মহাসড়ক ঘেঁষে সবজি চাষ, অর্থ-পুষ্টি বারো মাস

প্রকাশ | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
দেশের সড়ক-মহাসড়কের দুই ধারে বেশিরভাগ পরিত্যক্ত জায়গা ভরে আছে আগাছায়। অন্যদিকে জনবসতি বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে কমছে দেশের কৃষিজমি। তাই দেশের এক ইঞ্চি জায়গাও যেন পরিত্যক্ত পড়ে না থাকে সেজন্য প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন সংশ্লিষ্টদের। তার ওই নির্দেশনার আলোকে 'অব্যবহৃত জায়গায় সবজি ও ফলের চাষ, অর্থ-পুষ্টি বারো মাস' শীর্ষক ইনোভেশন আইডিয়া বাস্তবায়নে কাজ করছে কৃষি বিভাগ। এই উদ্ভাবনী আইডিয়ার দারুণ ফল মিলছে গাইবান্ধা-সাঘাটা আঞ্চলিক মহাসড়কের দুই ধারে। সড়কটির কয়েক কিলোমিটার এলাকায় অব্যবহৃত জায়গায় গড়ে তোলা হয়েছে সবজি বাগান। চাষ করা হয়েছে শিম, লাউ, করলা, বেগুন, মরিচসহ বিভিন্ন জাতের সবজি। কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় স্থানীয়রা এ সবজি চাষ করে যেমন নিজেরা খেতে পারছেন, তেমনি বাজারে বেচে করতে পারছেন আয়ও। আগামীতে দেশের সবজি চাহিদা মেটাতে এই উদ্যোগ সারাদেশে বাস্তবায়ন করা হবে বলে জানাচ্ছেন কৃষি বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। সূত্র জানায়, দেশে ৩ হাজার ৭৯০ কিলোমিটার জাতীয়, ৪ হাজার ২০৬ কিলোমিটার আঞ্চলিক, ১৩ হাজার ১২১ কিলোমিটার জেলা এবং ৩ লাখ ৩৩ হাজার ৫৮৯ কিলোমিটার স্থানীয় সড়ক আছে। এই \হসড়কগুলোর দুই ধারে পরিত্যক্ত জায়গা ভরে থাকে আগাছায়। সেজন্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার আলোকে এসব জায়গাও চাষবাসের জন্য কাজে লাগাচ্ছে কৃষি বিভাগ। মহাসড়কের পাশের সবজি চাষি সাঘাটার যাদুরতাইর গ্রামের আসাদুল ইসলাম বলেন, আমরা কখনো ভাবতেও পারিনি যে মহাসড়কের পাশে সবজি চাষ করে নিজেদের পরিবারের চাহিদা মেটানো সম্ভব। কিন্তু কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় তা সম্ভব হয়েছে। একই গ্রামের চাষি আইজ উদ্দিন বলেন, এ বছর শিম, লাউ, করলা, বেগুন, মরিচসহ হরেক রকমের সবজির চাষ করে নিজেদের পরিবারের চাহিদা মিটিয়েছি। বিক্রি করেছি বাজারেও। আগামীতে আরও মনোযোগ দিয়ে সবজি চাষ করব। সাঘাটা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-সহকারী কৃষি অফিসার গোলাম মওলা জানান, এই প্রকল্প বাস্তবায়নে কৃষকদের সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে। ইনোভেশন আইডিয়াদাতা কর্মকর্তা ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের বস্নুগোল্ড প্রোগ্রাম অফিসার মো. রেজওয়ানুল ইসলাম বলেন, দেশের উত্তরের জেলা রংপুরের মিঠাপুর উপজেলার পরে গাইবান্ধার সাঘাটায় এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে পেরে আমি অনেক খুশি। আসলে জনসংখ্যা বেড়ে যাওয়ার সাথে সাথে ঘরবাড়িও বাড়ছে, পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে কমে যাচ্ছে দেশের কৃষিজমি। এই পরিস্থিতিতে দেশের এক ইঞ্চি জায়গাও যেন পরিত্যক্ত না থাকে, এমন নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তার নির্দেশনার আলোকেই দেশের সড়ক-মহাসড়কের পাশে সবজি চাষের এই কর্মসূচি বাস্তবায়নে কাজ চলছে।