সাক্ষাৎকার

নাগরিক সেবা নিশ্চিত করতে চান বাবুল

ডিএনসিসি ওয়ার্ড ১১

প্রকাশ | ২৫ জানুয়ারি ২০২০, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
গাজী অলিয়ার রহমান বাবুল
কল্যাণপুর ও উত্তর পাইকপাড়ার আংশিক এলাকা নিয়ে গঠিত ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ১১ নম্বর ওয়ার্ড। এ ওয়ার্ডের ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সমর্থন না পেয়ে নিজে থেকেই কাউন্সিলর পদে লড়ছেন দলটির ওয়ার্ডের সাবেক সভাপতি গাজী অলিয়ার রহমান বাবুল। আগের নির্বাচনে তিনি দল থেকে মনোনয়ন পেয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী দেওয়ান মান্নানের কাছে হেরেছিলেন মাত্র ১৩৫ ভোটে। এবার দল থেকে দেওয়ান মান্নান মনোনয়ন পেলেও সামাজিক কর্মকান্ডে অবদান রাখার জন্য বাবুল ভোটের মাঠে এগিয়ে রয়েছেন বলে এলাকাবাসী দাবি করেছেন। এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত বছর সিটি নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পরও বাবুল জনগণের পাশে ছিলেন। সুখে-দুঃখে সব সময় জনগণের পাশে ছিলেন। আগামীতে নির্বাচিত হলে এলাকায় তিনি একটি মানসম্মত কাঁচাবাজার, কমিউনিটি সেন্টার ও পাঠাগার প্রতিষ্ঠা করবেন। শিশু-কিশোরদের বিনোদনের জন্য গড়ে তুলবেন খেলার মাঠ ও পার্ক। এছাড়া মদক, সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজি রোধে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করবেন। তার সঙ্গে রয়েছে এলাকার সাধারণ জনগণ। বর্তমান কমিশনারের ভুল সীদ্ধান্তগুলো তিনি জনগণের কাছে তুলে ধরার পাশাপাশি তা সমাধানের চেষ্টার প্রতিশ্রম্নতি দিচ্ছেন। বৃহস্পতিবার এলাকায় নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর ফাঁকে বাবুল যায়যায়দিনকে বলেন, আসন্ন নির্বাচনে কাউন্সিলর নির্বাচিত হলে তার এলাকাকে মডেল ওয়ার্ড হিসেবে গড়ে তুলবেন। পাশাপাশি এলাকাবাসীর দোরগোড়ায় নাগরিক সেবা পৌঁছে দেবেন। এলাকায় মাদক ব্যবসায়ীদের তিনি উচ্ছেদ করেছেন। এর আগে তিনি এলাকার অলিগলিতে বখাটেদের দৌরাত্ম্য কমাতেও ভূমিকা রেখেছেন। এরই মধ্যে এলাকার বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রমে অংশ নিয়ে সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জন করেছেন। সাধারণ জনগণের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে তিনি কল্যাণপুর মডেল স্কুলের সভাপতি হয়েছেন। এছাড়া কল্যাণপুরের বস্তিবাসীর পুনর্বাসনের জন্যও তিনি কাজ করে যাচ্ছেন। পেশায় ব্যবসায়ী বাবুলের দাবি, তিনি দীর্ঘ ১২ বছর ১১নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। এবার থানা কমিটিতে ভালো পদ পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ কারণে তিনি এলাকার জনসাধারণের কাছে পরিচিত মুখ। গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জ হলেও তিনি এই ওয়ার্ডেই বেড়ে উঠেছেন। এ কারণে সাধারণ জনগণের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে তিনি স্বতন্ত্র নির্বাচন করছেন। গত নির্বাচনে সামান্য ভোটে হেরে যাওয়ার কারণে সাধারণ জনগণের সহমর্মীতাও রয়েছে তার প্রতি। এটিই তার বড় প্রেরণা বলেন বাবুল। এদিকে এই ওয়ার্ডে দলীয় সমর্থন পেয়ে প্রার্থী হয়েছেন বর্তমান কাউন্সিলর দেওয়ান মান্নান। ২০১৫ সালের নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ছিলেন। এছাড়া একই ওয়ার্ডে আরও ৩ জন বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছে ক্ষমতাসীন দলের। তারা হলেন, মনসুর আলী, মাহামুদুল হাসান রুবেল ও লিটন মলিস্নক। মূলত বিদ্রোহী প্রার্থী বেশি থাকার কারণে বাবুলের জয়ের সম্ভাবনা বেশি বলে দাবি করেছেন তার কর্মী-সমর্থকরা। পাশাপাশি বিএনপির প্রার্থী শামিম পারভেজের মনোনয়ন বাতিল হয়ে যাওয়ায় বিএনপির একটি অংশ বাবুলের পক্ষে কাজ করছে বলেও জানান গেছে। এ কারণে তার জয়ের সম্ভাবনা বেশি।