করোনাভাইরাস আতঙ্কে চাহিদা বেড়েছে মাস্কের

প্রকাশ | ৩০ জানুয়ারি ২০২০, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
করোনাভাইরাস আতঙ্কে রাজধানীতে বসবাসকারী মানুষের মধ্যে মাস্ক বা মুখোশ ব্যবহারের প্রবণতা বেড়েছে। ছবিটি বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা থেকে তোলা -যাযাদি
জাহিদ হাসান সম্প্রতি চীনসহ বাংলাদেশের কয়েকটি প্রতিবেশী রাষ্ট্রে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস আতঙ্কে রাজধানীতে বসবাসকারী মানুষের মধ্যে মাস্ক বা মুখোশ ব্যবহারের প্রবণতা বেড়েছে। ভাইরাসজনিত রোগটি প্রতিরোধের প্রাথমিক ব্যবস্থা হিসেবে স্কুল-কলেজ থেকে শুরু করে গণপরিবহণের মতো জনাকীর্ণ পরিবেশে অনেককেই মাস্ক ব্যবহার করতে দেখা গেছে। মাসব্যাপী চলা বাণিজ্য মেলায় সরেজমিন, ঢাকার একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও মুখোশ বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য জানা গেছে। এক্ষেত্রে অধিকাংশ মাস্ক বা মুখোশ ব্যবহারকারীরা বলছেন, রাজধানীতে ধুলা-বালুময় পরিবেশে ভাইরাসজনিত বিভিন্ন ধরনের রোগ-ব্যাধির আশঙ্কা থাকে। এসব থেকে বাঁচতেই তারা মাস্ক পড়ছেন। এছাড়া সম্প্রতি আলোচিত করোনাভাইরাস আতঙ্কের কারণেও অনেকেই মাস্ক ব্যবহার করছেন বলে জানিয়েছেন। মোহাম্মাদপুর থেকে গুলশান, বাড্ডা এলাকায় যাওয়ার একমাত্র বাহন বিআরটিসি বাস। প্রতিদিন এই রুটে গণপরিবহণ তথা বিআরটিসি বাসে প্রায় কয়েক হাজার যাত্রী যাতায়াত করেন। যাদের অনেকেই মাস্ক ব্যবহার করেন। মোহাম্মাদপুরের বাসিন্দা আনোয়ার হোসেন (৪০) বলেন, তার কর্মক্ষেত্র গুলশান-১ এলাকায় হওয়ায় সপ্তাহের ৬ দিন গণপরিবহণে যাতায়াত করতে হয়। কিন্তু সকালে বাসে তিল ধারণের জায়গা না থাকায় মানুষের ভিড় ঠেলে অফিস যেতে হয়। এক্ষেত্রে যাত্রীদের-হাঁচি-কাশি থেকে রোগ-জীবাণুতে আক্রান্ত হওয়ার ভয়ে তিনি নিয়মিত মাস্ক ব্যবহার করেন। মোহাম্মাদপুর ছাড়াও বিভিন্ন রুটে চলা গণপরিবহণের আরও একাধিক যাত্রীর সঙ্গে কথা বলেও করোনা ভাইরাস আতঙ্কে মাস্ক ব্যবহার করছেন বলে জানা যায়। একইভাবে রাজধানীর প্রিপারেটরি স্কুল, ভিকারুন্নেসা নূন, মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের একাধিক শিক্ষার্থীকেও মুখোশ ব্যবহার করতে দেখা গেছে। এসব প্রতিষ্ঠানে পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের বেশ কয়েকজন অভিভাবক এবং শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলেও করোনাভাইরাস আতঙ্কে মুখোশ ব্যবহারের কথা জানা গেছে। ফার্মগেট এলাকায় মাস্ক বিক্রেতা আকরাম হোসেন যায়যায়দিনকে বলেন, 'শীতে বৃষ্টি-বাদল না থাকায় এমনিতেই মুখোশ বিক্রি বাড়ে। তবে এ বছর চীনে কিসের (করোনা) যেন ভাইরাস ছড়ানোয় গত এক সপ্তাহে মাস্ক বিক্রি দ্বিগুণ বেড়েছে'। আগারগাঁওয়ের বাণিজ্য মেলার মূল ফটকের বাইরে দুইজন মাস্ক বিক্রেতা বলেন, মেলা শুরুর প্রথম দিকে অল্পসংখ্যক মুখোশ বিক্রি হলেও গত এক সপ্তাহে বিক্রি-বাট্টা বেশ জমেছে। তাই ছোট ভাইকে নিয়ে আসছি। বই মেলাতেও বেশি করে মাস্ক বিক্রির মনস্থ করেছেন বলে জানান তিনি। কোন ধরনের মাস্ক বিক্রি হচ্ছে এমন প্রশ্নে কয়েকটি ফার্মেসির ওষুধ বিক্রেতারা যায়যায়দিনকে বলেন, ফার্মেসিভেদে ও ক্রেতার চাহিদা অনুযায়ী বাজারে ১০ টাকা থেকে শুরু করে ৩ হাজার ৫০০ টাকা মূল্যের মাস্কও রয়েছে। এসবের মধ্যে সার্জিক্যাল মাস্ক, ফিল্টার মাস্ক, রেসপিরেটর হিসেবে তৈরি ফেস মাস্ক ছাড়াও একটানা তিন-চার দিন ব্যবহার উপযোগী- এন ৯৫ মাস্ক, পি ৯৫ মাস্ক, এন ৯৯, এন ১০০, এয়ার পিউরিফিকেশন মাস্ক ও রেসপ্রো মাস্ক বিক্রি হচ্ছে।