করোনাভাইরাসে মৃতু্য বেড়ে ১৩২

বাংলাদেশিদের ফেরাতে প্রস্তুতি

প্রকাশ | ৩০ জানুয়ারি ২০২০, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
যাযাদি ডেস্ক বিশ্বজুড়ে আতঙ্ক ছড়ানো নভেল করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৩২ জনে দাঁড়িয়েছে, চীনের মূল ভূখন্ডে আক্রান্তের সংখ্যা এক দিনেই বেড়েছে ৩০ শতাংশের বেশি। চীনের ন্যাশনাল হেলথ কমিশনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বুধবার নতুন করে আরও প্রায় দেড় হাজার মানুষের দেহে প্রাণঘাতী এ ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে। কেবল চীনেই আক্রান্তের সংখ্যা ৫ হাজার ৯৭৪ জনে দাঁড়িয়েছে, যা সার্স ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যার চেয়েও বেশি। আর চীনের মূল ভূখন্ডের বাইরে আরও ১৭ জায়গায় অন্তত ৭০ জনের দেহে করোনাভাইরাস সংক্রমণের বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে। সব মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৬৫ জনে। তবে চীনের বাইরে এ ভাইরাসে কারও মৃতু্যর তথ্য এখন পর্যন্ত আসেনি। নতুন এ করোনাভাইরাস বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে চাপ বাড়ছে বেইজিংয়ের ওপর। হোয়াইট হাউজের কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, চীনের সঙ্গে উড়োজাহাজ চলাচল বন্ধ রাখার কথাও ভাবতে শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ভাইরাস ছড়ানোর ভয়ে বিশ্বের বিভিন্ন বিমান পরিবহণ সংস্থা এরই মধ্যে চীনের পথে ফ্লাইট কমিয়ে দিয়েছে। বড় আন্তর্জাতিক কোম্পানিগুলোও তাদের কর্মীদের চীনে যাতায়াতের বিষয়ে কড়াকড়ি আরোপ করেছে। বাংলাদেশিদের ফেরাতে প্রস্তুতি চীনে করোনাভাইরাস নিয়ে চলমান সঙ্কটের পরিপ্রেক্ষিতে দেশটিতে থাকা আগ্রহী বাংলাদেশিদের ফিরিয়ে আনতে চূড়ান্ত প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। চীনফেরত ওই বাংলাদেশীদের কেউ করোনাভাইরাসের বাহক কিনা তা পর্যবেক্ষণ করা হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। বুধবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় ঢাকা-সিলেট চার লেন রোড তৈরির পরিকল্পনা নিয়ে সিলেটের মন্ত্রী, সংসদ সদস্য ও রাজনীতিবিদদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এসব কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। আব্দুল মোমেন বলেন, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পরিপ্রেক্ষিতে চীন থেকে প্রবাসীরা বাংলাদেশে ফিরলে এখানেও তাদের পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। আমরা চাই না, আমাদের এখানেও এটা ছড়িয়ে পড়ুক। তবে চীন এ বিষয়ে খুবই কড়া। ১৪ দিন না হলে তাদের ফিরতে দেবে না। 'আমরা আগ্রহীদের ফিরিয়ে আনতে প্রস্তুত। তবে বাংলাদেশিরা ওখানে থাকলে ভালো সেবা পাবেন।'