চঁাদপুরের ৪০ গ্রামে আজ ঈদ

প্রকাশ | ২১ আগস্ট ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে চঁাদপুরের ৪০ গ্রামে আজ ঈদ উদযাপিত হবে। আরব দেশগুলোর সঙ্গে গ্রামগুলোর প্রায় লক্ষাধিক অনুসারী একসঙ্গে ঈদুল আজহা পালন করবেন। হাজীগঞ্জ উপজেলার সাদ্রা গ্রামের পীর বাড়ির সাদ্রা সিনিয়র মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মো. আবু বকর ছিদ্দিক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, ঈদ উযাপনে সকল প্রস্তুতি ইতোমধ্যে সম্পন্ন করা হয়েছে। এ বিষয়ে সাদ্রা দরবার শরীফের বতর্মান পীর মাওলানা আবু জোফার আব্দুল হাই জানান, সাদ্রা দরবার শরীফের তৎকালীন পীর মাওলানা ইসহাক আরব দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে আগাম রোজা রাখাসহ দুই ধমীর্য় উৎসব ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা পালনের নিয়ম চালু করেন। সাদ্রা ছাড়াও জেলার ৪০টি গ্রামের একাংশে ওই পীরের অনুসারীরা একদিন আগে ঈদসহ অন্যান্য ধমীর্য় অনুষ্ঠান উদযাপন করেন। গ্রামগুলো হচ্ছে- হাজীগঞ্জ উপজেলার বলাখাল, শ্রীপুর, মনিহার, বরকুল, অলীপুর, বেলচেঁা, রাজারগঁাও, জাকনি, কালচেঁা, মেনাপুর, ফরিদগঞ্জ উপজেলার শাচনমেঘ, খিলা, উভারামপুর, পাইকপাড়া, বিঘা, উটতলী, বালিথুবা, শোল্লা, রূপসা, গোয়ালভাওর, কড়ইতলী, নয়ারহাট, মতলবের মহনপুর, এখলাসপুর, দশানী, নায়েরগঁাও, বেলতলীসহ কচুয়া ও শাহরাস্তির কয়েকটি গ্রাম। এ ছাড়া চঁাদপুরের পাশ্বর্বতীর্ নোয়াখালী, ল²ীপুর, ভোলা, বরিশাল, পটুয়াখালী, বরগুনা, শরীয়তপুর ও চট্টগ্রাম জেলার কয়েকটি স্থানেও মাওলানা ইছহাক খানের অনুসারীরা একদিন আগে ঈদ উদযাপন করেন। জানা গেছে, ১৯২৮ সালে হাজীগঞ্জ রামচন্দ্রপুর মাদ্রাসার তৎকালীন অধ্যক্ষ মাওলানা মোহাম্মদ ইছহাক খান আরব দেশগুলোর সঙ্গে সংগতি রেখে ঈদ উদযাপনের উদ্যোগ নেন। কিন্তু স্থানীয় গ্রামবাসী অসহযোগিতা করলে সে উদ্যোগ ভেস্তে যায়। অবশেষে ধনার্ঢ্য ও প্রভাবশালী পরিবারের সন্তান মাওলানা খান ওই বছরই চলে আসেন নিজ গ্রাম একই উপজেলার সাদ্রায়। তিনি আরব দেশগুওলার রীতিনীতি অনুযায়ী ধমর্-কমর্ পালনের জন্য প্রথমে নিজ গ্রামে শুরু করেন ব্যাপক গণসংযোগ। গ্রামের অসহায়, দুস্থ মুসলমানদের প্রচুর আথির্ক সাহায্য দিয়ে আরব দেশগুলো সঙ্গে সংগতি রেখে একদিন আগে ঈদসহ সব প্রকার ধমীর্য় অনুষ্ঠান উদযাপন প্রথা চালু করেন।