টিআইবির বিবৃতি

মালয়েশিয়ায় কমীর্ নিয়োগে সিন্ডিকেট ভাঙার তাগিদ

মালয়েশিয়াসহ অন্যান্য দেশে কমীর্ প্রেরণে অতিরিক্ত মুনাফা অজর্ন ও গ্রাহকদের শোষণপ্রক্রিয়া রোধে কাযর্কর পদক্ষেপ গ্রহণের সুপারিশ টিআইবি’র

প্রকাশ | ২৭ আগস্ট ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের অভিবাসী কমীর্ নিয়োগ বন্ধের ঘোষণায় আশঙ্কা প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। তবে এটিকে সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করে শ্রমবাজার খাতকে সংশ্লিষ্ট সিন্ডিকেটের প্রভাবমুক্ত করে প্রয়োজনীয় সংস্কারের আহŸান জানিয়েছে সংস্থাটি। ‘একটি সংঘবদ্ধ চক্রের অনৈতিক ব্যবসা পরিচালনার কারণে মালয়েশিয়া সরকার বাংলাদেশি শ্রমিক নিয়োগ বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে’Ñ গণমাধ্যমে প্রকাশিত এমন সংবাদের সূত্র ধরে রোববার এক বিবৃতিতে এই আহŸান জানায় সংস্থাটি। বিবৃতিতে টিআইবির নিবার্হী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি অভিবাসী কমীর্ নিয়োগ বন্ধের সিদ্ধান্তের সংবাদে তারা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। জনশক্তি রপ্তানিতে একচেটিয়া ও সিন্ডিকেটভিত্তিক অনৈতিক ব্যবসা বন্ধে মালয়েশিয়া সরকারের এই সিদ্ধান্ত ইতিবাচক হিসেবে দেখার জন্য সরকারের কাছে তারা আহŸান জানান। এর কারণ হিসেবে ইফতেখারুজ্জামান বলেন, এতে মালয়েশিয়া সরকারের সংশ্লিষ্ট কতৃর্পক্ষের সঙ্গে ইতিবাচক ও অংশগ্রহণমূলক আলোচনার মাধ্যমে পুনরায় অভিবাসী কমীর্ প্রেরণের সুষম সুযোগ তৈরির পথ সুগম হয়েছে। তবে এটাও পরিষ্কার যে এই সুযোগ গ্রহণের পূবর্শতর্ হচ্ছে পুরো খাতকে সিন্ডিকেটের প্রভাবমুক্ত করা এবং যারা অবৈধ কমর্কাÐের সঙ্গে জড়িত, তাদের জবাবদিহি নিশ্চিত করা। ‘আমরা ব্যবসাটিকে বাংলাদেশের সব এজেন্টের জন্য খুলে দিতে চাই’Ñগণমাধ্যমে প্রকাশিত মালয়েশীয় প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের সূত্র ধরে ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘যে প্রেক্ষাপটে মালয়েশিয়া সরকার বাংলাদেশের অভিবাসী কমীর্ নিয়োগ বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে শ্রম অভিবাসন-প্রক্রিয়ায় সুশাসন নিশ্চিত করার টিআইবির দাবির সঙ্গে তা সামঞ্জস্যপূণর্। মালয়েশিয়ার সরকারের এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে টিআইবির আশঙ্কাই সত্য প্রতীয়মান হলো। ২০১৭ সালের মাচর্ মাসে প্রকাশিত টিআইবির একটি গবেষণায় বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।’ এর পরিপ্রেক্ষিতে পরবতীর্ সময়ে মালয়েশিয়াসহ অন্যান্য দেশে অভিবাসী কমীর্ প্রেরণে একচেটিয়া ব্যবসার মাধ্যমে অতিরিক্ত মুনাফা অজর্ন ও গ্রাহকদের শোষণপ্রক্রিয়া রোধে কাযর্কর পদক্ষেপ গ্রহণের সুপারিশ করে সরকারকে একটি পলিসি ব্রিফ প্রদান করে টিআইবি। টিআইবির নিবার্হী পরিচালক বলেন, মালয়েশিয়া সরকারের সঙ্গে কাযর্কর আলোচনার মাধ্যমে সুনিদির্ষ্ট স্বল্পতম সময়সীমার মধ্যে অভিবাসী কমীর্ নিয়োগপ্রক্রিয়াকে সম্পূণর্ সিন্ডিকেটমুক্ত করে উন্মুক্ত ও প্রতিযোগিতামূলক পদ্ধতিতে এবং স্বচ্ছতার ভিত্তিতে যৌক্তিক ও গ্রহণযোগ্য ব্যয় নিধার্রণ করে পুনরায় শ্রমিক প্রেরণের উদ্যোগ গ্রহণ করতে বাংলাদেশকেই উদ্যোগ নিতে হবে। না হলে বিশাল এই শ্রমবাজার স্থায়ীভাবে বন্ধের ঝুঁকি সৃষ্টি হবে, যা ক্রমবধির্ঞ্চু বেকারত্ব বৃদ্ধির পাশাপাশি দেশের অথর্নীতির জন্য সীমাহীন গুরুত্বপূণর্ রেমিট্যান্স অজর্ন বাধাগ্রস্ত করবে। ইফতেখারুজ্জামান বলেন, টিআইবি উদ্বিগ্ন বিশেষ করে এ কারণে, যে সিন্ডিকেটের কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে, তার কণর্ধারেরা ধরাছেঁায়ার বাইরে থাকতে পেরেছে। সরকারের সংশ্লিষ্ট কতৃর্পক্ষের হাতে এখন সুযোগ এসেছে অভিবাসন খাতকে সিন্ডিকেট ও যোগসাজশের দুনীির্তর গ্রাস থেকে মুক্ত করার। তাই রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক সদিচ্ছা প্রমাণের এখনই সুযোগ বলে মনে করে টিআইবি।