করোনা সচেতনতায় ভাটারায় যৌথ অভিযান

প্রকাশ | ৩১ মার্চ ২০২০, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
করোনাভাইরাস সচেতনতায় রাজধানীর ভাটারা এলাকায় যৌথ অভিযান পরিচালনা করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি), পুলিশ এবং সেনাবাহিনী। একই সময়ে সাম্প্রতিককালে বিদেশ থেকে আসা বাংলাদেশিরা হোম কোয়ারেন্টিন নির্দেশনা মানছেন কি না সে বিষয়েও তদারকি করে যৌথবাহিনী। সোমবার ডিএনসিসির বর্ধিত এলাকা অঞ্চল-৯ আওতাধীন ভাটারা থানার নতুনবাজার, খিলবাড়ি টেকসহ আশপাশের এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এতে সিটি করপোরেশনের পক্ষে নেতৃত্ব দেন অঞ্চল-৯ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা (আনিক) হেমায়েত হোসেন। সেনাবাহিনীর দলে নেতৃত্ব দেন ক্যাপ্টেন মাহমুদুল হাসান এবং পুলিশ দলের নেতৃত্ব দেন ভাটারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোক্তারুজ্জামান। এ সময় এলাকার বিভিন্ন অলিগলি, আবাসিক এলাকা এবং বাজার আছে এমন স্থানে নগরবাসীর মধ্যে সচেতনতামূলক বার্তাসংবলিত লিফলেট বিতরণ করা হয়। হ্যান্ড মাইকিংয়ের মাধ্যমে এলাকাবাসীকে যথাসম্ভব ঘরে থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়। খুব প্রয়োজনে বাইরে বের হলেও মাস্ক, গস্নাভস পরে নিজেদের মধ্যে অন্তত ২ মিটার সামাজিক দূরত্ব মেনে অবস্থান করারও নির্দেশনা দেওয়া হয়। একই সঙ্গে এসব এলাকায় সম্প্রতি যারা বিদেশ থেকে এসেছেন এবং যাদের হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশনা আছে তারা সেটি মানছেন কি না সে বিষয়েও তদারকি করে যৌথবাহিনী। অভিযানের সার্বিক বিষয়ে অঞ্চল-৯ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা (আনিক) হেমায়েত হোসেন বলেন, এটা আমাদের নিয়মিত কার্যক্রম। এ সময়ে আমরা চাই নাগরিকরা যেন যথাসম্ভব ঘরে থাকেন। এরপরও কিছু মানুষ বের হচ্ছে। প্রধান সড়ক বা রাজপথ সংলগ্ন জায়গাগুলোতে লোকজন বেশি ঘরে থাকার বিষয়টি মেনে চলছেন। কিন্তু এলাকার একটু ভেতরে গেলে বোঝা যায় যে, অনেকেই ঘরে থাকছে না। যেমন আপনারা এই এলাকায় (খিলবাড়ি টেক) দেখছেন কত মানুষ ঘরের বাইরে। আমরা তাদের বোঝাচ্ছি। সচেতন করার চেষ্টা করছি। এ সময় একটু ধৈর্য, সচেতনতা ও ঘরে থাকার থেকে ভালো কোনো ওষুধ নেই। হেমায়েত হোসেন আরও বলেন, নাগরিকরা ঘরে থাকবেন। যারা অর্থনৈতিকভাবে সচ্ছল নন আমরা তাদের খাদ্যসামগ্রী দেব। ইতিমধ্যে প্রতিটি ওয়ার্ডের কাউন্সিলরদের ৫০০টি করে এবং সংরক্ষিত ওয়ার্ডের নারী কাউন্সিলরদের ১০০টি করে অসচ্ছল, অসহায় পরিবারের তালিকা করতে বলা হয়েছে। আমরা তাদের খাদ্যসামগ্রী দেব। এদিকে হোম কোয়ারেন্টিন তদারকির বিষয়ে ভাটারা থানার ওসি মোক্তারুজ্জামান বলেন, আমাদের কাছে একটি তালিকা আছে যে কারা সম্প্রতি বিদেশ থেকে এ এলাকায় এসেছেন, এখানকার বাসিন্দা। কাদের হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশনা আছে। সে তালিকা ধরে ধরে আমি প্রতিদিনই সর্বোচ্চ সংখ্যক বাড়িতে গিয়ে বিষয়টি তদারকি করছি। আপনারা দেখেছেন আমরা সোমবার একটি বাড়িতে গেলাম, যেখানে কাতার থেকে ঊর্মিলা শহিদ নামে এক নারী এসেছেন। তিনি আরও বলেন, 'আমরা তার বাবা শাহাবুদ্দিন আহমেদের সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি (ঊর্মিলা) হোম কোয়ারেন্টিন মানছেন কি না, তাকে একটি ঘরে রাখা হয়েছে কি না এবং তার সঙ্গে কেউ মেলামেশা করছে কি না সে বিষয়টি দেখছি। আবার শুধু তাদের কথা না, আশপাশের দোকানদার বা এলাকাবাসীর থেকেও তথ্য নিচ্ছি যে, হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশনা আছে এমন ব্যক্তি এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে কি না।'