মাছ চুরির অভিযোগে সাত জেলেকে ন্যাড়া করে নিযার্তন

প্রকাশ | ২৭ আগস্ট ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
কক্সবাজারের পেকুয়ায় মাছ চুরির অভিযোগ সাত জেলেকে আটকে রেখে মাথার চুল কেটে শারীরিক নিযার্তন চালিয়েছে একটি প্রভাবশালী মহল। এতেও ক্ষান্ত না হয়ে জেলেদের কাছ থেকে জোরপূবর্ক ধমির্বরোধী বক্তব্যও আদায় করে তারা। নিযাির্তত জেলেরা হলেন চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার দলঘাট ইউনিয়নের জালিয়াপাড়া এলাকার জতিন্দ্র দাসের ছেলে লেদু দাস, একই এলাকার মনাত সদাের্রর ছেলে গোপাল সদার্র, তার ছেলে লিটন সদার্র, দিলিপ সদাের্রর ছেলে জুমুর সদার্র, বাবুল সদাের্রর ছেলে লিটন, মৃত বরদ্দারের ছেলে অরুণ সদার্র ও বোয়ালখালী উপজেলার গৌরনন্দী এলাকার হাসির ছেলে দুলাল। উপজেলার রাজাখালী ইউনিয়নের বদিউদ্দিনপাড়া এলাকায় শুক্রবার সন্ধ্যায় ঘটে যাওয়া এ ঘটনার ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় সমালোচনার ঝড় ওঠে। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের এসব জেলেদের এমন নিযার্তনে ক্ষোভ জানিয়েছেন স্থানীয় সচেতন মহল। কিন্তু নিযার্তনের খবর ও ভিডিও প্রকাশ হলেও এ বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি স্থানীয় প্রশাসন। তাই বাধ্য হয়ে নিযার্তন সয়ে নিজেদের বাড়িতে ফিরে যায় অসহায় এসব জেলে। স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদশীর্রা জানান, পেকুয়ার পেচু মিয়া বাড়ির পুকুরে মাছ ধরার জন্য চট্টগ্রামের পটিয়া থেকে মজুরিভিত্তিক একদল জেলে আনেন মিয়া বাড়ির কারবারি ও রাজাখালী ইউনিয়নের বদিউদ্দীনপাড়ার নুরুল আবছার প্রকাশ বদু মেম্বার। মাছ ধরা শেষে জেলেরা তাদের জালসহ আনুষঙ্গিক সরঞ্জাম নিয়ে পটিয়ার উদ্দেশে রওনা করেন। কিন্তু তারা ইউনিয়নের মগনামা সীমান্ত ব্রিজ এলাকায় পৌঁছলে বদু মেম্বারের নিদেের্শ একদল ব্যক্তি তাদের আটক করে ফের বদিউদ্দিনপাড়ায় নিয়ে যায়। সেখানে তাদের বিরুদ্ধে মাছ চুরির অভিযোগ এনে আটকে রেখে একই এলাকার আতিক, আব্দুল কাদের, ওসমান গণিসহ বেশ কয়েকজন ব্যক্তি নিযার্তন চালান। এ সময় তাদের মাথা ন্যাড়া করে ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে ঘুরানো হয়। পরে পুলিশের মধ্যস্থতায় নিযাির্তত জেলেরা মুক্তি পায়। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে পেকুয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কমর্কতার্ (ওসি) জহিরুল ইসলাম খান বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু ভুক্তভোগীদের পক্ষ থেকে অভিযোগ না পাওয়ায় আইনগত কোনো ব্যবস্থা নেয়া সম্ভব হয়নি। এদিকে অভিযোগের বিষয়ে কথা বলার জন্য নুরুল আবছার বদু মেম্বারের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।