শহিদ মিনারের্ যাবের ৩ স্তরের নিরাপত্তা

প্রকাশ | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
একুশে ফেব্রম্নয়ারিতে ভাষা শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের আয়োজন ঘিরে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার এলাকাকে পাঁচটি সেক্টরে বিভক্ত করে তিন ধাপের নিরাপত্তা ব্যবস্থা হাতে নিয়েছের্ যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র্(যাব)। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা জানানর্ যাবের মহাপরিচালক (ডিজি) বেনজীর আহমেদ। র্ যাব ডিজি বলেন, অমর একুশের নানা আয়োজনকে নির্বিঘ্ন করতে বহুমুখী নিরাপত্তা ব্যবস্থা হাতে নেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার এলাকায় তিন ধাপে নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছের্ যাবের। প্রথম ধাপ আজ (বৃহস্পতিবার) দুপুর পর্যন্ত, বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত দ্বিতীয় ধাপ এবং পরবর্তী সময়ে তৃতীয় ধাপের নিরাপত্তা ব্যবস্থা বলবৎ থাকবে। তবে দ্বিতীয় ধাপের নিরাপত্তা ব্যবস্থা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার এলাকাকে পাঁচ সেক্টরে বিভক্ত করে সার্বিক নিরাপত্তায়র্ যাব প্রস্তুত থাকবে জানিয়ে তিনি বলেন, পুরোএলাকায় পর্যাপ্ত পরিমাণ ফুট পেট্রল, বাইক ও কার পেট্রল টিম নজরদারি করবে। সাদা পোশাকে বিপুল সংখ্যকর্ যাব সদস্য দায়িত্ব পালন করবে। নিরাপত্তায়র্ যাব স্পেশালাইজড ইকুয়েপমেন্টের কথা উলেস্নখ করে বেনজীর আহমেদ বলেন, যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় স্পেশাল ফোর্স রিজার্ভ থাকবে এবংর্ যাবের হেলিকপ্টার স্ট্যান্ডবাই থাকবে। 'আজিমপুর কবরস্থানেও অনেকে শহিদদের কবরে শ্রদ্ধা জানাবেন, সেখানেওর্ যাবের নিরাপত্তা ব্যবস্থা বলবৎ থাকবে। এছাড়া ঢাকার বাইরে বিভাগীয় এবং জেলা পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় একুশের নিরাপত্তায়র্ যাবের নজরদারি থাকবে,' যোগ করেন তিনি। র্ যাব ডিজি বলেন, নিরাপত্তা বর্তমান জীবনে অক্সিজেনের মতো। এখন এটাকে ভিন্নভাবে দেখার সুযোগ নেই। আমেরিকার টুইন টাওয়ার বিপর্যয়ের পর থেকেই বিশ্বব্যাপী নিরাপত্তার বিষয়টি ভিন্ন মাত্রা পেয়েছে। এটি এখন দৈনন্দিন জীবন-যাত্রারই অংশ। 'এ ধরনের জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্টে যত বেশি নিরাপত্তা থাকবে, মানুষ তত স্বাচ্ছন্দ্যে এবং আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে অংশ নিতে পারবেন। নিরাপত্তার বিষয়টি এখন শুধু বাংলাদেশেরই বিষয় নয়, এটি বৈশ্বিক চিত্র। বাংলাদেশও নিরাপত্তার ক্ষেত্রে গেস্নাবাল স্ট্যান্ডার্ড মেইনটেইন করে থাকে। তাই নিরাপত্তা বিষয়টিকে অতিরিক্ত না দেখে জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে দেখা উচিত।' র্ যাব প্রধান বলেন, আমরা প্রতিনিয়ত হুমকির বিষয়টি পর্যালোচনা করছি।র্ যাবের নিজস্ব গোয়েন্দা সংস্থা অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে তথ্য-উপাত্ত পর্যালোচনা করছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতেও নজর রয়েছে। 'যেকোনো হুমকির বিষয়টি মাথায় রেখে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা হাতে নেওয়া হয়েছে এবং প্রয়োজনে তা হালনাগাদ করা হবে,' বলেন তিনি।