ঢাকায় নারীসহ ৫ জঙ্গি গ্রেপ্তার

প্রকাশ | ০১ মার্চ ২০২০, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
ঢাকার সাভারের আশুলিয়া ও ধামরাই থেকে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসারুলস্নাহ বাংলা টিমের (এবিটি) এক নারীসহ পাঁচজনকে আটক করেছের্ যাব। ছবিটি শনিবারর্ যাবের মিডিয়া সেন্টার থেকে তোলা -যাযাদি
ঢাকার সাভারের আশুলিয়া ও ধামরাই থেকে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসারুলস্নাহ বাংলা টিমের (এবিটি) এক নারীসহ পাঁচজনকে আটক করেছের্ যাব। শনিবার ভোররাতে আশুলিয়া কাঠগড়া ও ধামরাই থেকে তাদের আটকের সময় বেশকিছু উগ্রবাদী বই, লিফলেট ও ডিজিটাল কনটেন্ট উদ্ধার করা হয়। আটক জঙ্গি সদস্যরা হলেন- ঢাকা জেলার রাশিদা হুমায়রা (৩৩), ঝালকাঠি জেলার অলিউল ইসলাম সম্রাট (২৩), গোপালগঞ্জ জেলার মোয়াজ্জিম মিয়া শিহাদ (২০), দিনাজপুর জেলার সবুজ হোসেন আব্দুলস্নাহ (২৬) ও চাঁদপুর জেলার আরিফুল হক আরিফ (২০)। র্ যাব-৪ মিরপুর শাখার জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার সাজেদুল ইসলাম সজল জানান, আটক জঙ্গি সদস্যরা ইসলামের নামে উগ্রবাদ ছড়িয়ে আসছিল। শুক্রবার রাতে আশুলিয়ার কাঠগড়ায় তাদের গোপন বৈঠকের সংবাদ পায়র্ যাব। গভীর রাত থেকে ভোর পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে চার জনকে আটক করা হয়। আটকদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ধামরাই থেকে ওই নারী জঙ্গিকে আটক করা হয়। গোয়েন্দারা জানান, নিষিদ্ধ ঘোষিত আনসারুলস্নাহ বাংলা টিমের (এবিটি) সদস্যরা জেলখানা থেকেই জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধ হচ্ছে। জেলখানায় থাকাকালে মিলছে দুর্র্ধর্ষ জঙ্গিদের সংস্পর্শ। সেখানেই জঙ্গি কার্যক্রমের দিকনির্দেশনা পাচ্ছে এবিটি সদস্যরা। পরে জামিনে বেরিয়ে ফেসবুক ছাড়াও বিভিন্ন অ্যাপসের মাধ্যমে জঙ্গি কার্যক্রম পরিচালনা এবং সদস্য সংগ্রহের প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। এবিটির শীর্ষ পর্যায়ের স্থানীয় জঙ্গিদের সঙ্গে যোগাযোগ ও পরিচিতি বাড়ানোর চেষ্টাও চলছে অনলাইনে।র্ যাব-৪ এর অভিযানে ঢাকার আশুলিয়া ও ধামরাই থেকে নিষিদ্ধ ঘোষিত এবিটির নারীসহ পাঁচ সক্রিয় সদস্যকে গ্রেপ্তার এবং তাদের ব্যবহৃত মোবাইল ঘেঁটে এসব তথ্য পেয়েছের্ যাব। শনিবার বিকেল ৪টায় কারওয়ানবাজারের্ যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনের্ যাব-৪ অধিনায়ক (সিও) অতিরিক্ত ডিআইজি মোজাম্মেল হক বলেন, গ্রেপ্তার অলিউল ইসলাম আব্দুলস্নাহ প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানান, তিনি এইচএসসি পাসের পর কিছুদিন স্থানীয় মসজিদে আরবি শিক্ষা গ্রহণ করেন। আনসারুলস্নাহ বাংলা টিমে সম্পৃক্ততার কারণে ২০১৯ সালে আশুলিয়া থানায় তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা হয়। জেলখানায় থাকাকালীন দুর্র্ধর্ষ জঙ্গিদের সংস্পর্শ পান এবং সেখানেই তাদের কাছ থেকে দিকনির্দেশনা গ্রহণ করেন। ফেসবুক ছাড়াও তিনি বিভিন্ন অ্যাপসের মাধ্যমে জঙ্গি কার্যক্রম চালু রাখেন। তিনি একটি উগ্রবাদী চ্যানেলের অ্যাডমিন হিসেবে উগ্রবাদী কার্যক্রম ও সদস্য সংগ্রহের চেষ্টা চালিয়ে আসছিলেন। ইতিপূর্বে আটক মাওলানা জসিমুদ্দীন রাহমানির অনুসারী শীর্ষ জঙ্গিদের সঙ্গে তার পরিচয় হয় এবং তাদের কার্যক্রমে উদ্বুদ্ধ হয়ে আনসারুলস্নাহ বাংলা টিমে জড়িয়ে পড়েন। তিনি বর্তমানে দক্ষিণ অঞ্চলের আনসারুলস্নাহ বাংলা টিমের সমন্বয়ক হিসেবে কাজ করছিলেন। প্রায় তিন বছর ধরে আনসারুলস্নাহ বাংলা টিমের শীর্ষ নেতার সঙ্গে অনলাইন গ্রম্নপের মাধ্যমে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করে আসছিলেন। তার ব্যবহৃত মোবাইল থেকে বিভিন্ন উগ্রবাদী ডিজিটাল কনটেন্ট পাওয়া গেছে। \হগ্রেপ্তার মোয়াজ্জিম মিয়া ওরফে শিহাদ ছাত্রজীবন থেকেই বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনের কার্যক্রমে আকৃষ্ট হতেন। ধীরে ধীরে তিনি সশস্ত্র জঙ্গিবাদে অংশ নিতে আগ্রহী হয়ে ওঠেন। ফেসবুকে আনাস আদনান নূর নামক ব্যক্তির মাধ্যমে উদ্বুদ্ধ হয়ে আনসারুলস্নাহ বাংলা টিমের সদস্যপদ গ্রহণ করেন। বর্তমানে তিনি আনসারুলস্নাহ বাংলা টিমের একজন সক্রিয় সদস্য। ম্যাসেঞ্জারে একটি উগ্রবাদী গ্রম্নপের তিনি অ্যাডমিন হিসেবে কাজ করেন। আলস্নাহর গোলাম আইডিতে সদস্য সংগ্রহ এবং উগ্রবাদের উদ্দেশ্যে চাঁদা সংগ্রহে প্রস্তুতি গ্রহণ করেন। অনলাইন মোবাইল মানি ট্রান্সফারের মাধ্যমে তিনি চাঁদা সংগ্রহ করতেন। তার কাছ থেকে চাঁদা আদায়ের রেজিস্টার জব্দ করা হয়। বর্তমানে সাভারের একটি মাদরাসায় তিনি শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।