বিমানবন্দর ও নৌবন্দরের সুবিধা নিন, নেপালকে প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ | ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বুধবার তার কার্যালয়ে বাংলাদেশে সফররত নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রদীপ কুমার গেওয়ালী সাক্ষাৎ করেন -ফোকাস বাংলা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের বিমানবন্দর ও সমুদ্রবন্দর সুবিধা গ্রহণের জন্য নেপালের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। সফররত নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রদীপ কুমার গেওয়ালী বুধবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে (পিএমও) সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি এই আহ্বান জানান। প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'বাংলাদেশ সব সময়ই প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সঙ্গে সহযোগিতাকে অগ্রাধিকার দিয়ে থাকে।' বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। বৈঠকে তারা দু'দেশের মধ্যে কানেক্টিভিটি, বিদু্যৎ খাতে সহযোগিতা এবং ব্যবসা-বাণিজ্যের সম্প্রসারণসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। এই অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে সংযোগ স্থাপনের ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার সৈয়দপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরকে আঞ্চলিক কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলছে। 'নেপাল এবং ভুটান সৈয়দপুর বিমানবন্দর এবং চট্টগ্রাম ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে পারস্পরিক সুবিধার স্বার্থে ব্যবহার করতে পারে,' যোগ করেন তিনি। এই অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে সংযোগ স্থাপন এবং বিবিআইএন সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি সর্বদা নেপালকে ট্রানজিট দেওয়ার পক্ষে ছিলেন। বিদু্যৎ খাতে সহযোগিতার বিষয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশ, ভারত ও নেপালের ত্রিপক্ষীয় উদ্যোগে নেপালে জলবিদু্যৎ উৎপাদনের প্রকল্প গ্রহণ করা যেতে পারে। এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ইতোমধ্যেই ভারত থেকে বিদু্যৎ ক্রয় করছে। বাংলাদেশ শীতকালে নেপালে তরিতরকারি এবং মাছও রপ্তানি করতে পারে বলেও তিনি উলেস্নখ করেন। প্রধানমন্ত্রী ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় নেপালের সমর্থনের কথাও স্মরণ করেন। বৈঠকে প্রদীপ কুমার গেওয়ালী বলেন, নেপাল বাংলাদেশের সঙ্গেও দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে একটি নতুন মাত্রা দিতে চায়। নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের দ্রম্নত আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, নেপালও উন্নতি করছে কেননা এ বছর দেশটি ৭ দশমিক ১ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব সম্পর্কে তিনি বলেন, বাংলাদেশ এবং নেপাল জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে সবথেকে ঝুঁকির মুখে রয়েছে। সফররত নেপালি মন্ত্রী তাঁর সঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন এবং বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির সঙ্গে বিস্তারিত এবং ফলপ্রসূ বৈঠক সম্পর্কেও প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেন। প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব ড. আহমদ কায়কাউস, নেপালে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাশরাফি বিনতে শামস এবং বাংলাদেশে নেপালের রাষ্ট্রদূত ড. বংশীধর মিস্র এ সময় উপস্থিত ছিলেন।