রিজভী স্বীকার করেছেন ষড়যন্ত্রে যুক্ত আছেন: হাছান

প্রকাশ | ২০ আগস্ট ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রিজভী আহমেদ প্রকারান্তরে এক-এগারোর মতো পরিস্থিতি সৃষ্টির ষড়যন্ত্রে যুক্ত আছেন স্বীকার করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘রিজভী আহমেদ বলেছেন আমাদের কমর্কাÐেই নাকি এক-এগারোর পথ প্রশস্ত হচ্ছে। এ কথা বলার মাধ্যমে রিজভী আহমেদ প্রকারান্তরে স্বীকার করে নিয়েছেন তারা এক-এগারোর মতো পরিস্থিতি সৃষ্টির ষড়যন্ত্রে যুক্ত আছেন। প্রকৃতপক্ষে এ ধরনের ষড়যন্ত্র করে লাভ হবে না। বহু ষড়যন্ত্র হয়েছে। ষড়যন্ত্র কোথায় হচ্ছে, কীভাবে হচ্ছে মোটামুটিভাবে সব খবরই সরকারের কাছে আছে।’ ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আগস্ট আসলেই নানা ষড়যন্ত্র শুরু হয়। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ১৫ আগস্ট কালরাত্রিতে হত্যা করা হয়েছে। ২১ আগস্ট বৃষ্টির মতো গ্রেনেড ছুড়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে হত্যার অপচেষ্টা করা হয়েছিল। আইভি রহমানসহ ২৪ জন নেতাকমীর্ মৃত্যুবরণ করেছিলেন। ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট সারা দেশে একযোগে ৫০০ জায়গায় বোমা হামলা হয়েছিল। এবার কিশোর-কিশোরীদের ঘাড়ে চড়ে যে ষড়যন্ত্র তা-ও আগস্ট মাসে হলো। তিনি বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ, যুদ্ধাপরাধী ও স্বাধীনতাবিরোধীরা রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করতে ব্যথর্ হয়ে হত্যার পথ বেছে নিয়েছিল। জননেত্রী শেখ হাসিনাকেও তার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ, দেশবিরোধী শক্তি, জঙ্গি-সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর মদদদাতা বিএনপি-জামায়াতসহ যারা এক-এগারোর কুশীলব তারা রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলায় ব্যথর্ হয়েছে। এ জন্য তারা নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। এক প্রশ্নের উত্তরে হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপির লোকজন হামলা করেছে। গুজব ছিল। এগুলো দিবালোকের মতো স্পষ্ট। একটি পক্ষ ড. কামাল হোসেনসহ যারা হামলায় যুক্ত ছিল তাদের মুক্তির দাবিতে সরব। কিন্তু আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কাযার্লয়ে হামলা হলো সেটি নিয়ে কথা নেই। আওয়ামী লীগের একজন নেতার একটি চোখ উপড়ে ফেলা হলো। ২১ জন গুরুতর আহতসহ ৫০ জন আহত হলো। এভাবে গুজব ছড়ানো হলো সেগুলো নিয়ে কোনো কথা নেই। তাদের কাছে প্রশ্ন, এগুলো নিয়ে তাদের কোনো বক্তব্য নেই কেন? অপর এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘আমরা জনগণের ক্ষমতায় বিশ্বাস করি। সামনে নিবার্চন। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি সাড়ে নয় বছর ধরে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের যে অভূতপূবর্ উন্নয়ন হয়েছে, জনগণের জীবনমানের উন্নতি হয়েছে, জীবনমান পরিবতর্ন হয়েছে, দেশে শান্তি-স্থিতি বজায় রয়েছে সে কারণে জনগণ আবার ভোট দিয়ে শেখ হাসিনাকে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব দেবে। এটি বুঝতে পেরেই তারা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। ষড়যন্ত্র ২০১৩, ১৪, ১৫ সালেও হয়েছিল।’ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, ভারপ্রাপ্ত মেয়র চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান।