নিষেধাজ্ঞার আগের রাতে ইলিশের হাট জমজমাট

প্রকাশ | ০২ মার্চ ২০২০, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
জাটকা রক্ষায় ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল মাস পর্যন্ত লক্ষ্ণীপুরের মেঘনা নদীতে সব ধরনের মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। আগামী দুই মাস হাটে ইলিশ উঠবে না। শেষ মুহূর্তে নিষেধাজ্ঞার আগের রাতে ইলিশের হাট ছিল জমজমাট। শনিবার দিনগত রাতে লক্ষ্ণীপুরের কমলনগর উপজেলা সদর হাজিরহাট মাছ বাজার ছিল ইলিশের দখলে। ব্যাপক বিক্রিতে বাজার ছিল সরগরম। অন্যদিনের তুলনায় দাম বেশি হলেও ধুম বিক্রি হয়েছে ইলিশ। এদিকে লক্ষ্ণীপুর শহরের রামগতি বাসস্ট্যান্ডেও ইলিশের জমজমাট হাট বসে। এছাড়াও রামগতির আলেকজান্ডারেও প্রচুর ইলিশ বিক্রি হয়েছে। ছোট-বড় বিভিন্ন সাইজের ইলিশ হাটে থাকায় যার যার চাহিদামতো ইলিশ কিনে বাড়ি ফিরছেন অনেকেই। মধ্যরাত পর্যন্ত চলেছে বেচাবিক্রি। হাজিরহাটে এক কেজি দুইশ গ্রাম ওজনের প্রতি ইলিশ বিক্রি হয়েছে এক হাজার থেকে এক হাজার ১শ টাকায়। তিন দিন আগে ওই সাইজের ইলিশের কেজি বিক্রি হয়েছে ছয়শ ৫০ থেকে সাতশ টাকায়। এক হালি (দুই কেজি ছয়শ গ্রাম) বিক্রি হয়েছে এক হাজার সাতশ টাকায়। দুদিন আগেও বিক্রি হয়েছে ১২০০ থেকে ১৩০০ টাকা। রোববার সকালে জেলার রামগতি রায়পুর কমলনগর ও সদর উপজেলার বিভিন্ন উপকূলীয় হাটবাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কোনো বাজারে ইলিশ বিক্রি হচ্ছে না। হাটে নদীর কোনো মাছ নেই। তেলাপিয়া, পাঙ্গাস, রুই, কাতলসহ চাষের মাছ বিক্রি হচ্ছে। বছরের মার্চ-এপ্রিল দুই মাস মেঘনায় জাটকাসহ দেশীয় প্রজাতির ছোট মাছের বিচরণ থাকে। সবচাইতে বেশি বিচরণ থাকে জাটকার। আর এ কারণে মেঘনায় সব ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। নিষিদ্ধ সময় বাজারে নদীর মাছ মিলবে না; তাই শেষ মুহূর্তে ইলিশের হাটে ছিল ভিড়। হাজিরহাট বাজারের ঢেউটিন ব্যবসায়ী রিয়াজ উদ্দিন রাসেল জানান, দুই মাস নদীতে মাছ ধরা বন্ধ থাকবে যে কারণে ইলিশ কিনে রাখছেন। এদিকে ইলিশের উৎপাদন বাড়াতে দুই মাস লক্ষ্ণীপুরের মেঘনা নদীতে সব ধরনের মাছ ধরা থেকে বিরত থাকতে হাটে-ঘাটে, গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন স্থানে সচেতনতামূলক সভা করেছে মৎস্য বিভাগ। মেঘনা নদীর চাঁদপুর মতলব উত্তর উপজেলার ষাটনল থেকে লক্ষ্ণীপুর জেলার চর আলেকজান্ডার পর্যন্ত ১শ' কিলোমিটার এলাকায় জাটকাসহ সব ধরনের মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। শনিবার মধ্যরাত থেকে মাছ ধরা বন্ধ। এ আইন অমান্য করলে জেল-জরিমানার বিধান রয়েছে।