সাক্ষাৎকার

নাগরিক দুর্ভোগ লাঘবে কাজ করবেন সেকান্দার

ডিএসসিসি ওয়ার্ড-১২

প্রকাশ | ২৯ জানুয়ারি ২০২০, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
শেখ সেকান্দার আলী
যাযাদি রিপোর্ট নির্বাচিত হলে প্রথমেই নাগরিকদের দুর্ভোগ থেকে মুক্তি দিতে চান ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিল প্রার্থী শেখ সেকান্দার আলী। তিনি ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সদ্য সাবেক কমিটির যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক ছিলেন এবং অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক কমিশনার। সেকান্দার বলেন, গত ৫ বছর এই ওয়ার্ডের উন্নয়নে তেমন কোনো কাজ না হওয়ায় এলাকার মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে কয়েকগুণ। তাই কাউন্সিলর নির্বাচিত হলে নাগরিক দুর্ভোগ লাঘবকেই নিজের প্রধান কাজ হিসেবে নিতে চান। মঙ্গলবার যায়যায়দিনের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন তিনি। মালিবাগ, গুলবাগ, শান্তিবাগ,বকশিবাগ ও ইন্দ্রপুরী এলাকা নিয়ে ডিএসসিসির ১২ নম্বর ওয়ার্ড গঠিত। প্রায় ৪২ হাজার ভোটার রয়েছে এ ওয়ার্ডে। জনসংখ্যা প্রায় ২ লাখ। ২ হাজার ৩শ হোল্ডিং রয়েছে।  সেকান্দার বলেন, এই এলাকার মানুষ বেশিরভাগ নাগরিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত। প্রায় সময়ই বাসাবাড়িতে  গ্যাস ও বিশুদ্ধ খাবার পানির সংকট দেখা দেয়। রাস্তার অলি-গলির তেমন কোনো সংস্কার করা হয়নি। বর্ষার মৌসুমে সামান্য বৃষ্টিতে সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা। বাসাবাড়ির  ময়লা-আর্বজনা যেখানে-সেখানে ফেলে রাখা হচ্ছে। পাঠাগার, শিশুদের জন্য বিনোদন কেন্দ্র বা শরীরচর্চা কেন্দ্র, কমিউনিটি সেন্টারও নেই। সন্ধ্যার পর এই এলাকার বেশিরভাগ অলিগলি হয়ে পড়ে অরক্ষিত। হাত বাড়ালেই মেলে সর্বনাশা মাদক। উঠতি বয়সের ছেলেরা জড়িয়ে পড়ছে ইয়াবা, ফেনসিডিল সেবনসহ মাদকের ভয়াল গ্রাসে। তাদের বশিরভাগই বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। নেশার টাকা জোগাড় করতে চুরি-ছিনতাইসহ নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে তারা। সেকান্দার জানান, গত পাঁচ বছর মানুষ যে কষ্ট পেয়েছে তা দেখে ব্যথিত হয়েছেন। এই অবস্থা থেকে মুক্তি দিতে কাউন্সিলর প্রার্থী হয়েছেন। নির্বাচিত হলে পরিবেশবান্ধব পরিচ্ছন্ন ও বাসযোগ্য আধুনিক ওয়ার্ড গড়বেন। তাছাড়া জলাবদ্ধতা নিরসন, মাদকমুক্ত সমাজ গঠন, পরিকল্পিত আবাসন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনার আধুনিকীকরণ ও শিক্ষার উন্নয়নে কাজ করবেন তিনি। এই এলাকার উন্নয়নে তার অবদান রয়েছে উলেস্নখ করে তিনি বলেন, এই এলাকার অধিকাংশ স্কুল, মাদ্রাসা, মসজিদ, প্রতিষ্ঠা করেছি। সামাজিক সম্প্রীতি বজায় রাখতে প্রতিনিয়তই কাজ করেছি। সমস্যা সমাধানে প্রতিনিয়তই মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি। এলাকার মানুষের ভালোবাসা ও দোয়া নিয়ে নির্বাচনী মাঠে নামার পর ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। তিনি আরও বলেন, এই ওয়ার্ডের অন্যতম সমস্যা হলো মাদক। যার ফলে যুবসমাজ ধ্বংসের মুখে। আগামী প্রজন্মকে রক্ষা করার জন্য মাদক নির্মূল করবো। বেশিরভাগ রাস্তা ভাঙাচোরা। রিকশা-গাড়ি চলতে খুবই কষ্ট হয়। মুহূর্তের মধ্যেই গলিতে জ্যাম লেগে যায়। বৃষ্টি হলেই রাস্তাঘাট পানিতে ডুবে থাকে। এসব সমস্যাগুলো প্রতিনিয়ই দেখছি। এগুলো সমাধানের জন্য পরিকল্পনাও করেছি। নির্বাচিত হলে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করব। তাছাড়া মাতৃসদন কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা, কমিউনিটি সেন্টার নির্মাণ, জায়গা পাওয়া সাপেক্ষে খেলার মাঠ ও বিনোদন কেন্দ্র বানাব। এলাকার সার্বিক নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করব। তরুণ যুব সমাজকে নিয়ে অনেক বড় স্বপ্ন আছে। আগামী ১ ফেব্রম্নয়ারি এয়ারকন্ডিশন মার্কায় ভোট দিয়ে বিজয়ী করলে আমার সব প্রতিশ্রম্নতি পূরণ করব। শেখ সেকান্দার আলী : মূলত ছাত্রলীগের মাধ্যমেই রাজনীতি শুরু করেন তিনি। ১৯৭৩-১৯৭৫ সাল পর্যন্ত আবুজর গিফারী কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। অবিভক্ত ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক কার্যনির্বাহী সদস্য ছিলেন। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সদ্যসাবেক কমিটির যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক ছিলেন। গণতান্ত্রিক আন্দোলন সংগ্রামে রাজপথে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। দুইবার অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশনের কমিশনার ছিলেন। তাছাড়া বেশকিছু শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জড়িত। শান্তিবাগ উচ্চবিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি তিনি। শান্তিবাগ সরকারি উচ্চবিদ্যালয়, পশ্চিম শান্তিবাগ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভবন উন্নয়ন নির্মাণে তার অবদান রয়েছে।