নদী দখলরোধে জনগণকে সম্পৃক্ত করতে চায় সরকার

প্রকাশ | ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
যাযাদি রিপোর্ট দেশের সব নদীর দখল, দূষণরোধ ও নাব্য ফিরিয়ে আনতে ব্যাপকভাবে স্থানীয় জনগণকে সম্পৃক্ত করতে চায় সরকার। এ জন্য আগামী তিন মাসের মধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে স্থানীয় সরকার বিভাগ এবং বিআইডবিস্নউটিএ। স্থানীয় সরকার, পলস্নী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে গত রোববার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের সভাকক্ষে ঢাকার চারপাশের নদীগুলোর দূষণরোধ ও নাব্য বৃদ্ধির জন্য মাস্টারপস্ন্যান তৈরি-সংক্রান্ত কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠকের কার্যপত্র থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে। কার্যপত্রে বলা হয়, 'নদীর পরিবেশ-প্রতিবেশ রক্ষায় স্থানীয় জনগণকে সম্পৃক্ত করা প্রয়োজন। নদীতীরে অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ, নদী দূষণরোধ, বনায়ন, নদীর সার্বিক পরিবেশ রক্ষায় স্থানীয় জনগণ বিশেষ ভূমিকা পালন করতে পারে।' 'নদীতীরে ঘাট নির্মাণ, বৃক্ষরোপণ, সৌন্দর্য বর্ধন, পানি দূষণরোধে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। স্থানীয় সরকার বিভাগ এবং বিআইডবিস্নউটিএ (বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহণ কর্তৃপক্ষ) এ বিষয়ে আগামী তিন মাসের মধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে।' 'এছাড়া ব্যাপক গণসচেতনতা সৃষ্টিতে নদী দূষণের কারণ এবং এর ক্ষতিকর প্রভাব ও প্রতিকারের বিষয়ে রেডিও, টিভি, সংবাদপত্রসহ বিভিন্ন মিডিয়া, মাইকিং, সভা-সেমিনার, প্রচারপত্রের মাধ্যমে জনসাধারণ, শিক্ষার্থী, পেশাজীবী, চাকরিজীবী, শ্রমিক, কৃষকসহ সর্বস্তরের জনগণকে সচেতন ও উদ্বুদ্ধকরণ এবং এ কাজে সম্পৃক্ত করতে হবে।' 'নদী বাঁচাও, দেশ বাঁচাও আন্দোলনকে আরও জোরদার করতে হবে। প্রাথমিক পর্যায়ে দুই মাসব্যাপী এবং পরবর্তীতে অব্যাহতভাবে প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যেতে হবে। এছাড়া তথ্য মন্ত্রণালয়, নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার বিভাগ, সিটি করপোরেশন, জেলা প্রশাসন, ওয়াসা, বিআইডবিস্নউটিএ ও পরিবেশ অধিদপ্তর কর্তৃক চলতি বছরজুড়ে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে'- বলা হয় কার্যপত্রে। এদিকে, গত রোববার ওই বৈঠক শেষে স্থানীয় সরকার, পলস্নী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, আগামী ১০ বছরের মধ্যে দেশে সব নদীর দখল, দূষণরোধ ও নাব্য ফিরিয়ে আনতে চায় সরকার। ঢাকার চারপাশের দূষণরোধ ও নাব্য ফিরিয়ে আনার জন্য আগেই মাস্টারপস্ন্যান গ্রহণ করা হয়েছে। এবার পদ্মা, মেঘনা, তুরাগ ও পুংলী নদীর জন্য ১০ বছর মেয়াদি মাস্টারপস্ন্যান প্রণয়নে রূপরেখা চূড়ান্তে সাবকমিটি গঠন করা হয়েছে। তিনি বলেন, দখল, দূষণরোধ ও নাব্য বৃদ্ধির জন্য ঢাকার চারপাশের নদীগুলোর জন্য ১টি এবং কর্ণফুলী নদীর জন্য ১টি মাস্টারপস্ন্যান অনুমোদন হয়েছে আগেই। তৃতীয় মাস্টারপস্ন্যান হচ্ছে পদ্মা, মেঘনা, তুরাগ ও পুংলী নদী নিয়ে। সভায় তৃতীয়টির রূপরেখা চূড়ান্ত হলো। 'মাস্টারপস্ন্যানের অংশ হিসেবে নদীকে দূষণ থেকে রক্ষায় আন্তঃমন্ত্রণালয় পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি প্রকল্প ১০ বছর মেয়াদে কাজ শুরু করা হবে। অল্প সময়ের মধ্যে এটার রেজাল্ট পাবে নগরবাসী। দূষণ ও খাল দখল রোধে রাজউক, ওয়াসা এবং স্থানীয় সরকার একসঙ্গে কাজ করবে'- যোগ করেন মন্ত্রী।