ডিএসসিসি ওয়ার্ড-১৯

প্রতিহিংসামুক্ত ওয়ার্ড গড়তে চান কাজল

প্রকাশ | ২৮ জানুয়ারি ২০২০, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
মুন্সী কামরুজ্জামান কাজল
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ১৯ নম্বর ওয়ার্ডকে ফুটপাথ দখলমুক্ত, চাঁদাবাজমুক্ত, মাদকমুক্ত আধুনিক নাগরিক সুবিধাসংবলিত প্রতিহিংসামুক্ত এলাকা গড়ে তুলতে চান কাউন্সিলর প্রার্থী মুন্সী কামরুজ্জামান কাজল। পাশাপাশি আসন্ন নির্বাচনে কাউন্সিলর নির্বাচিত হলে গত টার্মের উন্নয়নমূলক অসমাপ্ত কাজগুলো গুরুত্ব অনুযায়ী সম্পন্ন করার প্রতিশ্রম্নতি দেন তিনি। রাজধানীর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এলাকা মন্ত্রিপাড়া, মিন্টো রোড, ইস্কাটন গার্ডেন, বেইলী রোড, সিদ্বেশ্বরী, কাকরাইল ও পশ্চিম মালিবাগসহ বেশকিছু এলাকা নিয়ে এ ওয়ার্ড গঠিত। স্বাভাবিক কারণেই অন্যান্য ওয়ার্ড থেকে এই ওয়ার্ডের আলাদা গুরুত্ব রয়েছে। বর্তমান কাউন্সিলর কাজল ছাড়াও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের অন্তত তিনজন প্রার্থী মাঠে রয়েছেন। তাদের মধ্যে দু'জনের দাবি দলীয়ভাবে এই ওয়ার্ডটির কাউন্সিলর পদ উন্মুক্ত রাখা হয়েছে। রমনা থানা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও বর্তমান ওয়ার্ড কাউন্সিলর কামরুজ্জামান কাজল এ প্রসঙ্গে বলেন, গণভবন থেকে পাঠানো তালিকায় তার নাম ছিল। এরপর কোনোভাবে এটা পরিবর্তন করা হয়েছে। এরপর তিনি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছেন। দলের হাইকমান্ডের গ্রিন সিগন্যাল নিয়েই মাঠে আছেন। তবে দলের একজন প্রার্থী তার পোস্টার লাগাতে দিচ্ছেন না। বিভিন্ন জায়গায় পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা হচ্ছে। নানা মহল থেকে হুমকি-ধমকি দেওয়া হচ্ছে। নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর জন্যও চাপ আসছে। তবে এসব ভয়-ভীতি ও হুমকি থাকলেও কোনো অবস্থাতেই নির্বাচনী মাঠ ছাড়বেন না। এর আগে কাউন্সিলর থাকাকালীন সময়ে এলাকার যে উন্নয়ন কাজ করেছেন এতে মানুষ সন্তুষ্ট। তার প্রত্যাশা উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে এলাকার মানুষ আবারও তাকেই ভোট দেবেন। আগামী ১ ফেব্রম্নয়ারি লাটিম মার্কায় তাকে ভোট দিয়ে আবারও কাউন্সিলর নির্বাচিত করলে এলাকাবাসীর সব নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করে ডিজিটাল ওয়ার্ড গড়বেন উলেস্নখ করে তিনি বলেন, কাউন্সিলরের দায়িত্ব পালনকালে মাদক, সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছেন। এলাকার বেশ কিছু স্থানে মাদকের আখড়া ছিল। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তায় মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করেছেন। মাদকের ভয়াবহতা অনেকটাই কমে এসেছে। অবৈধ দখলে থাকা খেলার মাঠ উদ্ধার করেছেন। মাদক ও অবৈধ দখলের বিরুদ্ধে কাজ করার কারণে অনেক হুমকি এসেছে। কিন্তু এ থেকে পিছপা হননি। আগামীতে নির্বাচিত হলে অসমাপ্ত কাজ সম্পন্ন করবেন। ওয়ার্ড নিয়ে নিজের পরিকল্পনা তুলে ধরে মুন্সী কামরুজ্জামান কাজল আরও বলেন, আবার কাউন্সিলর নির্বাচিত হলে পুরো এলাকাকে সিসি ক্যামেরার আওতায় নিয়ে আসব। বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় আধুনিকীকরণ, রাস্তাঘাটের সংস্কার, প্রতিটি গলিতে সড়কবাতি রক্ষণাবেক্ষণ, জলাবদ্ধতা দূরীকরণ ও সিদ্ধেশ্বরী খেলার মাঠটি আধুনিকায়ন করে সাজাব। জানা গেছে, ১৯৭১ সালের পর এই ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের কাউন্সিল ছিলেন বর্তমান পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী। এরপর প্রায় ২৫ বছর এই ওয়ার্ডে বিএনপি কাউন্সিলর ছিল। সর্বশেষ ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রথম নির্বাচনে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার আসামি ও বিএনপি নেতা আরিফুল ইসলামকে পরাজিত করে কাউন্সিলর হন মুন্সী কামরুজ্জামান কাজল। ছাত্রজীবনে যশোর সরকারি সিটি কলেজের জিএস ছিলেন কামরুজ্জামান কাজল। দীর্ঘ ১০ বছর ১৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে রমনা থানা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য তিনি। তাছাড়া সিদ্ধেশ্বরী বালক উচ্চবিদ্যালয়ের গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান তিনি।