মৌলভীবাজার ও ভৈরবে মৃত দুজন করোনা আক্রান্ত নন

প্রকাশ | ২৫ মার্চ ২০২০, ০০:০০

মৌলভীবাজার (ভৈরব) প্রতিনিধি
মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট সদর হাসপাতালে মৃতু্যবরণকারী যুক্তরাজ্য প্রবাসী সেই রেজিয়া বেগম (৬০) করোনাক্রান্ত নন। সোমবার দিবাগত রাত সোয়া ন'টায় গণমাধ্যমকর্মীদের বিষয়টি নিশ্চিত করেন মৌলভীবাজারের সিভিল সার্জন ডা. তওহীদ আহমদ। তিনি মুঠোফোনে যায়যায়দিনকে বলেন, রেজিয়া প্রায় আড়াই মাস পূর্বে যুক্তরাজ্য থেকে মৌলভীবাজার আসেন। তিনি বলেন, 'ওই সময়ে যেহেতু এসেছেন তাই তার করোনা উপসর্গের মেয়াদ অনেক আগেই শেষ হয়েছে। আমরা তার চিকিৎসার যাবতীয় কাগজপত্র নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণসহ নমুনা দেখে এরকম কিছুই পাইনি। তাই আমরা বলতে পারি নিহত বিদেশফেরত রেজিয়ার শরীরে করোনার উপসর্গ ছিল না।' উলেস্নখ্য, প্রায় আড়াই মাস পূর্বে বিলেতফেরত রেজিয়া যুক্তরাজ্য থেকে মৌলভীবাজার শহরের কাশিনাথ রোডের এম.আর.ভিলা নামীয় নিজস্ব বাসায় বসবাস করছিলেন। গত রোববার (২২ মার্চ) দুপুর দেড়টার দিকে অসুস্থাবস্থায় ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কিছুক্ষণ পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃতু্য হয়। এদিকে মৃতু্যর পর থেকেই তিনি করোনায় মারা গেছেন এমন খবর গত মঙ্গলবার মৌলভীবাজারসহ সিলেট বিভাগজুড়ে ছড়ালে নতুন করে আতঙ্ক আরও বেড়ে যায়। ভৈরব (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি জানান, কিশোরগঞ্জের ভৈরবে গত সোমবার ইতালিফেরত ব্যক্তি প্রবাসী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন না, হৃদ্‌?যন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে তিনি মারা গেছেন। রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) বরাত দিয়ে মঙ্গলবার দুপুরে এই তথ্য জানিয়েছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা বুলবুল আহমেদ। উপজেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার লুবনা ফারজানা মঙ্গলবার জানান, দুপুর দেড়টায় আইইডিসিআর থেকে এ সংক্রান্ত মেইলটি আসে। সেখান থেকে আমরা নিশ্চিত হই সোমবার মৃতু্যবরণকারী ইতালি প্রবাসী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন না। গতকাল রোববার  স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে রাত সাড়ে ১০টায় এই প্রবাসী মৃতু্যবরণ করেন। প্রবাসীর বয়স ৬৫। প্রবাসী গত ২৮ ফেব্রম্নয়ারি ইতালি থেকে দেশের বাড়িতে ফিরেছিলেন। শ্বাসকষ্ট ও জ্বর দেখা দিলে পরিবারের সদস্যরা তাকে রোববার রাতে শহরের আবেদন হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়। এই ডাক্তারগণ  তাকে দেখে  আইসোলেশনে নিয়ে যেতে পরামর্শ দেন।  পরে তাকে রাত সাড়ে ১০টায় স্থানীয়  ইউছুফ মেমোরিয়াল হাসপাতালে নিয়ে যায়। তারপর রাত সাড়ে ১০টায় এই হাসপাতালে তিনি মারা যান।