যত প্রয়োজন তত সেনাসদস্য মাঠে থাকবে :সেনাপ্রধান

প্রকাশ | ০২ এপ্রিল ২০২০, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
জেনারেল আজিজ আহমেদ
মহামারি নভেল করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে যত সংখ্যক সেনাবাহিনীর সদস্য মোতায়েন প্রয়োজন তা করা হবে বলে জানিয়েছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ। বুধবার সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে এক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন। মাঠে সেনা সদস্য সংখ্যা আরও বৃদ্ধি করা হবে কি না জানতে চাইলে সেনাপ্রধান বলেন, 'যত প্রয়োজন ততটাই আমরা দেব, ঠিক আছে। অহেতুক প্যানিক সৃষ্টি করার কোনো প্রয়োজন নেই।' জেনারেল আজিজ আহমেদ বলেন, 'সেনাবাহিনী কাজ করছে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায়, প্রধানমন্ত্রী একাধিকবার করোনার ব্যাপারে শুধু সেনাবাহিনী নয়, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সিভিল অ্যাডমিনিস্ট্রেশনসহ সব স্টেকহোল্ডার কী করবে ক্লিয়ারলি বলে দিয়েছেন। আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করছি। আগামীতেও কাজ করব এবং এ করোনাভাইরাস নিয়ে প্রধানমন্ত্রী একটি যুদ্ধের সঙ্গে তুলনা করেছেন, আমরা সৈনিক, আমরা সব সময় যুদ্ধ করতে প্রস্তুত এবং সেই প্রস্তুতি নিয়ে আমরা আছি, সবাইকে সহযোগিতা করব।' নভেল করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে দুর্যোগের মতো পরিস্থিতিতে বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা করতে ২৪ মার্চ থেকে বিভাগীয় ও জেলা শহরগুলোতে সামাজিক দূরত্ব ও সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের সুবিধায় সশস্ত্রবাহিনী দায়িত্ব পালন করে আসছে। বৈঠকে আলোচনার বিষয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, 'গার্মেন্ট সেক্টরসহ অন্যান্য সেক্টর নিয়ে আলোচনা হয়েছে। গার্মেন্ট যেহেতু একটি বড় সেক্টর সরকার যে লোনের ব্যবস্থা করেছেন ২ শতাংশ ইন্টারেস্টে লোনের, লোন কীভাবে ডিস্ট্রিবিউট করা হবে পাশাপাশি সে সুযোগ কীভাবে ব্যবহার করব তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।' এ সময়ে সব গার্মেন্ট বন্ধ থাকবে কি না জানতে চাইলে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, 'যাদের অর্ডার ক্যানসেল হয়ে গেছে তারা কীভাবে চালাবেন, সেজন্য কথা ছিল বন্ধ করতে চাইলে বন্ধ রাখতে পারে। যাদের কাজ আছে তারা চালাতে পারেন। যারা চালাতে চান সরকারের পক্ষ থেকে কোনো বাধা নেই। স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে তারা চালাতে পারবেন। 'বিভিন্ন জায়গায় কথা আসছে রপ্তানিমুখী শিল্পে সরকার দান দিচ্ছে। এটি দান নয়, ২ শতাংশ সুদে লোন হিসেবে দেওয়া হচ্ছে যা সময়ের ব্যবধানে শোধ করতে হবে। এ বিষয়ে দু-একদিনের মধ্যে একটি শর্টআউট করা হবে।' করোনাভাইরাস-পরবর্তী পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে কি না জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, 'কবে শেষ হবে এটা তো এখনো জানি না। যখনই কমে যাবে তখনই বোঝা যাবে, বিপদটা জানি সবাই প্রস্তুত হয়ে আছি।' বৈঠকে বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।