মায়ের পা ধুয়ে ভালোবাসা দিবস পালন

প্রকাশ | ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে শুক্রবার টাঙ্গাইলে হাতেখড়ি প্রি-প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষার্থীরা মায়েদের পা ধুয়ে দিয়ে দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখে -যাযাদি
টাঙ্গাইলে প্রতি বছরের মতো এ বছরও ভিন্ন আঙিকে পালিত হয়েছে বিশ্ব ভালোবাসা দিবস। দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে মায়েদের পা ধুয়ে ভালোবাসা দিবস পালন করেছে হাতেখড়ি প্রি-প্রাইমারি স্কুল নামের একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। টাঙ্গাইল শহরের এসপি পার্কে ১৪ ফেব্রম্নয়ারি মায়ের প্রতি ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা জানানোর ব্যতিক্রমী আয়োজন করেছে প্রতিষ্ঠানটি। সন্তানের কাছে এমন শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা পেয়ে আবেগে আপস্নুত মায়েরা আর শিশুরা হয়েছে আনন্দিত। লামিয়া আক্তার নামে এক শিক্ষার্থী বলে, 'আমি মা ও বাবাকে খুব ভালোবাসি। মাকে সব সময় পাশে পাই। আজ আমি মায়ের পা ধুয়ে দিয়েছি। আমার খুব ভালো লাগছে।' এ আয়োজনে অংশগ্রহণকারী হামিদা আক্তার, রুমা আক্তারসহ একাধিক অভিভাবক জানান, এ রকম অনুষ্ঠান একটি সন্তানের মানসিক পরিবর্তন ও গঠনে সঠিক ভূমিকা রাখবে এবং বড় হয়ে তারা জানবে ভালোবাসা দিবস শুধু বন্ধু-বান্ধব, প্রেমিক-প্রেমিকার জন্যই নয়। এই দিনে বাবা-মাকে সময় দিতে হবে। তাদের প্রতি ভালোবাসা নিবেদন করতে হবে। আর এই অনুষ্ঠান থেকে নতুন প্রজন্মের শিশুরা তাদের পিতা-মাতার প্রতি দায়িত্ব-কর্তব্য ও শ্রদ্ধা করতে শিখবে।' হাতেখড়ি প্রি-প্রাইমারি স্কুলের উপদেষ্টা ও টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি জাফর আহমেদ বলেন, 'এ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সন্তানের প্রতি পিতা-মাতার প্রতি সন্তানের ভালোবাসা বৃদ্ধি পাবে। বৃদ্ধ বয়সে পিতা-মাতাকে কেউ দূরে রাখবে না। সকলেই কাছে রাখবে ও পিতা-মাতাকে খুব সম্মান করবে।' উদ্যোক্তা হাতেখড়ি প্রি-প্রাইমারি স্কুলের চেয়ারম্যান নওশাদ রানা সানভী বলেন, 'বর্তমান সময়ে দেখা যায় সন্তানদের অবহেলায় বৃদ্ধ বাবা-মাকে বৃদ্ধাশ্রমে যেতে হয়। যা খুবই বেদনার। আমরা মনে করি ভালোবাসা দিবসে ভালোবাসা পাওয়ার প্রথম ভাগিদার বাবা-মা। যদিও তাদের প্রতি ভালোবাসা প্রদর্শনের কোনো বিশেষ দিনের প্রয়োজন হয় না। তারপরও বিশেষ এই দিনে শিশুদের মনে বাবা-মায়ের প্রতি অটুট ভালোবাসা এনে দিতেই ১৪ ফেব্রম্নয়ারি চতুর্থ বারের মতো থাকছে মায়েদের নিয়ে ভিন্ন আঙিকে আয়োজন। মূলত নৈতিক শিক্ষায় শিশুদের গড়ে তুলতেই আমাদের এই আয়োজন।' এতে আরও বক্তব্য রাখেন টাঙ্গাইল সদর পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মো. মোশারফ হোসেন, সাংবাদিক একরামুল হক তুহিন, কাদির তালুকদার প্রমুখ। অনুষ্ঠানে শতাধিক শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা অংশ নেয়।