প্রধানমন্ত্রী নিজেই খালেদাকে মুক্তি দিয়েছেন: কাদের

প্রকাশ | ২৬ মার্চ ২০২০, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
সংবাদ সম্মেলনে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সরকার প্রধান হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বয়স ও অসুস্থতা বিবেচনায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দন্ড স্থগিত করে মুক্তি দিয়েছেন। এখন বিএনপির কাছে করোনাভাইরাস মোকাবেলায় সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রত্যাশা করেছেন তিনি। বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন সড়ক পরিবহণমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। খালেদা জিয়া কবে নাগাদ মুক্তি পেতে পারেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'সরকারপ্রধান হিসেবে প্রধানমন্ত্রী নিজেই মুক্তি দিয়েছেন।' দুর্নীতি মামলায় দন্ডিত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দন্ডের কার্যকারিতা স্থগিত করে তাকে শর্তসাপেক্ষে ছয় মাসের জন্য মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। আইনমন্ত্রী আনিসুল হক মঙ্গলবার এই ঘোষণা দেওয়ার পর থেকেই বিএনপি নেত্রীর মুক্তির অপেক্ষায় ছিলেন দলটির নেতাকর্মীরা। সড়ক পরিবহণমন্ত্রী ওই কথা বলার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে বিকাল ৪টায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে আসেন খালেদা জিয়া। ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রম্নয়ারি জিয়া এতিমখানা মামলায় দন্ডিত হয়ে কারাগারে ঢোকার পর এই প্রথম মুক্তি পেলেন তিনি। ওবায়দুল কাদের বলেন, 'বেগম জিয়ার সাজা স্থগিতের উদ্যোগ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী প্রজ্ঞা, অভিজ্ঞ ও দূরদর্শী নেতৃত্বের পরিচয় দিয়ে উদার নৈতিক মানবিকতার অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। আশা করি, বিএনপি এ বিষয়টি ইতিবাচক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখে আমাদের সকলের অভিন্ন মত করোনা মোকাবেলায় সরকারের সর্বাত্মক ও সম্মিলিত উদ্যোগে সহযোগিতা করবে।' বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, 'বৈশ্বিক ও দেশের ভয়াবহ এ সংকটকালে সব নেতিবাচক রাজনীতি পরিহার করে মানুষকে বাঁচানোর অভিন্ন পথ বেছে নেওয়ার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।' ওবায়দুল কাদের বলেন, 'বেগম খালেদা জিয়ার বয়স ও অসুস্থতার বিষয় বিবেচনায় নিয়ে প্রধানমন্ত্রী সিআরপিসির ৪০১ (১) ধারাবলে তার সাজা ৬ মাসের জন্য স্থগিত করেছেন। 'ফৌজদারি কার্যবিধির ধারা ৪০১-এর উপধারা-১ অনুযায়ী কোনো ব্যক্তি কোনো অপরাধের জন্য দন্ডিত হইলে সরকার যে কোনো সময় বিনা শর্তে বা দন্ডিত যাহা মানিয়া নেয় সেই রূপ শর্তে যে দন্ডে সে দন্ডিত হইয়াছে, সে দন্ডের কার্যকরীকরণ স্থগিত রাখিতে বা সম্পূর্ণ দন্ড বা দন্ডের অংশবিশেষ মওকুফ করিতে পারিবে।'