সিএনজি অটোরিকশার ভাড়া তিন গুণ

ভুক্তভোগী আবির হোসেন জানান, ‘২০০ টাকার ভাড়া ৫০০ টাকা চাচ্ছে। এর কোনো মানে হয়! বসে থাকবে তবু কমে যাবে না। সবগুলোই একই রকম। সিন্ডিকেট করে বসে আছে’

প্রকাশ | ২৭ আগস্ট ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
সড়কের পাশে স্ট্যান্ড করা অটোরিকশা
গাবতলী থেকে মিরপুর ১১ নম্বর যেতে সিএনজিচালিত অটোরিকশার সবোর্চ্চ ভাড়া ১৫০-১৮০ টাকা। রোববার সকালে সে ভাড়া চাওয়া হয় ৪০০ টাকা। যাত্রীর তুলনায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার সংখ্যা কম। তাই ভাড়া নেয়া হচ্ছে আড়াই থেকে তিনগুণ। সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, নগরীতে পঙ্গপালের মতো ফিরছে সবর্স্তরের মানুষ। নাড়ির টানে বাড়ি ফিরতে ভোগান্তির যেন অন্ত নেই। ৬ ঘণ্টার পথ ১৪ ঘণ্টায় শেষ হচ্ছে। পদে পদে বাড়তি খরচ। এর মধ্যে ঢাকায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার ভাড়া সবচেয়ে বেশি নেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। রাসেল আহমেদ নামের একজন যাত্রী জানান, যাবেন মোহাম্মদপুর তাজমহল রোডে। ভাড়া স্বাভাবিকের চেয়ে দ্বিগুণ বলেছেন। এতেও যেতে চায় না। সিএনজিচালকরা বলছেন, মালামাল বেশি, ভাড়া আরও বাড়াতে হবে। একই ধরনের কথা জানান আবির হোসেন। তিনি বলেন, ‘২০০ টাকার ভাড়া ৫০০ টাকা চাচ্ছে। এর কোনো মানে হয়! বসে থাকবে তবু কমে যাবে না। সবগুলোই একই রকম। সিন্ডিকেট করে বসে আছে।’ ঈদফেরত মানুষের সঙ্গে ছোট-বড় লাগেজ। অনেকে বাড়ি থেকে চাল, কোরবানির মাংস এনেছেন। বাড়তি এসব দেখে চালকরা ইচ্ছামতো ভাড়া চাচ্ছেন। সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক আক্কেল আলী বলেন, ‘ঈদ মাটি কইরা ভাড়া মারতাছি, ভাড়া একটু বেশি পাওয়ার আশাতেই। এটা দোষের কী? ঈদে সেবা দিচ্ছি, লাগেজ টানছি মামা। আপনারা এটা দেখবেন না। শুধু ভাড়া নিয়া চিন্তা করতাছেন।’ লাগেজ নিয়ে ফিরতি পথের সবর্ত্রই বেশি খরচ হচ্ছে। এ বিষয়ে আলিম নামের একজন বলেন, ‘বাড়ি থেকে চাল আনলাম। কিছু কোরবানির মাংসও আনছি ফ্রিজিং করে। এগুলো গাড়িতে তুলতে আলাদা বকশিশ দিতে হয়েছে। টিকিটেও বেশি ভাড়া নিয়েছে। এখন সিএনজিচালিত অটোরিকশার ভাড়াও বেশি চাচ্ছে।’ সংশ্লিষ্টরা জানান, মানুষের এই নগরীমুখী স্রোত আরও কয়েকদিন থাকবে। তবে যাত্রীদের নিরাপত্তায় যেন কোনো ঘাটতি না থাকে, সে বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সতকর্ থাকতে দেখা গেছে।