'গর্ভবতী বউটারে হাঁটাইয়া লইয়া কি হাসপাতালে যামু'

প্রকাশ | ৩১ মার্চ ২০২০, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
হাসপাতালে আগত সেবাপ্রার্থী
'ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান, আপনি তো এ কথা বলেই খালাস। বাস, উবার, প্রাইভেটকার ও সিএনজিসহ সব গণপরিবহণ বন্ধ। আমি কি গর্ভবতী বউটারে হাঁটাইয়া লইয়া যামু।' সোমবার দুপুর আনুমানিক ১টা। রাজধানীর সরকারি কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের প্রবেশ পথের নিরাপত্তারক্ষীকে উদ্দেশ করে এ কথাগুলো বলছিলেন গর্ভবতী এক গৃহবধূর তরুণ স্বামী। এ হাসপাতালে গাইনি বিভাগে নিয়মিত স্ত্রীর চেকআপ করিয়ে আসছিলেন তিনি। প্রেসক্রিপশনে চিকিৎসক সোমবার আসার দিন লিখে দিয়েছিলেন। তাই স্ত্রীকে নিয়ে এসেছেন। প্রবেশ পথেই বাধার মুখে পড়ে অসহায় দৃষ্টিতে একবার নিরাপত্তারক্ষী আরেকবার স্ত্রীর মুখের দিকে তাকাচ্ছিলেন। এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে ওই গৃহবধূর স্বামী ক্ষোভমিশ্রিত কণ্ঠে বলেন, করোনা রোগী ছাড়া কাউকে চিকিৎসা দেওয়া হবে না-এ কেমন সিদ্ধান্ত। গণপরিবহণও বন্ধ। এখন আমি স্ত্রীকে নিয়ে কোথায় যাব, কোন ডাক্তার দেখাব। করোনা ভাইরাস আক্রান্ত সন্দেহভাজন ও ভর্তি রোগীদের চিকিৎসার জন্য রোববার থেকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে অন্য সব বিভাগের চিকিৎসা কার্র্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে। এ খবর না জানতে পেরে সকাল থেকে অনেক রোগী ও তাদের অভিভাবক হাসপাতালে এসে চিকিৎসা না পেয়ে ফেরত গেছেন। সরেজমিন দেখা গেছে, রেডিসন হোটেলের উল্টোদিকে হাসপাতালের প্রবশ পথের অদূরে হাসপাতালের একজন কর্মচারী কিছুক্ষণ পরপর হ্যান্ডমাইকে বলছিলেন, 'সর্বসাধারণকে জানানো যাইতেছে যে, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে করোনা রোগী ছাড়া অন্য কোনো রোগী দেখা হবে না। জ্বর, ঠান্ডা, হাঁচি, কাশি ও শ্বাসকষ্ট ইত্যাদি করোনার পূর্ব লক্ষণ যদি থাকে তাহলেই শুধু ওই রোগী দেখা হবে। অন্য কোনো রোগী দেখা হবে না। আদেশক্রমে কর্তৃপক্ষ।' এদিকে আইইডিসিআর পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা সোমবার করোনা নিয়ে নিয়মিত অনলাইন ব্রিফিংয়ে জানান, কুর্মিটোলার সাধারণ রোগীদের অন্য হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হবে।