বিদু্যতের বাড়তি দাম মেনে নিতে বললেন ওবায়দুল কাদের

প্রকাশ | ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, 'বিদু্যতের দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা সমাধানের জন্য মূল্য বাড়ানো হচ্ছে। ৩ টাকা বিদু্যতের দাম বাড়লে এতে হয়তো আপনাদের সাময়িক কষ্ট হবে কিন্তু তারপরও মেনে নিতে হবে।' শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর হাতিরপুলে ফিকামলি সেন্টারে শহিদ সেলিম-দেলোয়ারের স্মরণে এক আলোচনা সভা ও মিলাদ মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন। শহিদ দেলোয়ার সেলিম স্মৃতি পরিষদ আয়োজিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন স্মৃতি পরিষদের সভাপতি ড. আবদুল ওয়াদুদ। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক। বৃহস্পতিবার বিকেলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিদু্যতের দাম বাড়ানোর কথা জানায় বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন, যা মার্চ মাস থেকে কার্যকর হবে। ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির আমলে বিদু্যতের লোডশেডিংয়ে মানুষ অতিষ্ঠ ছিল। ঘণ্টার পর ঘণ্টা দিনের পর দিন বিদু্যৎ থাকত না। আমি বলতে চাই, শেখ হাসিনা সরকারের আমলে বিদু্যৎ আর পানির জন্য আপনাদের কোনো অসুবিধা হচ্ছে না। এই শহরে পানি আর বিদু্যতের হাহাকার লেগে থাকতো। 'এই মুজিববর্ষে এখন ৯৬ ভাগ মানুষ বিদু্যৎ সুবিধা পাবে। মুজিববর্ষে সরকার ১০০ ভাগ লোকের ঘরে বিদু্যৎ পৌঁছে দেবে, ইনশাআলস্নাহ। এডজাস্টমেন্টের জন্যই বিদু্যতের দাম কিছু বাড়াতে হচ্ছে। এটা সাময়িক। শতভাগ বিদু্যৎ পৌঁছানোর জন্য একটু কষ্ট হবে। এরপরও বিদু্যতের জন্য সরকারকে সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিতে হবে। এই দুর্ভোগ সাময়িক, এটা জনগণ মেনে নেবেন, এটা আমার অনুরোধ।' তিনি বলেন, আজকের স্মরণসভা বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের একটি রক্তাক্ত ঘটনা। যেখানে দুজন দেশমাতৃকার তরুণ বীর, যারা রক্ত দিয়ে স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে জনতার আন্দোলনকে সেদিন পরিচালিত করেছিলেন বঙ্গবন্ধুর রক্তেভেজা মাটিতে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা গণতন্ত্রের অভাব মিটিয়ে মুক্তির আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। সেই আন্দোলনকে এসব খন্ড-খন্ড রক্তাক্ত আন্দোলন সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে গেছে। স্বৈরশাসনের পতন ঘটিয়েছে। 'আমরা হঠাৎ করে গণতন্ত্রকে স্বৈরশাসনের কবল থেকে মুক্ত করতে পারিনি। হঠাৎ মুক্তি পায়নি গণতন্ত্র। গণতন্ত্রের জন্য অনেক রক্ত, অনেক আন্দোলন করতে হয়েছে। আজকে এসব দিন আমাদের ইতিহাসের পাতায় আছে কিন্তু বাস্তবে আমরা এ দিনগুলোকে ভুলে যাচ্ছি। আজকে সেলিম দেলোয়ারের মৃতু্যবার্ষিকী, ছাত্রসমাজও পালন করে না। আমার চোখে পড়েনি কেউ এটা ঘোষণা দিয়ে আজকের এই দিনটি পালন করেছে। এসব দিন আছে বলেই আমাদের ইতিহাস সমৃদ্ধ, এসব দিন আছে বলেই আমাদের ইতিহাসের গৌরবগাথা, কীর্তিগাথা।'