মিয়ানমারকে আন্তর্জাতিক আদালতের রায় মানতে হবে: তথ্যমন্ত্রী

প্রকাশ | ২৬ জানুয়ারি ২০২০, ০০:০০ | আপডেট: ২৬ জানুয়ারি ২০২০, ১০:৫৯

অনলাইন ডেস্ক
শনিবার রাঙ্গুনিয়ায় ক্ষুদ্র নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর মাঝে বিভিন্ন উপকরণ বিতরণ অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ -যাযাদি
যাযাদি ডেস্ক তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, মিয়ানমারকে আন্তর্জাতিক আদালতের রায় অবশ্যই মানতে হবে। তাদের এই রায় প্রত্যাখ্যান করার কোনো সুযোগ নেই। এটি একটি ঐতিহাসিক রায়। সেখানে যতজন বিচারক ছিলেন তারা সর্বসম্মতভাবে এই রায় দিয়েছেন। শনিবার দুপুরে রাঙ্গুনিয়ায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের 'বিশেষ এলাকার জন্য উন্নয়ন সহায়তা' শীর্ষক কর্মসূচির আওতায় উপজেলার ক্ষুদ্র নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর মাঝে বিভিন্ন উপকরণ বিতরণ ও ক্যান্সার রোগীদের অনুদানের চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আন্তর্জাতিক আদালতের রায়ে বলা হয়েছে- মিয়ানমারকে ৪ মাস পর আদালতের এই রায়ের কতটুকু বাস্তবায়ন করেছে তার রিপোর্ট করতে। যেসব দেশ এই রায়ের আগে মিয়ানমার যে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংগঠিত করেছে এবং রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে নির্মূল করেছে সেই ব্যাপারে এতদিন দ্বিধাদ্বন্দ্বে ছিল, তারা এখন মিয়ানমারকে চাপ প্রয়োগ করবে বলে আমি মনে করি। তিনি বলেন, মিয়ানমারে যখন সেখানকার রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর নিপীড়ন-নির্যাতন চালিয়েছে, যখন মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ সংগঠিত হয়েছে, রোহিঙ্গাদের যখন নির্বিচারে হত্যা করা হচ্ছিল, তখন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, আমি যদি দেশের ১৬ কোটি মানুষকে খাওয়াতে পারি, তাহলে মিয়ানমারের ১০/১১ লাখ মানুষকে খাওয়াতে পারব। সেকারণে তিনি আমাদের সীমান্ত খুলে দিয়েছেন এবং তাদের বাংলাদেশে জায়গা করে দিয়েছেন। উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে ইউএনও মো. মাসুদুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান চৌধুরী, পৌরসভার মেয়র শাহজাহান সিকদার, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার শামসুল আলম তালুকদার প্রমুখ। তথ্যমন্ত্রী রাঙ্গুনিয়া উপজেলার ক্ষুদ্র নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষাবৃত্তি হিসেবে প্রাথমিকে ১০১ জন শিক্ষার্থীকে ১২শ টাকা করে, ৬ষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির ৯৪ জন শিক্ষার্থীকে ১৫শ টাকা করে, একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির ৯ জন শিক্ষার্থীকে ৩২শ টাকা এবং ডিগ্রি ও অনার্স পর্যায়ে ২ জন শিক্ষার্থীকে ৪ হাজার ৫শ টাকা করে দেন। এছাড়া প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ে ২শ জন শিক্ষার্থীকে শিক্ষা উপকরণ এবং ২টি সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানকে ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সামগ্রী এবং ৩০ জনকে বাইসাইকেল দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে ২১ জন ক্যান্সার, কিডনি, লিভার সিরোসিস, স্ট্রোক, প্যারালাইসিস ও জন্মগত হৃদরোগীকে আর্থিক অনুদানের চেক বিতরণ করা হয়।