রেজাউল-শাহাদাত বসলেন পাশাপাশি, কথাও হলো চসিকে ৭ মেয়রপ্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ

প্রকাশ | ০২ মার্চ ২০২০, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
মনোনয়নপত্র বাছাই অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগ প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরী ও বিএনপি প্রার্থী শাহাদাত হোসেন -যাযাদি
মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের সময় একসঙ্গেই বসলেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (সিসিসি) নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগ প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরী ও বিএনপি প্রার্থী শাহাদাত হোসেন। রোববার চট্টগ্রাম শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের সময় দুই প্রার্থীর এই সাক্ষাৎ হয়। রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. হাসানুজ্জামানের নেতৃত্বে মনোনয়নপত্র বাছাই চলাকালে রেজাউল ও শাহাদাত বসে ছিলেন পাশাপাশি। দুজনের মধ্যে কুশল বিনিময়ও হয়। নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এবং দলের সিসিসি নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল বলেন, দুই মেয়রপ্রার্থীর মধ্যে শুরুতে কুশল বিনিময় হয়েছে। 'তারা দুজন পাশাপাশিই বসেছেন। আমিও ডা. শাহাদাতের অন্য পাশে বসেছি। এসময় দুই মেয়র প্রার্থীই ছিলেন হাসিমুখে।' পৃষ্ঠা ১৫ কলাম ১ \হবাবুল বলেন, 'আমাদের মধ্যে একটা হারমোনিয়াস পরিবেশে কথা হয়েছে। দুই মেয়রপ্রার্থীর মধ্যেও কথাবার্তা হয়েছে।' প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী রেজাউল করিমের সঙ্গে কী কথা হয়েছে জানতে চাইলে শাহাদাত বলেন, 'উনাকে (রেজাউল) বলেছি, এটা আমাদের দুজনেরই প্রথম মেয়র নির্বাচন, আমরা যেন একটা উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন করতে পারি।' রেজাউল করিম বলেন, 'সৌজন্যমূলক কথা হয়েছে। তিনি আমার দীর্ঘদিনের পরিচিত। এমনি আলাপ, ভোট নিয়ে কোনো কথা হয়নি।' শাহাদাত বলেন, 'উনার (রেজাউল) রাজনৈতিক জীবন অর্ধশতাব্দীর বেশি। আমারও ৩০ বছরের বেশি রাজনীতির সময়কাল, আমরা দুজন মিলে যদি জনগণকে ভোটকেন্দ্রমুখী না করতে পারি, তাহলে আমাদের এত দীর্ঘ সময়ের রাজনীতির কিইবা দাম আছে।' এর আগে মনোনয়ন পেয়ে চট্টগ্রামে ফেরার পর নগরীর পুরানো রেল স্টেশনে সংবর্ধনার অনুমতি না পেয়ে সরকারি দলের প্রতি ক্ষোভ জানালেও প্রার্থীর বিরুদ্ধে সরাসরি কোনো অভিযোগ করেননি শাহাদাত। নগর বিএনপির সভাপতি শাহাদাত বিগত সংসদ নির্বাচনে নগরীর কোতোয়ালি আসনে প্রার্থী হলেও নির্বাচন করেন কারাগারে থেকেই। সিটি নির্বাচনে জমা দেওয়া হলফনামায় শাহাদাত উলেস্নখ করেন, তার বিরুদ্ধে ৪৮টি মামলা আছে, যার বেশিরভাগই রাজনৈতিক প্রতিহিংসাবশত। বিপরীতে চট্টগ্রামের রাজনীতির মাঠে সজ্জন হিসেবে পরিচিত নগর আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিমের প্রায় ৫৪ বছরের রাজনৈতিক জীবনে কোনো মামলা নেই বলে হলফনামার তথ্য। রেজাউলও এখন পর্যন্ত প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী শাহাদাতের বিষয়ে কোনো বিরূপ মন্তব্য করেননি। বরং মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে প্রতিপক্ষকে ভোটের মাঠে 'ভালো খেলোয়াড়' বলেই অভিহিত করেছিলেন রেজাউল। এবারের সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টিসহ বিভিন্ন দলের মোট সাতজন মেয়রপ্রার্থীর মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। বিডি নিউজ