ডিএসসিসি ওয়ার্ড-১৩

পল্টনকে নিরাপদ জোন করবেন আবুল

প্রকাশ | ৩০ জানুয়ারি ২০২০, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
এনামুল হক আবুল
যাযাদি রিপোর্ট সারাদেশ থেকে লোকজন আসায় অপরাধের আখড়ায় পরিণত হয়েছে রাজধানীর পল্টন এলাকা। বিভিন্ন এলাকার লোকজনের আনাগোনা থাকায় অপরাধীদের শনাক্ত করতেও হিমশিম খায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। তাই কাউন্সিলর নির্বাচিত হলে ঢাকার প্রাণকেন্দ্র পল্টনকে নিরাপদ জোন হিসেবে গড়ে তুলতে চান ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ১৩ ওয়ার্ডে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী ও দলটির পল্টন থানা সভাপতি এনামুল হক আবুল। বুধবার যায়যায়দিনের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে এসব কথা জানান তিনি। আবুল জানান, নির্বাচিত হলে কী কী কাজ করবেন এ নিয়ে আগেই পরিকল্পনা সাজিয়েছেন। বিশেষ করে পরিকল্পিত, বাসযোগ্য ও নিরাপদ ওয়ার্ড গড়তে কাজ করবেন তিনি। হকার সমস্যা, জলাবদ্ধতা ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় নিয়ে আলাদা পরিকল্পনা রয়েছে তার। এই এলাকায় ট্রাফিকের চাপ ও মানুষের চলাচল বেশি হওয়ায় বিশুদ্ধ বায়ুর ওপর চাপ পরে। সবুজ বাগান করার মতো খালি জায়গাও নেই। তাই সকল বিল্ডিংয়ের ছাদে বাগান করে দেবেন। ফুটপাথ দখলমুক্ত করে পথচারিদের অবাধ চলাচলের ব্যবস্থা করে দেবেন। আর হকারদের জন্য করবেন হলিডে মার্কেট। অব্যবহৃত জায়গা ও সড়কের অংশে হকারদের বসার ব্যবস্থা করবেন। তিনি আরও বলেন, রাস্তার ওপর কোনো ময়লার ড্রাম থাকবে না। সড়কে কাউকে ময়লা ফেলতে দেওয়া হবে না। সবার বাড়ি বাড়ি ময়লার গাড়ি যাবে। সেখান থেকে ময়লা নিয়ে যাবে। তাছাড়া শিশু-কিশোরদের জন্য খেলার মাঠ, পার্ক ও বিনোদনকেন্দ্র তৈরি করবেন। এনামুল হক আবুল  বলেন, জনগণের কাছ থেকে ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। বিগত দিনে জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী এই ওয়ার্ডে উন্নয়ন হয়নি। ফুটপাতকেন্দ্রিক যে চাঁদাবাজি তা বন্ধ করে এই ওয়ার্ডকে মাদকমুক্ত একটি আধুনিক ওয়ার্ড বানাব। পুরো ওয়ার্ড সিসিটিভি ক্যামেরা নিয়ে আসার পাশাপাশি জন্মের পর থেকে ১৮ বছর পর্যন্ত  সকলকে আইডি নাম্বার দেব যার মধ্যে সকল প্রকার তথ্য থাকবে। যাতে কোনো প্রকার অপরাধ সংঘটিত হলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দ্রম্নত শনাক্ত করতে পাবে। প্রশাসনের সহায়তা নিয়ে সকল প্রকার অবৈধ ব্যবসা বন্ধ করব। পল্টন কমিউনিটি সেন্টারকে একটি আধুনিক কমিউনিটি সেন্টার হিসেবে গড়ে তুলব।' নিজেকে আওয়ামী লীগের একনিষ্ঠ কর্মী দাবি করে তিনি আরও বলেন, 'আমি বঙ্গবন্ধুকে ভালোবাসি, ১৯৭৪ সালে মোহাম্মদপুরে বাবার সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধে আহত মুক্তিযোদ্ধাদের ক্যাম্পে পাউরুটি ও গুড় বিতরণের সময় বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়, তিনি আমাকে কাছে ডেকে মাথায় হাত বুলিয়ে আশীর্বাদ করেন। বঙ্গবন্ধুর সেই আশীর্বাদ নিয়ে আমি রাজনীতিতে বড় পরিসরে মানুষের সেবা করতে চাই। আমি মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান হিসেবে আওয়ামী লীগের সকল কর্মকান্ডে ও দলের ক্লান্তিলগ্নে সবসময় সামনের সারিতে ছিলাম এবং আমৃতু্য থাকব।' প্রতীক বরাদ্দ পাওয়ার পর থেকে ওয়ার্ডের বিভিন্ন স্থানে 'ঘুড়ি' মার্কায় ভোট চাচ্ছেন তিনি। এলাকায় প্রবীণ রাজনীতিবিদ হিসেবে বেশ পরিচিতি থাকলেও এই প্রথম কোনো নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর আগে বেশ কয়েকবার নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার ইচ্ছা পোষণ করলেও দল সমর্থন না দেওয়ায় নির্বাচনে অংশ নেননি।