আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রী

মা যাদের রান্না করে খাওয়াতেন তারাই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছেন

আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, পাকিস্তানিরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করতে পারেনি, কিন্তু এদেশীয় দালালরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে হারের প্রতিশোধ নিয়েছে

প্রকাশ | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শনিবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলনকেন্দ্রে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন -ফোকাস বাংলা
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পাকিস্তানিরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করতে পারেনি, কিন্তু এদেশীয় দালালরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে হারের প্রতিশোধ নিয়েছে। আমাদের বাড়িতে যারা আশা-যাওয়া করতেন, আমার মা যাদের রান্না করে খাওয়াতেন, তারাই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছেন। শনিবার বিকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলনকেন্দ্রে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৪৮ সালে ছাত্রলীগ, তমদ্দুন মজলিশ ও অন্যান্য ছাত্র সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত হয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ। ১১ মার্চ ১৯৪৮ সালে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে সংগ্রাম পরিষদ ধর্মঘট ডাকে। এদিন সচিবালয়ের সামনে থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ অনেক ছাত্রনেতা গ্রেপ্তার হন। ১৫ মার্চ তারা মুক্তি পান। ১৬ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আমতলায় অনুষ্ঠিত জনসভায় সভাপতিত্ব করেন বঙ্গবন্ধু। তিনি বলেন, মাতৃভাষার দাবিতে আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে সারাদেশে। বঙ্গবন্ধুকে ১৯৪৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর ফরিদপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। ১৯৪৯ সালের ২১ জানুয়ারি তিনি মুক্তি পান। ১৯ এপ্রিল আবার তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। জুলাই মাসের শেষে তিনি মুক্তি পান। ১৪ অক্টোবর ঢাকায় বঙ্গবন্ধুকে আবারও গ্রেপ্তার করা হয়। কারাগার থেকেই তার দিকনির্দেশনায় আন্দোলন বেগবান হয়। সেই দুর্বার আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রম্নয়ারি শাসকগোষ্ঠীর জারি করা ১৪৪ ধারা ভাঙতে গিয়ে প্রাণ দিয়েছিলেন ভাষা শহিদরা। বাংলাদেশ এখন বিশ্বে উন্নয়নের 'রোল মডেল' এ কথা উলেস্নখ করে শেখ হাসিনা বলেন, এই বাংলাদেশ নিয়ে অতীতে অনেকে অনেক কথা বলেছেন। এখন আর কোনো কথা বলার সুযোগ নেই। কারণ, আমরা খাদ্য উৎপাদনে উদ্ধৃত, ঘূর্ণিঝড়, বন্যাসহ সব দুর্যোগ আমরা মোকাবিলা করতে শিখেছি। বাংলাদেশ এখন বিশ্বের কাছে মর্যাদাশীল দেশ। আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনাদের ওপর একটা দায়িত্ব, সেটা হলো কোন লোকটা গৃহহারা আছে, তা খুঁজে বের করা। একটি লোক বাংলাদেশের গৃহহারা থাকবে না। গৃহহীনদের তালিকা তৈরি করেন। প্রত্যেককে ঘর করে দেয়া হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, রূপকল্প ২০২১ ও ২০৪১ এবং ডেল্টা পস্ন্যান-২১০০ বাস্তবায়নের মাধ্যমে আমরা জাতির পিতার ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত ও সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে কাজ করে যাচ্ছি। আসুন, দৃঢ় সংকল্পে আবদ্ধ হই- মহান একুশের চেতনায় উদ্বুব্ধ হয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলব।