সাক্ষাৎকার

নাগরিক সেবা নিশ্চিত করতে চান রাজেশ

ডিএনসিসি ওয়ার্ড ৩৪

প্রকাশ | ২৪ জানুয়ারি ২০২০, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
মাসুম খান রাজেশ
যাযাদি রিপোর্ট নির্বাচিত হলে সর্বোচ্চ নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করার সর্বাত্মক চেষ্টা করবেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী ও ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. মাসুম খান রাজেশ। যায়যায়দিনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রাজেশ এই ওয়ার্ডের জনগণের জন্য নাগরিক সেবা নিশ্চিত করার বিভিন্ন পরিকল্পনা নিয়ে কথা বলেন। জাফরাবাদ, উত্তর সুলতানগঞ্জ, রাজমুশুরী জাফরাবাদ, রায়ের বাজার, বিবির বাজার, শংকর, পূর্ব রায়ের বাজার, মধু বাজার ও পশ্চিম ধানমন্ডি নিয়ে ৩৪নং ওয়ার্ড। নির্বাচনের বেশ কয়েক দিন বাকি থাকলেও এই ওয়ার্ডে প্রচার-প্রচারণা তুঙ্গে। পোস্টারে পোস্টারে ছেয়ে গেছে পুরো ওয়ার্ড। আগামী ১ ফেব্রম্নয়ারি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে এলাকার সব ভোটার যাতে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কাছে এই প্রত্যাশা প্রার্থী মাসুম খান রাজেশের। বংশপরম্পরায় এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা হিসেবে স্থানীয় মানুষের সেবা করার সুযোগ চান তিনি। আগামী দিনে এলাকার সব স্তরের মানুষের সেবক হিসেবে কাজ করতে চান। তার মার্কা 'ঠেলাগাড়ি'। ঠেলাগাড়ি শ্রমজীবী মানুষের প্রতীক। শ্রমজীবী মানুষের বিপদে-আপদে বন্ধু হিসেবে থাকার প্রতিশ্রম্নতি তার। এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন, সব ধর্ম-বর্ণ ও শ্রেণি-পেশার মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা; গ্যাস, বিদু্যৎ, পানিসহ সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করার প্রতিশ্রতি নিয়ে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছেন এই প্রার্থী। সাড়াও পাচ্ছেন ব্যাপক। নির্বাচন সুষ্ঠু হলে তার বিজয়ের সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি বলে স্থানীয় ভোটাররাও মনে করেন। ঢাকার রায়েরবাজার এলাকার ঐতিহ্যবাহী খান পরিবারের সন্তান তিনি। তার বাবা মো. নাদির খান একজন মুক্তিযোদ্ধা, সংস্কৃতিমনা উদার মনের মানুষ। রাজেশও তার বাবার মতো খোলামনের একজন মানুষ। ব্যক্তিজীবনে তিনি একজন আইনজীবী। সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও এলাকার সেবামূলক কাজের সঙ্গে তিনি ছোটবেলা থেকেই জড়িত। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মোহাম্মদপুরের ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের অন্যান্য প্রার্থীর মধ্যে তিনি বয়সে তরুণ। এলাকার মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় সব সময় তিনি সোচ্চার। