তিন জেলায় বন্দুকযুদ্ধে ডাকাতসহ নিহত ৪

প্রকাশ | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
দেশের তিন জেলায় বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ও শুক্রবার ভোরে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে ডাকাতসহ চারজন নিহত হয়েছেন। কুমিলস্নায় দুইজন, নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে একজন এবং কক্সবাজারে একজন নিহত হন। আমাদের প্রতিনিধি ও সংবাদদাতাদের পাঠানো খবর: কুমিলস্না: জেলার আদর্শ সদর উপজেলায় পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে সন্দেহভাজন দুই ডাকাত নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে উপজেলার পালপাড়া সেতু এলাকায় বন্দুকযুদ্ধের এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ জানায়, নিহত দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে থানায় চুরি, ডাকাতি ও রাহাজানির সাত-আটটি মামলা রয়েছে। বন্দুকযুদ্ধের সময় পুলিশের তিন সদস্য আহত হন। নিহত দুজন হলেন কুমিলস্না নগরের বাটপাড়া এলাকার ইমন মিয়া (৪০) ও আড়াইওড়া এলাকার জাহাঙ্গীর আলম (২৮)। পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১টার দিকে সেতু এলাকায় একদল ডাকাত ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে গোপন সূত্রে খবর পায় পুলিশ। কুমিলস্নার কোতোয়ালি থানা-পুলিশ ও ডিবি-পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাতেরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। ওই সময় আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পালটা ২৫টি গুলি ছোড়ে। এ সময় সন্দেহভাজন দুই ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ হন এবং আহত হন পুলিশের তিন সদস্য শাহিন কাদির, জহিরুল হক ও মো. আবদুস সবুর। তাদের উদ্ধার করে কুমিলস্না মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে গুলিবিদ্ধ দুজন মারা যান। পুলিশ জানায়, ঘটনাস্থল থেকে একটি দেশীয় অস্ত্র ও কয়েকটি গুলির খোসা এবং ডাকাতির সরঞ্জাম, অর্থ জব্দ করা হয়েছে। বন্দুকযুদ্ধের তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন কুমিলস্না জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) পরিমল দাস। তিনি জানান, এ ঘটনায় ডাকাতি, অস্ত্র নিয়ন্ত্রণসহ পৃথক তিনটি মামলা করার প্রক্রিয়া চলছে। রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) : নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের্ যাবের সঙ্গে বন্দুক যুদ্ধে অজ্ঞাত এক মাদক ব্যবসায়ী (৪০) নিহত হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টায় উপজেলার কালনী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। বন্দুকযুদ্ধে নিহত মাদক ব্যবসায়ীর নাম পরিচয় পাওয়া যায়নি। র্ যাব-১ পূর্বাচল ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মেজর আব্দুলস্নাহ আল মেহেদী জানান, গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৩টার দিকের্ যাব-১ পূর্বাচল ক্যাম্পের সদস্যরা উপজেলার কালনী চেকপোস্টে ডিউটি করাকালীন একটি গাজীপুরগামী একটি প্রাইভেটকারকে (ঢাকা মেট্রো-গ-৯৫২৩) সিগন্যাল দিয়ে থামানোর চেষ্টা করলে প্রাইভেটকারটি চেকপোস্টটি অতিক্রম করে দ্রম্নত চলে যায়। পরের্ যাব প্রাইভেট কারটি ধাওয়া করে ধরার চেষ্টা করলে প্রাইভেট কারের ভেতরে থাকা চারজন অজ্ঞাত ব্যক্তির্ যাবকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করেন। এ সময়র্ যাব পালটা গুলি ছুড়লে একজন গুলিবিদ্ধ হয়। বাকি তিনজন পালিয়ে যায়। এ সময় দুইটি পিস্তল, দুইটি ম্যাগাজিন, সাত রাউন্ড গুলি, ২৯৬ বোতল ফেনসিডিল ও ৫ কেজি গাঁজাসহ প্রাইভেট কারটি জব্দ করেছের্ যাব। পরে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ওই ওই মাদক ব্যবসায়ীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরের্ যাব মরদেহটি রূপগঞ্জ থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন। মরদেহটি মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ের্ যাব বাদী হয়ে রূপগঞ্জ থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। নিহতের নাম পরিচয় জানা যায়নি বলে জানান মেজর আব্দুলস্নাহ আল মেহেদী। কক্সবাজার : জেলায় কথিত বন্দুকযুদ্ধে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন; যিনি মাদক ও মানবপাচার মামলার আসামি বলে পুলিশের ভাষ্য। টেকনাফ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) প্রদীপ কুমার দাশ জানান, শুক্রবার ভোরে টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের হারিয়াখালী এলাকায় মেরিন ড্রাইভ সড়কের পাশে গোলাগুলির এ ঘটনা ঘটে। নিহত মোজাহের আহমদ টেকনাফে সাবরাং ইউনিয়নের হারিয়াখালী এলাকার হাকিম আলীর ছেলে। পরিদর্শক প্রদীপ বলেন, 'মোজাহের একজন চিহ্নিত মাদক ও মানবপাচার চক্রের সদস্য। মাদক ও মানবপাচারে জড়িত অভিযোগে তার বিরুদ্ধে টেকনাফ থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। এসব মামলায় তিনি দীর্ঘদিন ধরে পলাতক ছিলেন। ভোরের দিকে হারিয়াখালী এলাকায় মাদক পাচারকারী চক্রের সদস্যরা অবস্থান করছে বলে খবর পেয়ে পুলিশ অভিযান চালায়। পুলিশ লক্ষ্য করে তারা অতর্কিতে গুলি ছুড়তে থাকে। পুলিশ আত্মরক্ষার্থে পালটা গুলি ছুড়লে পাচারকারী চক্রের কিছু সদস্য পালিয়ে গেলেও মোজাম্মেল গুলিবিদ্ধ হন।' হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন বলে জানান পরিদর্শক প্রদীপ। তিনি বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি বন্দুক, তিনটি গুলি ও পাঁচ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করেছে।