সাক্ষাৎকার

শিক্ষাবান্ধব আধুনিক ওয়ার্ড গড়তে চান আবুল বাশার

ডিএসসিসি ওয়ার্ড ১৯

প্রকাশ | ২৫ জানুয়ারি ২০২০, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
আবুল বাশার
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ১৯ নম্বর ওয়ার্ডকে একটি সুন্দর, পরিচ্ছন্ন ও মাদকমুক্ত এলাকা হিসেবে গড়তে চান প্রবীণ নেতা আবুল বাশার। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে তিনি এলাকার উন্নয়ন করতে চান। রাস্তাঘাটের উন্নয়নের পাশাপাশি তিনি নতুন প্রজন্মের জন্য বেশকিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন বলে জানান। বিশেষ করে এই এলাকার গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর নিরাপত্তা, শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের আসা-যাওয়া, বসার সুব্যবস্থা করবেন। মাদক, সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজির বন্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করবেন। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সমর্থন নিয়ে আসন্ন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে ১৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে লড়ছেন আবুল বাশার। দলটির ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ শাখার সাবেক সহ-সভাপতি তিনি। নির্বাচনী মাঠে নেমে সাধারণ মানুষ ও দলের নেতাকর্মীদের ব্যাপক সাড়া পাচ্ছেন উলেস্নখ করে তিনি বলেন, এলাকার বেশির ভাগ নেতাই তার পক্ষে কাজ করছেন। একজন বিদ্রোহী প্রার্থী থাকলেও দলীয় প্রধান শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তের প্রতি সম্মান রেখে সবাই তার পক্ষে আছেন। শিগগিরই বিদ্রোহী প্রার্থী তার প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেবেন। শুক্রবার যায়যায়দিনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা জানান তিনি। শুধু রাজধানীই নয় সারাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এলাকা নিয়ে এই ওয়ার্ড গঠিত। এ ওয়ার্ডে মন্ত্রিপাড়া, মিন্টু রোড, ইস্কাটন গার্ডেন, বেইলি রোড, সিদ্ধেশ্বরী, কাকরাইল ও পশ্চিম মালিবাগসহ বেশকিছু এলাকা রয়েছে। স্বাভাবিক কারণেই অন্যান্য ওয়ার্ড থেকে এই ওয়ার্ডের আলাদা গুরুত্ব রয়েছে। তাই এখানে অভিজ্ঞ ও সজ্জন হিসেবে পরিচিত স্বচ্ছ ভাবমূর্তির নেতাকে সমর্থন দিয়েছে আওয়ামী লীগ। আলাপকালে আবুল বাশার বলেন, অন্যান্য এলাকার চেয়ে এই এলাকার মানুষের চাহিদা একটু ভিন্ন। তাদের চাহিদার প্রতি সম্মান রেখেই উন্নয়ন পরিকল্পনা সাজিয়েছেন। এই এলাকার অধিকাংশ মানুষ শিক্ষিত এবং এলিট শ্রেণির হলেও মাদকের ভয়াবহতা তরুণ সমাজের জন্য হুমকিস্বরূপ। তাই নির্বাচিত হলে মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করবেন। কোনোভাবেই তার এলাকাকে মাদকের অভয়ারণ্য হতে দেবেন না। নিজ এলাকাকে শিক্ষাবন্ধব ওয়ার্ড গড়ে তোলার লক্ষ্যে পরিকল্পনা সাজিয়েছেন উলেস্নখ করে তিনি আরও বলেন, আগামী প্রজন্মকে সুশিক্ষিত করে গড়ে তুলতে পারলেই সুন্দর দেশ গড়া সম্ভব। আর সুশিক্ষিত প্রজন্ম গড়তে সুন্দর পরিবেশ দরকার। সেই পরিবেশ নিশ্চিত করবেন। এজন্য খেলার মাঠ, পার্ক ও বিনোদনের ব্যবস্থা করবেন। রাস্তাঘাট, সড়ক বাতি ও ফুটপাতের উন্নয়ন করবেন। যাতে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সবাই নিরাপদে চলাচল করতে পারে। আবুল বাশার বলেন, এলাকাবাসীর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় বেশকিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন তিনি। আধুনিক পাবলিক টয়লেট নির্মাণ, ড্রেন ও নালা-নর্দমা সব সময় পরিচ্ছন্ন রাখবেন। যাতে ডেঙ্গুসহ বিভিন্ন রোগজীবাণু থেকে এলাকার মানুষকে নিরাপদে রাখা যায়। প্রতিটি এলাকার জলাশয় যাতে পরিষ্কার থাকে সেজন্য ব্যবস্থা নেবেন। তাছাড়া নিয়মিত মশক নিধন কার্যক্রম নিশ্চিত করবেন। তিনি আরও বলেন, যুগের সাথে তাল মিলিয়ে উন্নয়ন করবেন। নির্দিষ্ট ও জনগুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলোকে ফ্রি ওয়াই-ফাইয়ের আওতায় আনবেন। নাগরিকদের সমস্যা জানার জন্য প্রতি মাসে অন্তত একবার হলেও ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন। এলাকার জনগণ ভোটের মাধ্যমে সেবা করার সুযোগ দিলে সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সাম্যের সমাজ গড়ে তুলবেন বলে জানান তিনি। আবুল বাশার: ১৯৫২ সালে ঢাকার সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন আবুল বাশার। আওয়ামী লীগের ঢাকার প্রবীণ নেতা হিসেবে এলাকায় বেশ পরিচিত তিনি। ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সদ্য সাবেক কমিটির সহসভাপতি ছিলেন। এর আগে দীর্ঘ ২২ বছর বৃহত্তর রমনা ও শাহবাগ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯৯৮-৯৯ সালে সমাজসেবার জন্য 'বাসাস স্বর্ণপদক' লাভ করেন। তাছাড়া এলাকার বেশির ভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে তার সম্পর্ক রয়েছে। মসজিদ-মন্দিরসহ ধর্মীয় ও সামাজিক কার্যক্রমেও অংশ নেন তিনি।