২০২১ সালকে পর্যটন বর্ষ ঘোষণার উদ্যোগ

প্রকাশ | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ২০২১ সালকে পর্যটন বর্ষ হিসেবে ঘোষণার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী। শনিবার দুপুরে রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান। 'বাংলাদেশের পর্যটন : সুযোগ ও চ্যালেঞ্জ' শীর্ষক এই সেমিনার যৌথভাবে আয়োজন করে বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন মন্ত্রণালয় এবং ভ্রমণ ম্যাগাজিন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আগামী বছরকে পর্যটন বর্ষ ঘোষণা করতে কাজ চলছে। প্রধানমন্ত্রীর সম্মতিপ্রাপ্তির পর এ ব্যাপারে বিস্তারিত কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পর্যটনের নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে। মাহবুব আলী বলেন, পর্যটন প্রতিযোগিতার বাজার, যে যত বেশি সেবা দেবে, তার দিকেই ঝুঁকবে পর্যটক। সেবার মান নিশ্চিত করতে পারলে আমাদের পর্যটনশিল্প বিকশিত হবে। আগে হয়নি বলে বর্তমানে হবে না, এটি কোনো কথা নয়। ইচ্ছা, উদ্যম ও পরিশ্রম থাকলে সবকিছু অর্জন করা সম্ভব। প্রধানমন্ত্রীর ঐকান্তিক ইচ্ছা এবং কর্মে এ দেশ আজ সারা বিশ্বে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। সুতরাং, আমরা যদি পরিশ্রম করি এবং উদ্যমী হই, তবে পর্যটনে অবশ্যই দৃশ্যমান পরিবর্তন আনা সম্ভব। তিনি বলেন, এতদিন নানা কারণে দেশের পর্যটনশিল্পের বিকাশ হয়নি। প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এখন পর্যটনশিল্পের বিকাশ নিশ্চিত করা হবে। স্টেকহোল্ডারদের সুপারিশ শতভাগ বাস্তবায়ন করা হবে। আমরা আহসান মঞ্জিল, লালবাগ কেলস্না, ছোট কাটরা, জাতীয় সংসদ ভবনসহ সব ঐতিহাসিক ও পুরাতাত্ত্বিক স্থাপনা ব্র্যান্ডিং করব। দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির প্রভূত উন্নতি হয়েছে উলেস্নখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশের প্রতিটি জায়গায় প্রতিটি কোণে এখন পর্যটকরা নিরাপদে বিচরণ করতে পারছেন। টু্যরিস্ট পুলিশ গঠন করায় দেশের প্রতিটি পর্যটনকেন্দ্রে পর্যটকদের বাড়তি নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়েছে। পর্যটক গেলে বের হতে পারবে না- এমন পরিস্থিতি আর নেই। মাহবুব আলী বলেন, পর্যটন মহাপরিকল্পনা প্রণয়নের কাজ শুরু হয়েছে। দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞ নিয়োগ দেয়া হয়েছে। আমাদের সম্ভাবনা ও ঘাটতির জায়গাগুলো তারা চিহ্নিত করবে। তারা আমাদের পরামর্শ দেবে পর্যটন উন্নয়নের জন্য, সেটা আমরা দ্রম্নত বাস্তবায়ন করব। আমাদের মানসিকতায় পরিবর্তন আনতে হবে। মনে রাখতে হবে, বিদেশি পর্যটক আকৃষ্ট করতে সুযোগ-সুবিধা দিতে হবে, তাদের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ থাকতে হবে। শ্রদ্ধাবোধ ও সহনশীলতা ছাড়া পর্যটনের বিকাশ সম্ভব নয়। পর্যটন বিকাশের জন্য আমাদের জাতি হিসেবে পর্যটনবান্ধব হতে হবে। ট্রাভেল ম্যাগাজিন ভ্রমণের সম্পাদক আবু সুফিয়ানের উপস্থাপনায় সেমিনারে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ টু্যরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জাবেদ আহমেদ, পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যান রাম চন্দ্র দাস, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মোকাব্বির হোসেন, টু্যরিস্ট পুলিশের ডিআইজি মলিস্নক ফখরুল ইসলাম, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান মো. সবুর খান ও গেস্নাবাল টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নওয়াজিশ আলী খান প্রমুখ।