষ শৈত্যপ্রবাহ দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের ওপর দিয়ে বুধবারও মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যায়। এতে রংপুর ও রাজশাহী বিভাগ শীতের কবলে পড়লেও আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে এটিই এ মৌসুমের শেষ মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ। দু-একদিনের মধ্যেই এ শৈত্যপ্রবাহ শেষে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে শুরু করবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। আবহাওয়া অফিস বুধবার জানিয়েছে- রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগসহ রাজশাহী, পাবনা, নওগাঁ, যশোর, চুয়াডাঙ্গা, বরিশাল, টাঙ্গাইল, গোপালগঞ্জ, ফরিদপুর, মাদারীপুর, নিকলী ও সীতাকুন্ডু অঞ্চলের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যায় এবং কিছু কিছু এলাকায় তা অব্যাহত থাকতে পারে। আবহাওয়াবিদ আবদুর রহমান বলেন, যে শৈত্যপ্রবাহ চলছে তা দু-একদিনের মধ্যে চলে যাবে। এরপর তাপমাত্রা ধীরে ধীরে বাড়তে শুরু করবে। এ মৌসুমে আর শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা খুবই কম। তিন দিনের অবস্থায় বলা হয়েছে, শেষের দিকে রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে। গত ২৪ ঘণ্টায় শ্রীমঙ্গলে দেশের সর্বনিম্ন ৬.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এছাড়া ঢাকায় ১৪.১, রাজশাহীতে ৯.৩, রংপুরে ৯, খুলনায় ১১.৮, বরিশালে ৯.৭, সিলেটে ৯.৯, টট্টগ্রামে ১২.৮, ময়মনসিংহে ৯.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়।