নির্বাচিত হলে মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স: জুয়েল

ডিএনসিসি ওয়ার্ড-১৮

প্রকাশ | ২৬ জানুয়ারি ২০২০, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
শরিফউদ্দিন জুয়েল
যুব সমাজকে মাদক, সন্ত্রাস ও উগ্রপন্থা থেকে ফিরিয়ে আনার প্রতিশ্রম্নতি ব্যক্ত করেছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে বিএনপি সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী শরিফউদ্দিন জুয়েল। তিনি বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করছি। এছাড়া এলাকায় সামান্য বৃষ্টিপাত হলে হাঁটু পানি হয়ে যায়। তাই প্রতি বছর ড্রেনেজ ব্যবস্থার কাজ করে জনদুর্ভোগ লাগব করব। যুব সমাজকে মাদক ও ক্যাসিনো থেকে ফিরিয়ে সুস্থ ধারার ক্লাব গড়ে তুলব। শনিবার যায়যায়দিনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি একথা বলেন। তিনি বলেন, নির্বাচিত হলে সব ফুটপাত ও সরকারি জায়গা দখলমুক্ত করবেন। রাস্তাঘাট প্রসস্তকরণ ও সংস্কারে সরকারের নীতিমালা অনুযায়ী কার্যকর ব্যবস্থা নেবেন। এলাকায় শিক্ষার মান উন্নয়নে সর্বাত্মক চেষ্টা করবেন। শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, কারিগরি ও গণিতের ওপর গুরুত্ব দিতে ও সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত করতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাবেন। তিনি বলেন, ওয়ার্ডের নাগরিকদের নিরাপত্তা দিতে পুরো এলাকায় সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হবে। সম্প্রতি ডেঙ্গুসহ মশাবাহিত রোগে অনেকের প্রাণহানি হয়েছে। এসব মশক নিধনে সবাইকে নিয়ে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন। ওয়ার্ডের কিছু নির্দিষ্ট জায়গায় ফ্রি ওয়াইফাই জোন করে দেবেন। এই ওয়ার্ডে কোনো কমিউনিটি সেন্টার নেই। নির্বাচিত হলে এলাকায় একটি আধুনিক মানের কমিউনিটি সেন্টার তৈরি করবেন। যাতে ওয়ার্ডের জনগণ স্বল্প খরচে সামাজিক অনুষ্ঠান সম্পন্ন করতে পারে। বিএনপির এই প্রার্থী বলেন, জনগণই ক্ষমতার উৎস। এ স্স্নোগানকে ধারণ করে একটি আধুনিক ও প্রযুক্তিনির্ভর দুর্নীতিমুক্ত জনবান্ধব ওয়ার্ড গড়া তার নির্বাচনী প্রতিশ্রম্নতি। নির্বাচিত হলে এই ওয়ার্ডে সব ধর্মের ভাইবোনদের সামগ্রিক নিরাপত্তা দেওয়া হবে। সকল প্রকার অন্যায়ের বিরুদ্ধে নীতি থাকবে জিরো টলারেন্স। সুষ্ঠু ভোট হলে হামলা-মামলা সত্বেও বিপুল ভোটে জয়ের প্রত্যাশা করছেন শরিফউদ্দিন জুয়েল। ছাত্রদলের সাবেক এই নেতা বলেন, জনগণ ভোট দেওয়ার জন্য অধীর অপেক্ষায় আছে। শুধু সুযোগ পেলে আওয়ামী লীগের প্রার্থী জাকির হোসেন বাবুলের শোচনীয় পরাজয় ঘটবে। তাই বাবুল নিজেই তার ওপর হামলা করছে। সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে বিএনপির নেতাকমীদের ওপর আক্রমণ করেছে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে হানা দিচ্ছে বাবুলের সন্ত্রাসী বাহিনী। নির্বাচন কমিশনের আচরণবিধি অনুযায়ী ৩টি নির্বাচনী ক্যাম্প করার বিধান থাকলেও বাবুল ৩৫টির মতো ক্যাম্প করেছেন। কিন্তু নির্বাচন কমিশন কোনো ব্যবস্থাই নিচ্ছে না। শরিফ উদ্দিন জুয়েল বলেন, নির্বাচনের লেভেল পেস্নইং ফিল্ড নেই। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সরকারি দলের প্রার্থীর পক্ষে সরাসরি অবস্থান নিয়েছে। বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর তিন দফা হামলার সময় পুলিশ উপস্থিত থাকলেও তারা বাবুলের সন্ত্রাসী বাহিনীর সঙ্গে এক হয়ে হামলা চালাচ্ছে। বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করছে। ব্যাডমিন্টন মার্কার এই প্রার্থী বলেন, প্রতিপক্ষ বাবুল বুঝতে পারছে গণজোয়ার তার বিরুদ্ধে। সাধারণ ভোটাররা তাকে পছন্দ করে না। এমনকি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাও তাকে পছন্দ করেন না। তাই এলাকায় কিছু সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। বাবুলের প্রতীকে ভোট না দিলে ভোটারদের বাসায় বসে থাকার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। শরিফউদ্দিন জুয়েল বলেন, ভোটারদের প্রতি আহ্বান, আপনারা আপনাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে ভোট কেন্দ্রে যাবেন। নিজেদের অধিকার নিজেদেরই আদায় করতে হবে। গণতন্ত্রের স্বার্থে, খালেদা জিয়ার মুক্তির স্বার্থে, দুনীতির বিরুদ্ধে দুঃশাসনের বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দাঁড়াতে হবে।