প্রশ্ন আপিল বিভাগের

এটা কি শুভংকরের ফাঁকি

আইএলএফএসএলের অনিয়ম ও আর্থিক খাতের অনিয়মের বিষয়ে শুনানিতে এমন প্রশ্ন তোলে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। পরে আপিল বিভাগের বেঞ্চ এ বিষয়ে আদেশের জন্য দিন ঠিক করে

প্রকাশ | ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
হাইকোর্ট
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত আর্থিক খাতের কোম্পানি ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স সার্ভিস লিমিটেডের (আইএলএফএসএল) সাবেক পরিচালক (এমডি) প্রশান্ত কুমার হালদারের (পিকে হালদার) সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা দুর্নীতি ইসু্যতে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ বলেছেন, পত্রিকায় প্রকাশিত প্রশান্তের দুর্নীতির রিপোর্টের সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের দেয়া হিসাবে মিলছে না। এটা কি শুভঙ্করের ফাঁকি? আইএলএফএসএলের অনিয়ম ও আর্থিক খাতের অনিয়মের বিষয়ে শুনানিতে মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রম্নয়ারি) এমন প্রশ্ন তোলেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। পরে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আপিল বিভাগের বেঞ্চ এ বিষয়ে আদেশের জন্য বুধবার দিন ঠিক করেন। এর আগে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডাইরেক্টর শাহ আলম এবং খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে উপস্থিত হন। গত ১৬ ফেব্রম্নয়ারি তাদেরকে আসতে বলেছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সকাল ৯টার দিকে তারা আপিল বিভাগে উপস্থিত হন। গতকাল আদালতে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও তানজিব আল ইসলান। দুদকের পক্ষে খুরশীদ আলম খান। আবেদনকারীর পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট আহসানুল করিম। এর আগে আদালত এনআরবি গেস্নাবাল ব্যাংক ও রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রশান্ত কুমার হালদারসহ (পিকে হালদার) ২০ জনের সম্পদ ও ব্যাংক হিসাব জব্দ এবং পাসপোর্ট আটকানোর নির্দেশ দিয়েছেন। হাইকোর্ট বলেছেন, তারা যেন দেশত্যাগ না করতে পারেন, সেদিকেও নজর রাখতে। সাতজন বিনিয়োগকারীর টাকা ফেরত-সংক্রান্ত এক আবেদনের শুনানি নিয়ে ২১ জানুয়ারি হাইকোর্টের বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের বেঞ্চ স্বপ্রণোদিত হয়ে এ আদেশ দেন। পাশাপাশি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত আর্থিক খাতের কোম্পানি (পিকে হালদারের দখলে থাকা) ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স সার্ভিস লিমিটেডের স্বাধীন পরিচালক ও চেয়ারম্যান হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদকে নিয়োগ দিয়েছেন আদালত। জানা গেছে, ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স সার্ভিসের ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও কোম্পানিটির প্রধান অর্থ কর্মকর্তা (সিএফও) সৈয়দ আবেদন হাসান। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট শাহরিয়ার কবির। ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স সার্ভিস লিমিটেডের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার মেহেদী হাসান চৌধুরী ও ব্যারিস্টার মাহফুজুর রহমান মিলন। অন্যদিকে, রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আনোয়ারা শাহজাহান ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আক্তারুজ্জামান। আইনজীবীরা জানান, প্রায় তিন হাজার ৬০০ কোটি টাকা নিয়ে লাপাত্তা ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স সার্ভিস লিমিটেডের পরিচালক পিকে হালদারসহ ২০ জনের সব সম্পদ ক্রোক, ব্যাংক হিসাব ও পাসপোর্ট জব্দের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে এই ২০ জনের সম্পদের হিসাব ১৫ দিনের মধ্যে আদালতে দাখিলের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি পিকে হালদারকে দেয়া ঋণসংক্রান্ত যাবতীয় কাগজপত্র আগামী ১৫ দিনের মধ্যে আদালতে দাখিল করতে সংশ্লিষ্টদের বলা হয়েছে।