হাজিদের সেবা প্রদানে ত্রæটি অস্বীকার মোয়াচ্ছাসার

প্রকাশ | ২৭ আগস্ট ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
পবিত্র হজ পালনকালে মিনা, আরাফাত ও মুজদালিফায় বাংলাদেশি হাজিদের সেবা প্রদানে ত্রæটির অভিযোগ অস্বীকার করেছে মোয়াচ্ছাসা (সৌদি হাজি সেবা সংস্থা)। সংস্থাটির সহ-সভাপতি বলেছেন, হজ চুক্তি অনুসারে মক্কা-মদিনায় বাড়ি বরাদ্দ, মিনা ও আরাফাতে পরিবহন, তঁাবু ও খাবার সরবরাহ করা হয়েছে। কোনো অভিযোগ থাকলে তা ঢালাওভাবে না করে তথ্য-উপাত্ত সহকারে করা উচিত বলেও তিনি মন্তব্য করেন। হাব মহাসচিব শাহাদাত হোসেন তছলিমের বক্তব্যে এ-সংক্রান্ত কিছু অভিযোগের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে মোয়াচ্ছাসার সহ-সভাপতি প্রকৌশলী জাকি বিন ওমর হারিরি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, চুক্তিতে প্রতি ১০০ হাজির জন্য ১টি বাসের উল্লেখ ছিল। তাই ১০০ জনকেই নেয়া হয়েছে। টাকা বেশি দিলে ৫০ জনের জন্য ১টি বাস দিতেও সমস্যা নেই। মিনা ও আরাফাতে বাংলাদেশি হাজির সংখ্যার চেয়ে ২০ হাজারেও বেশি সংখ্যক হাজির খাবার সরবরাহ করা হয়। সেক্ষেত্রে কোনো মক্তবে খাবার পাওয়া যায়নি তা নাম-ঠিকানাসহ দেয়া হলে বিষয়গুলো খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়া সম্ভব। তিনি আরও বলেন, চুক্তি অনুযায়ী মিনা ও আরাফাতে ১৬ স্কয়ার ফুটের তঁাবুতে ১৯ জন থাকার কথা। সেখানে ১৬ জনকে রাখা হয়। হজযাত্রীরা চাইলে ভবিষ্যতে তাদের দুটা করে ফোমের বেড দেয়া হবে। পাহাড়ের ওপর তঁাবুতে বরাদ্দের বিষয়ে তিনি বলেন, পাহাড়ের তঁাবুতে হাজিদের সহজে যাতায়াতের জন্য সীমিত সংখ্যায় ট্রেনের টিকিট দেয়া হয়। তবে অদূর ভবিষ্যতে চলন্ত সি?ঁড়ি চালু হবে। মিনা ও আরাফাতে টয়লেট সমস্যার বিষয়ে দৃষ্টি আকষর্ণ করা হলে সমস্যার কথা স্বীকার করে ভবিষ্যতে আরও বেশি টয়লেট নিমাের্ণর উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি। মোয়াচ্ছাসার এ কমর্কতার্ বাংলাদেশকে বাড়ি ভাড়াসহ বিভিন্ন বিষয়ে দ্রæত আগাম বুকিং দেয়ার পরামশর্ দেন। তিনি বলেন, বহু এজেন্সি টাকা বঁাচাতে সবার শেষে এসব কাজ করেন। ফলে হাজিদের ভোগান্তি বাড়ে। উল্লেখ্য, মিনা, আরাফাত ও মুজদালিফায় বেসরকারি হজ এজেন্সির হাজার হাজার হজযাত্রীকে চরম দুভোর্গ পোহাতে হয়েছে। হজের মূল আনুষ্ঠানিকতার পঁাচ দিন মিনা, আরাফাত ও মুজদালিফায় হাজি পরিবহনের জন্য যানবাহন, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত তঁাবু ও খাবার সরবরাহের কথা থাকলেও হজযাত্র?ীদের ৫০ শতাংশের ভাগ্যে ন্যূনতম সেবাটুকুও মেলেনি। পরিবহন না পেয়ে অসংখ্য হজযাত্রীকে মাইলের পর মাইল হে?ঁটে গন্তব্যে যেতে হয়েছে। যারা বাস পেয়েছেন তারা ভাগ্যবান তা-ও বলা যাবে না। কারণ আসন সংখ্যার চেয়ে তিনগুণ হাজিকে বাসে ঠঁাই দেয়ার ফলে বাসভ্রমণ নরকযাত্রায় রূপ নেয়। অনেকেরই তঁাবুতে ঠঁাই হয়নি। কারও কারও ভাগ্যে তঁাবু জুটলেও এসি না থাকায় কাঠফাটা গরমে নিদারুণ কষ্ট করতে হয়। বহু এজেন্সির যাত্রীদের কপালে খাবার জোটেনি। খাবার চাইতে গিয়ে হজযাত্রীদের অনেকে শারীরিক নিযার্তনের স্বীকার হন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে হজ এজেন্সিগুলোর দাবি, মোয়াল্লেমের চরম উদাসীনতা ও অবহেলার কারণে এমন বিপযর্য় ঘটে। আর যাত্রীরা বলছেন, এমন বিপদের সময় এজেন্সির গাইড কিংবা সংশ্লিষ্ট কাউকে তারা খুঁজে পাননি।