সরাইলে সাবেক ইউপি সদস্যকে কুপিয়ে হত্যা

প্রকাশ | ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০০:০০

স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে পূর্ব শত্রম্নতার জের ধরে প্রতিপক্ষ এলোপাথাড়ি কুপিয়ে সাবেক ইউপি সদস্য আবু বক্কর সিদ্দিক প্রকাশ রকেটকে-(৫৪) হত্যা করেছে। গত বৃহস্পতিবার রাত ৮টায় সরাইল প্রাতঃবাজারে এ ঘটনা ঘটে। নিহত রকেট মেম্বার সরাইল সদর ইউনিয়নের ব্যাপারীপাড়া গ্রামের মৃত চমক ব্যাপারীর ছেলে। তিনি সরাইল সদর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার ছিলেন। এ ঘটনার পর আবু বক্কর সিদ্দিক রকেটের সমর্থক ও উত্তেজিত জনতা ঘটনার জন্য প্রতিপক্ষ বর্তমান মেম্বার শাহ আলমকে দায়ী করে তার বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে পুলিশ ৪ জনকে আটক করেছে। গতকাল শুক্রবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নিহতের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, এলাকার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সরাইল সদর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের বর্তমান মেম্বার মো. শাহ আলমের সাথে একই ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার আবু বক্কর সিদ্দিক প্রকাশ রকেটের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। এনিয়ে দুই মেম্বারের সমর্থকদের মধ্যে ইতোপূর্বে একাধিকবার সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটে। উভয়পক্ষের মধ্যে আদালতে একাধিক মামলাও চলমান। প্রতিপক্ষের একটি মামলায় দীর্ঘ ৩ মাস কারাভোগ করে গত কয়েকদিন আগে জামিনে মুক্তি পান রকেট মেম্বার। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গত বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে একটি কালো রঙের মাইক্রোবাসে করে দুর্বৃত্তরা সরাইল উপজেলা সদরের প্রাতঃবাজারে প্রবেশ করে। পরে দুর্বৃত্তরা মাইক্রোবাস থেকে নেমে বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। এ সময় বাজারের মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে ও সাধারণ মানুষ প্রাণভয়ে দিক-বেদিক ছোটাছুটি করতে থাকেন। এ সময় বাজারের পাশে একটি দোকানে বসে থাকা অবস্থায় সাবেক মেম্বার আবু বক্কর সিদ্দিক প্রকাশ রকেটকে দুর্বৃত্তরা এলোপাথাড়ি কুপিয়ে গুরুতর জখম করে পালিয়ে যায়। এ সময় রকেট মেম্বারকে বাঁচাতে গিয়ে কয়েকজন আহত হয়। পরে স্থানীয়রা তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক এবিএম মুছা চৌধুরী তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নিহতের স্ত্রী নাছিমা বেগম এ ঘটনার জন্য সরাইল সদর ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের বর্তমান মেম্বার শাহ আলম ও তার অনুসারীদের দায়ী করে দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করেন। এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মুহাম্মদ আলমগীর হোসেন জানান, এ ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে চারজনকে আটক করা হয়েছে। পরবর্তী হামলার আশঙ্কায় এলাকায় বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।