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এই ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ থেকে প্রার্থী হয়েছেন হোসেন মোহাম্মদ খোকন। আর বিএনপি এই ওয়ার্ড উন্মুক্ত রাখায় প্রার্থী হয়েছেন মাসুদ খান (রাজেশ) ও ওসমান গনি শাহজাহান। তবে মূল লড়াই হবে বিএনপির মাসুদ খান (রাজেশ) এবং হোসেন মোহাম্মদ খোকনের মধ্যে। রাজেশ বিএনপির মেয়রপ্রার্থী তাবিথ আউয়াল ও দলের অন্য কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে নিয়ে নির্বাচনী প্রচার চালাচ্ছেন। মাসুম খান রাজেশ এলাকার মানুষের স্বার্থে ২২ দফা অঙ্গীকার সামনে রেখে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছেন। নির্বাচিত হলে এলাকাকে একটি মডেল ওয়ার্ড হিসেবে গড়ে তোলার স্বপ্ন তার। মাসুম খান রাজেশ বলেন, 'এলাকার মানুষ আমাকে নির্বাচিত করলে নিম্নবিত্ত, মধ্যবিত্ত, উচ্চবিত্তসহ সব স্তরের মানুষের পাশে থাকব। অন্যায়ভাবে কারও ওপর জুলুম-অত্যাচার হতে দেওয়া হবে না। যেকোনো মূল্যে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, অত্যাচার, মাদকমুক্ত এলাকা প্রতিষ্ঠা করা হবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও সব ধরনের স্মৃতি সমুন্নত রাখা হবে। রাজেশের ২২ দফা প্রতিশ্রম্নতির মধ্যে রয়েছে, নাগরিক অধিকার শতভাগ নিশ্চিত করা, কাউকে বঞ্চিত হতে দেওয়া হবে না, সন্ত্রাস, দুর্নীতি, মাদক, ইভটিজিং মুক্ত এলাকা প্রতিষ্ঠা, রাস্তা, ড্রেনেজ, পানি, গ্যাস, বিদু্যৎ সংকট সমাধান, রায়েরবাজার সিটি করপোরেশন মার্কেট উন্নয়ন, ব্যবসায়ীদের জন্য দোকানের পজেশন নিশ্চিতকরণ, ওয়ার্ডের একমাত্র কমিউনিটি সেন্টার আধুনিকায়ন ও এলাকার মানুষের জন্য উন্মুক্ত করা, খেলার মাঠ আধুনিকায়ন, পাঠাগার ও ব্যায়ামাগার স্থাপন, হিন্দু সম্প্রদায়ের বিশেষ সুবিধার জন্য একমাত্র শ্মশানটি সংস্কার ও পরিবেশবান্ধব করা, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, মশামুক্ত এলাকা নিশ্চিত করা ও শিশুদের বিনোদনের জন্য পার্ক নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন তিনি। কাউন্সিলর প্রার্থী মাসুম খান রাজেশের আরও প্রতিশ্রম্নতির মধ্যে রয়েছে এলাকায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে বিভিন্ন স্থানে পঞ্চায়েত কমিটি গঠন, ডিজিটাল এলাকা কার্যকর করা, শ্রমজীবী মানুষের স্বার্থে কাজ করা, যুবসমাজকে সুপথে পরিচালিত করা, বেকার যুবক ও নারীদের কর্মসংস্থানে উদ্যোগ গ্রহণ, বয়স্ক ও বিধবা ভাতার পরিধি বৃদ্ধি করা, রায়েরবাজার শহিদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানের সংস্কার, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বজায় রাখা ও ফুটপাতের হকারদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন তিনি। মাসুদ খান রাজেশ বলেন, 'আমার প্রথম কাজ হবে মাদকমুক্ত ওয়ার্ড। মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি থাকবে আমার। দল ও এলাকাবাসীর সহায়তায় নির্বাচনে অংশ নেওয়া। আমি কাউন্সিলর হিসেবে নির্বাচিত হলে নাগরিক সমস্যা সমাধানের পাশাপাশি সব শ্রেণির মানুষকে সমন্বয় করে এলাকার উন্নয়নে যা যা করা দরকার তাই করব। এখানকার পরিত্যক্ত ময়লা পরিষ্কার করে সবুজ এলাকা গড়ে তুলব। এই ওয়ার্ডের মাদক, সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজি বন্ধে শিক্ষিত বেকার যুবকদের কারিগরি প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ করে গড়ে তুলব এবং তাদের সমাজের উন্নয়নে কাজে লাগাব। সব ধরনের নাগরিক সেবা নিশ্চিত করব। মানুষ যাতে নিরাপদে চলাফেরা করতে পারেন সেই প্রতিশ্রম্নতি দিচ্ছি।'