ডিএনসিসির পাঁচ অঞ্চলে দেওয়া হলো জীবাণুনাশক

প্রকাশ | ২৬ মার্চ ২০২০, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
করোনাভাইরাস প্রতিরোধের অংশ হিসেবে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) পাঁচটি এলাকার বিভিন্ন উন্মুক্ত স্থানে জীবাণুনাশক স্প্রে দেওয়া হয়েছে। এর বাইরে বিভিন্ন অবকাঠামো ও সড়কে থাকা যানবাহনেও জীবাণুনাশক প্রয়োগ করে ডিএনসিসি। বুধবার পাঁচটি ওয়াটার বাউজারের মাধ্যমে এ জীবাণুনাশক প্রয়োগ করা হয়। নিজ নিজ অঞ্চলের আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তারা (আনিক) এই কার্যক্রম তদারকি করেন। সহায়তায় ছিলেন দায়িত্বপ্রাপ্ত কাউন্সিলররাও। অঞ্চল-১-এর আনিক সাজিয়া আফরিনের তদারকিতে উত্তরার ১১, ১২, ১৩ ও ১৪ নম্বরে সেক্টরে জীবাণুনাশক প্রয়োগ করা হয়। অঞ্চল-২-এর আনিক এ এস এম সফিউল আজম-এর তদারকিতে মিরপুর এলাকার সেকশন ২, ১০, ১৩ ও ১৪ নম্বরে জীবাণুনাশক ছিটানো হয়। একই সঙ্গে অঞ্চল-৩-এর আনিক মীর নাহিদ আহসানের তদারকিতে মগবাজার এবং বাংলামোটর এলাকায়ও জীবাণুনাশক ছিটানো হয়। অন্যদিকে অঞ্চল-৪-এর আনিক সালেহা বিনতে সিরাজের তদারকিতে আমিনবাজার ও গাবতলী এলাকায় এবং অঞ্চল-৫-এর আনিক মাসুদ হোসেনের তদারকিতে আগারগাঁও এলাকায় জীবাণুনাশক ছিটানো হয়। জীবাণুনাশক প্রয়োগের এই কার্যক্রম সম্পর্কে অঞ্চল-৩-এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মীর নাহিদ আহসান বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে খুবই গুরুত্বের সঙ্গে ওয়াটার বাউজার দিয়ে জীবাণুনাশক প্রয়োগের এই কার্যক্রম পরিচালনা করছে সিটি করপোরেশন। এ ব্যাপারে আমাদের ভারপ্রাপ্ত মেয়র এবং নির্বাচিত মেয়রের কড়া নির্দেশনা আছে। শুধু সড়ক, ফুটপাতের মতো উন্মুক্ত স্থানেই নয়, জনগণ যাতায়াত করে এমন সব অবকাঠামোতেও জীবাণুনাশক দেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে আছে- ফুটওভার ব্রিজ, যাত্রী ছাউনি ইত্যাদি। যেখানে ওয়াটার বাউজার দিয়ে জিবাণুনাশক দেওয়া যায় না, সেখানে ম্যানুয়ালি দেওয়া হচ্ছে। সড়কে থাকা বিভিন্ন যানবাহন, গণপরিবহণেও জীবাণুনাশক দেওয়া হচ্ছে। বিভিন্ন বাস ডিপোতে যে বাসগুলো থাকে সেখানেও দেওয়া হচ্ছে। এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। গত রোববার থেকে পাঁচটি ওয়াটার বাউজার দিয়ে জীবাণুনাশক প্রয়োগের কার্যক্রম শুরু করে ডিএনসিসি। প্রতিটি ওয়াটার বাউজারের ধারণক্ষমতা ১ হাজার লিটার। প্রতিদিন ১৬ বার করে প্রতিটি ওয়াটার বাউজারের সাহায্যে ডিএনসিসির বিভিন্ন স্থানে জীবাণুনাশক ছিটানো হচ্ছে। ফলে পাঁচটি ওয়াটার বাউজারের সাহায্যে প্রতিদিন মোট ৮০ হাজার লিটার তরল জীবাণুনাশক ডিএনসিসির প্রধান সড়ক, উন্মুক্ত স্থান এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সামনে স্প্রে করা হচ্ছে।