শাহজামাল হত্যা
মৃতু্যদন্ডের ৫ জনের ৪ জনই খালাস
প্রকাশ | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০০:০০
যাযাদি রিপোর্ট
মোবাইল ফোন নিয়ে বিতন্ডার জেরে প্রায় ১০ বছর আগে জামালপুরে কিশোর শাহজামাল স্বাধীন হত্যা মামলায় বিচারিক আদালতে মৃতু্যদন্ড পাওয়া পাঁচ আসামির মধ্যে একজনকে যাবজ্জীবন দিয়ে বাকি চারজনকে খালাস দিয়েছে হাইকোর্ট।
আসামিদের আপিল, জেল আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের ওপর শুনানি করে বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথ ও বিচারপতি মুহম্মদ মাহবুব-উল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ রোববার এ রায় দেয়।
ফাঁসির পরিবর্তে যাবজ্জীবন পাওয়া আসামি হলেন জামালপুর সদরের কম্পপুর গ্রামের ফজলে রাব্বী শিশির।
আর হাইকোর্টের খালাস পেয়েছেন জামালপুরের লিচুতলার সাদ্দাম, শেখের ভিটা এলাকার জাকির হোসেন, পিলখানা এলাকার মিরান ও সকাল বাজারের সেতু।
আদালতে আসামিদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এস এম শাহজাহান ও আইনজীবী বদরুদ্দোজা বাদল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. বশির উলস্নাহ।
রায়ের পর তিনি বলেন, অল্প বয়স বিবেচনায় আসামি ফজলে রাব্বি শিশিরকে মৃতু্যদন্ডের বদলে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছে আদালত। তাছাড়া বাকি চার আসামির বিরুদ্ধে মামলার প্রাথমিক তথ্য বিবরণীতে (এফআইআর) সুনির্দিষ্টভাবে কিছু বলা ছিল না।
'নিম্ন আদালতে আসামিদের বিরুদ্ধে ৩০২ ধারার পরিবর্তে ৩২৪ ধারায় অভিযোগ গঠন করা হয়। পরে অভিযোগ সংশোধন করে ৩০২ ধারায় আনা হলেও সে অনুযায়ী আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়নি। অর্থাৎ, অভিযোগ গঠনে ৩০২ ধারার প্রতিফলন ঘটেনি। এসব বিষয় বিবেচনা করে হাইকোর্ট এ রায় দিয়েছে।'
আসামিরা সবাই কারাগারে আছেন জানিয়ে রাষ্ট্রের আইন কর্মকর্তা মো. বশির উলস্নাহ বলেন, 'এ রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল করবে।'
জামালপুর সদরের সকাল বাজার এলাকায় রশিদপুর কওমি মাদ্রাসার দশম শ্রেণির ছাত্র শাহজামাল স্বাধীনকে (১৫) ২০১০ সালের ২৩ মার্চ রাতে হত্যা করা হয়।
মামলার বিবরণে জানা যায়, শাহজামালের একটি মোবাইল ফোন তার বন্ধু সাদ্দাম নিয়ে যায় এবং ফেরত দিতে অস্বীকার করে। এ নিয়ে তাদের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। পরে ওই পাঁচ কিশোর বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে শাহজামালকে ছুরি মেরে হত্যা করে।
এ ঘটনায় শাহজামালের বাবা সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
দশজনের সাক্ষ্য শুনে জামালপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ওয়াহিদুজ্জামান শিকদার ২০১৫ সালের ২০ জানুয়ারি এ মামলার রায় ঘোষণা করা হয়। পাঁচ আসামির সবাইকে দোষী সাব্যস্ত করে মৃতু্যদন্ড দেন তিনি।
হাইকোর্টে আসামিদের আপিল, জেল আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের শুনানি শেষে তাদের মধ্যে চারজনই খালাস পেয়ে গেলেন।