ডিএসসিসি ওয়ার্ড-১২

বাসযোগ্য সুন্দর ওয়ার্ড গড়ার প্রত্যয় শুভ্রর

প্রকাশ | ২৮ জানুয়ারি ২০২০, ০০:০০

যাযদি রিপোর্ট
খ. ম. মামুন রশিদ শুভ্র
অবাস্তব প্রতিশ্রম্নতি নয়, বাস্তবতার আলোকে বাসযোগ্য ও সুন্দর ওয়ার্ড গড়ার প্রতিশ্রম্নতি দিয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ১২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে লড়ছেন খ. ম. মামুন রশিদ শুভ্র। প্রথমে আওয়ামী লীগের দপ্তর থেকে পাঠানো দলীয় কাউন্সিলর প্রার্থী তালিকায় তার নাম থাকলেও পরে তা পরিবর্তন করা হয়। কিন্তু নির্বাচনী মাঠ থেকে সরে যাননি তিনি। এলাকাবাসীর একান্ত আগ্রহ ও অফুরন্ত ভালোবাসার প্রতি সম্মান জানিয়ে লাটিম প্রতীকে লড়ছেন তিনি। মামুন রশিদ শুভ্র জানান, গোটা ঢাকায় উন্নয়ন হলেও এই ওয়ার্ডের মানুষের দুঃখ-কষ্ট দূর হয়নি। তাই স্থানীয়রা এলাকার উন্নয়নে নতুন জনপ্রতিনিধি খুঁজছেন। তাদের সে মনোবাঞ্ছা পূরণেই তিনি প্রার্থী হয়েছেন। তিনি বলেন, গত ২৯ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ১২ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী হিসেবে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সদ্য সাবেক কমিটির উপপ্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক খ. ম. মামুন রশিদ শুভ্রর নাম ঘোষণা করা হয়। দলের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো তালিকাতেও তারই নাম ছিল। কিন্তু পরদিন আকস্মিকভাবে প্রার্থী পরিবর্তন করে আরেকজনের নাম ঘোষণা করা হয়। এ ঘটনায় আওয়ামী লীগের কয়েকজন শীর্ষ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। পরবর্তী সময়ে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ১২ নম্বর ওয়ার্ডটি উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। মালিবাগ, শান্তিবাগ, গুলবাগ, বকশিবাগ ও ইন্দ্রপুরী নিয়ে ডিএসসিসির গঠিত ১২ নম্বর ওয়ার্ড। যেখানে প্রায় ৪২ হাজার ভোটার আছেন। তবে বৃষ্টি হলেই এলাকার বিভিন্ন সড়ক পানিতে ডুবে যায়। বর্জ্য ব্যবস্থাপনারও বেহাল দশা। সড়কবাতি বেশির ভাগই নষ্ট। কমিউনিটি সেন্টার নেই। নেই কোনো বিনোদন কেন্দ্র। তবে খেলার মাঠ ও বিনোদন কেন্দ্র গড়ে তুলতে হলে যে পরিমাণ খালি জায়গা লাগে তা এই ওয়ার্ডে নেই। অনেকটাই পুরান ঢাকার মতো ঘিঞ্জি এলাকা বলা চলে। এসব সমস্যার কথা আলোকপাত করে সোমবার যায়যায়দিনের সঙ্গে আলাপকালে কাউন্সিলর প্রার্থী মামুন রশিদ শুভ্র বলেন, এই ওয়ার্ডে অনেক সমস্যা আছে। অনেকে আকাশচুম্বী প্রতিশ্রম্নতি দিলে কোনো লাভ হবে না। বাস্তবতার আলোকে নাগরিক সমস্যাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে এলাকার উন্নয়ন কাজ করবেন। খেলাধুলা ও বিনোদনের অভাবে কিশোর ও যুবসমাজ মাদকের দিকে ঝুঁকে পড়ছে। কিশোররা রাস্তার মোড়ে মোড়ে অলস সময় পার করছে। কিশোর গ্যাং গড়ে উঠছে। এই অবস্থার পরিবর্তন করার জন্য নানা ধরনের খেলাধুলার আয়োজন করবেন তিনি। শিশু ও বৃদ্ধদের হাটা চলার জন্য কোনো পার্ক নেই। বেশিরভাগ শিশুরাই ঘরের মধ্যে বন্দি থাকে। তাদের স্বাভাবিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এ কারণে শিশুদের জন্য একটি কর্নার তৈরি করতে চান। খেলার মাঠ, জিমনেশিয়াম ও আধুনিক সুবিধাসংবলিত একটি কমিউনিটি সেন্টারও নির্মাণ করবেন। এলাকাবাসীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য পুরো এলাকাকে সিসি ক্যামেরার আওতায় আনবেন। এতে প্রত্যেকটি এলাকার রাস্তার কী অবস্থা, কোথাও ময়লা-আবর্জনা পড়ে আছে কি না সেটাও দেখা যাবে। কোথাও আবর্জনা পড়ে থাকলে তা দ্রম্নত অপসারণ করা সম্ভব হবে। রাস্তার মোড়ে বখাটেরা আড্ডা দিলে তা ক্যামেরায় ধরা পড়বে। এছাড়া এলাকার অলিগলির প্রতিটি রাস্তা তিনি আধুনিকভাবে গড়ে তুলতে চান। সে সঙ্গে প্রত্যেকটি রাস্তার সঙ্গে ফুটপাত নিশ্চিত করার ইচ্ছা রয়েছে। সরু অলিগলিগুলোকে প্রশস্ত করার জন্য বাড়িমালিকদের নিয়ে বৈঠক করে এবং তাদের সহযোগিতা নিয়ে রাস্তাগুলো প্রশস্ত করার উদ্যোগ নেওয়ার কথা জানান মামুন রশিদ শুভ্র। ঢাকা কলেজে পড়াকালীন ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন তিনি। পরে ছাত্রলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সদস্য, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। এরপর আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত হন। ২০১৬ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন।