অপহরণকারী চক্রের আইনজীবীর সন্তানকেই অপহরণ : আটক ৮

প্রকাশ | ২৭ জানুয়ারি ২০২০, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
অপহরণকারী চক্রের সদস্যদের আদালতে আইনি সেবা দিয়ে আসছিলেন ফখরুল ইসলাম নামে এক আইনজীবী। সে সুবাদে ওই আইনজীবীর পরিবারের বিষয়ে স্পষ্ট ধারণা ছিল ওই চক্রের সদস্যদের। আর এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে আইনজীবীর সন্তানকেই অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি করে চক্রটি। গত ২১ জানুয়ারি রাজধানীর মোহাম্মদপুর বাসা থেকে বেরিয়ে তানজিম আল ইসলাম দিবস (১৭) ও মো. খালিদ হাসান ধ্রম্নব (১৯) নামে দুই শিক্ষার্থী নিখোঁজ হন। এ ঘটনায় অপহরণকারী চক্রের আট সদস্যকে আটক করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। আটকরা হলেন- ফকর উদ্দিন, মাহমুদুর রহমান রাসেল, রশিদুজ্জামান ওরফে তুষার, শফিকুল ইসলাম, এইচ এম মশিউর রহমান ওরফে পাপ্পু, ইমতিয়াজ আহমেদ, আরিফুল ইসলাম ওরফে নিশান ও আব্দুলস্নাহ আল নোমান। শনিবার দিনগত রাতে রাজধানীর ডেমরা, মতিঝিল ও মোহাম্মদপুর থানা এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি প্রাইভেটকার, তিনটি মোটরসাইকেল, ম্যাগাজিনসহ একটি পিস্তল, ডিবি পুলিশের জ্যাকেট, ডিএমপির পুলিশ সার্জেন্টেরর্ যাঙ্কব্যাজসহ পোশাক, পুলিশ কনস্টেবল পদমর্যাদার শার্ট, ওয়ারলেস সেট, চারটি পিস্তলসদৃশ লাইটারসহ বিভিন্ন সামগ্রী জব্দ করা হয়েছে। রোববার দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার আবদুল বাতেন। আবদুল বাতেন বলেন, কুড়িগ্রাম জেলা আইজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহা. ফখরুল ইসলামের ছেলে দিবস ও তার শ্যালক ধ্রম্নব গত ২১ জানুয়ারি রাজধানীর মোহাম্মদপুর বাসা থেকে বেরিয়ে অপহৃত হন। তারা আগারগাঁওয়ের আইডিবি ভবনে ল্যাপটপ কিনতে বেরিয়েছিলেন। ধ্রম্নব ঢাকা কলেজের সামাজিক বিজ্ঞান বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র ও তার ভাতিজা দিবস একটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের 'এ' লেভেলের শিক্ষার্থী। তিনি বলেন, ২২ জানুয়ারি রাত সাড়ে ৩টায় অপরিচিত একজন তানজিমের মাকে ফোন করে জানান তানজিম ও তার মামা ধ্রম্নবকে অপহরণ করা হয়েছে। অপহরণকারী চক্রের সদস্যরা নৌকা কোড ব্যবহার করে ৫০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে এবং শুক্রবার বিকাল ৫টার মধ্যে মুক্তিপণ না দিলে হত্যার হুমকি দেয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে আবদুল বাতেন জানান, আটকরা পেশাগত অপহরণকারী চক্রের সদস্য। আগেও তারা অপহরণের মামলায় কারাগারে গিয়েছিলেন। তিনি বলেন, অপহৃত তানজিমের বাবা ছিলেন অপহরণকারী চক্রের পক্ষের আইনজীবী। সে সুবাদে অপহরণকারীদের ভিকটিমের পরিবার সম্পর্কে বিস্তর ধারণা ছিল তাদের। এই সুযোগটি কাজে লাগিয়ে তারা তানজিম ও তার মামা ধ্রম্নবকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি করে।